রবার্ট মুগাবে: নায়ক থেকে স্বৈরাচারী
জিম্বাবোয়ের স্বাধীনতার নায়ক ছিলেন রবার্ট মুগাবে৷ কিন্তু তারপর ক্ষমতায় গিয়ে স্বৈরাচারী হয়ে ওঠেন তিনি৷ দেশের মানুষকে কষ্টে রেখে নিজে বেছে নিয়েছিলেন বিলাসী জীবন৷
রাজনীতির শুরু
ষাটের দশকে শ্বেতাঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে লড়তে গড়ে ওঠা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন রবার্ট মুগাবে (বামে)৷ সেই সময় তাঁর ১০ বছরের জেল হয়েছিল৷
স্বাধীনতা লাভ ও ক্ষমতা গ্রহণ
১৯৮০ সালে মুগাবের নেতৃত্বে জিম্বাবোয়ে স্বাধীনতা অর্জন করে৷ এরপর নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন৷ ক্ষমতায় ছিলেন ২০১৭ সাল পর্যন্ত৷
জমি দখল
১৯৮৭ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন৷ তাঁর অধীনে নব্বইয়ের দশকে জিম্বাবোয়ের অর্থনীতি ভেঙে পড়ে৷ এছাড়া নির্বাচনে কারচুপি, শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের জমি জখলের মতো কাজও হয়েছে৷
মানবাধিকার লঙ্ঘন
চলতি শতকের শুরুতে সাধারণ নাগরিকদের উপর তাঁর সরকারের নিপীড়ন বাড়তে থাকে৷ ২০০৫ সালে বস্তি উচ্ছেদের কার্যক্রম শুরু করেন৷ এতে প্রায় সাত লাখ নাগরিক সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হন৷ অনেকেই গৃহহীন হয়ে পড়েন৷
অভিজাত জীবনযাপন
দেশের অনেক মানুষ যখন অনাহার, অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছিল তখন মুগাবে অভিজাত জীবন বেছে নিয়েছিলেন৷ ২০১৫ সালে তাঁর ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে তিনি একটি পার্টি দিয়েছিলেন৷ এতে প্রায় দশ লাখ ডলার খরচ হয়েছিল বলে জানা যায়৷
সামরিক অভ্যুত্থান
২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর সামরিক বাহিনী সরকারি প্রচারমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মুগাবেকে গৃহবন্দি করার ঘোষণা দেয়৷ এরপর কয়েকদিন ধরে জিম্বাবোয়ের মানুষ মুগাবের পদত্যাগের দাবি জানায়৷ এক সপ্তাহ পর মুগাবের জায়গায় দায়িত্ব পান প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন এমনানগাগওয়া৷
মৃত্যু
মুগাবে একসময় বলেছিলেন তিনি একশ বছর পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন৷ তবে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পতনের পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে৷ সিঙ্গাপুরে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন৷ ৬ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান৷