1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাজীবকে সিবিআই-এর তলব

১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

কলকাতার সাবেক পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের রক্ষাকবচ শুক্রবার প্রত্যাহারের রায় দিয়েছে হাইকোর্ট৷ এরপর তাঁকে শনিবার সকাল দশটায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই-এর কার্যালয়ে উপস্থিত হতে নোটিশ পাঠানো হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3PYel
Indien Mamata Banerjee Kalkutta
ছবি: DW/P. Samanta

রাজীবের কুমারের বিরুদ্ধে সারদা চিটফান্ড কেলেংকারির প্রমাণ নষ্টের অভিযোগ এনেছে সিবিআই৷ সারদা মামলার তদন্ত দলের প্রধান ছিলেন তিনি৷

সিবিআই-এর অভিযোগ, রাজীব কুমারের কাছে কয়েকজন অভিযুক্তের কল রেকর্ড চাওয়া হলে তিনি কয়েকটি জাল রেকর্ড দেন৷ রাজীবের দেয়া রেকর্ডগুলোর সঙ্গে মোবাইল কোম্পানি থেকে পাওয়া রেকর্ডের মিল পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে সিবিআই৷

এই অবস্থায় গত বছরের নভেম্বরে রাজীব কুমারকে তলব করেছিল সিবিআই৷ কিন্তু তিনি যাননি৷ এরপর চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি সিবিআইয়ের একটি দল রাজীব কুমারের সরকারি বাসায় গেলে কলকাতা পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে দিয়েছিল৷

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই সময় রাজীব কুমারের বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন৷ তারপর ধর্নায়ও বসে পড়েছিলেন৷

এরপর সিবিআই কি সারদা মামলায় নোটিশ দিয়ে সমন পাঠাতে পারে কিনা, কিংবা সেই প্রক্রিয়া কতটা আইনসিদ্ধ, সে সবকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজীব কুমার৷

আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, মামলা চলার সময় দফায় দফায় আদালত রাজীব কুমারের আবেদন মেনে গ্রেফতারির বিরুদ্ধে আইনি রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়িয়েছিল৷

তবে শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি মধুমতি মিত্র এক রায়ে জানান, রাজীব কুমারের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে এখনও রক্ষাকবচ বজায় রাখলে সেটা তদন্তে সরাসরি হস্তক্ষেপ করা হবে৷ তিনি বলেন, ‘‘রাজীব কুমার বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)এর এক জন অন্যতম সদস্য ছিলেন৷ তদন্তের স্বার্থে তিনি প্রচুর জিনিস সংগ্রহ করেছিলেন৷ রাজীব কুমারকে সিবিআই টার্গেট করেছে, এই অভিযোগ আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়৷''

এই রায়ের কারণে আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তারে সিবিআইয়ের আর কোনো বাধা রইল না৷

জেডএইচ/কেএম (আনন্দবাজার পত্রিকা)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য