1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘রঙিন’ হ্যান্ডব্যাগ দিয়ে চোর ধরা?

১১ মে ২০১৭

মালয়েশিয়ার একটি কোম্পানি মহিলাদের হ্যান্ডব্যাগের সঙ্গে চেইন দিয়ে ঝোলানো এমন একটি থলি উদ্ভাবন করেছে, যার কল্যাণে ছিঁচকে চোর ঐ হ্যান্ডব্যাগ নিয়ে পালালে শিগগিরই ধরা পড়বে!

https://p.dw.com/p/2cm08
Symbolbild Handtasche
ছবি: Fotolia/Africa Studio

বিশ্বাস হচ্ছে না তো? ধরুন, জার্মানিতে এখন ব্যাঙ্কের এটিএম মেশিন বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়ে টাকা-পয়সা নিয়ে পালানোর ধুম চলেছে; একটির পর একটি ব্যাঙ্কের শাখায় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে; তাই শোনা যাচ্ছে এটিএম মেশিনের ভেতরে নাকি এরপর রঙের থলি রাখা থাকবে – বিস্ফোরণ বা অন্য কোনো ধরনের হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটলে, সেই রঙের থলি বা আধার ফেটে সব নোটে রঙ লেগে যাবে৷ সে রঙ ধোয়া বা তোলাও হবে প্রায় অসম্ভব৷ তাই চোর – এ ক্ষেত্রে ডাকাতদের পক্ষে চোরাই টাকা বাজারে ছাড়া সম্ভব হবে না৷

এ কাহিনী শোনানোর কারণ হলো এই যে, মালয়েশিয়ার ‘অ্যাশ বি নিম্বল’ কোম্পানি মহিলাদের হাতব্যাগ ছিনতাইয়ের ক্ষেত্রে অনুরূপ প্রতিষেধক প্রয়োগ করতে চাইছে৷ কোম্পানিটি খেলাধুলার পোশাক তৈরি করে থাকে৷ কিন্তু মালয়েশিয়ায় ছিনতাইয়ের ঘটনা এত বেশি ঘটে থাকে যে, কোম্পানিটি ‘হ্যান্ডব্যাগ ডাইটোনেটর’ বাজারে ছাড়তে চায়৷

ডাইটোনেটর আর কিছু নয়, ‘ডাই' বা রঙ এবং ‘ডিটোনেটর’ বা বোমার সলতে জুড়ে ডাইটোনেটর৷ চোর হ্যাঁচকা টান দিয়ে হাতব্যাগ ছিনতাই করে দৌড় দেবার পর হাতব্যাগের মালিক যদি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডাইটোনেটরকে সক্রিয় করেন, তাহলে রঙের বটুয়াটি ফেটে রঙ ও ধোঁয়া বেরিয়ে চোরকে চিহ্নিত করে দেবে৷

মহিলাদের লিপস্টিকের মতো নানান রঙের ডাইটোনেটর বাজারে ছাড়া হচ্ছে৷ কিন্তু তাদের কাজের প্রক্রিয়া একই৷ মুশকিল শুধু একটি– চোরেরা যদি ডাইটোনটরের খবর পেয়ে গোড়াতেই হাতব্যাগ থেকে কেটে সেটাকে একেবারে বাদ দিয়ে দেয়?

এসি/এসিবি