1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রবীন্দ্রনাথের সার্ধশত জন্মবর্ষের উদযাপন শুরু

৯ মে ২০১০

তিনি বাঙালির প্রাণের আনন্দ, আত্মার মুক্তি৷ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷ তাঁর ১৫০-তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন শুরু হল রবিবার থেকে৷

https://p.dw.com/p/NJkn
ছবি: picture-alliance/dpa

শান্তিনিকেতন, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি এবং রবীন্দ্রসদন চত্বর রবিবার সকাল থেকেই ছিল রবীন্দ্রনাথের গানে, কবিতায় মুখরিত৷ একে ছুটির দিন, তায় রবীন্দ্রনাথের সার্ধশত জন্মবর্ষের উদযাপন শুরু হয়ে গেল এই ২৫ বৈশাখ থেকেই৷ তাই এবার মানুষের উৎসাহ অন্যান্য বারের তুলনায় কিছুটা বেশিই মনে হয়েছে৷ শহর-শহরতলীর নানা প্রান্ত থেকে তাঁরা এসেছেন, এদিনের দুঃসহ গরম-কে উপেক্ষা করে৷ পরনের ঢাকাই শাড়ি ঘামে ভেজা, বেণীতে জড়ানো জুঁইয়ের মালা প্রচণ্ড রোদে ম্লান, কিন্তু উৎসবের আন্তরিক আবহ তাতে নষ্ট হয়নি৷ মধ্যমগ্রাম থেকে আসা কিশোরী সোমা জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি চত্বরে দাঁড়িয়ে জানালেন, যদি রবীন্দ্রনাথের দ্বিশতবর্ষে আসা না হয়, তাই এসেছেন৷

আর যে মধ্যবয়সিনী মহিলা সারা সকাল ঠায় বসে অনুষ্ঠান শোনার পর বেলা এগারোটা-র সময় অবশেষে বাড়ি যাবেন বলে বেরোলেন, তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, এত কষ্ট করে কেন আসেন৷ কীসের টানে? তিনি পাল্টা প্রশ্ন করলেন, কীসের টানে আসি জানেন না ? ২৫ বৈশাখ সকাল থেকেই মন পড়ে থাকে এখানে৷

এদিন হাওড়া স্টেশন থেকে ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি যাত্রা' শুরু করল একটি বিশেষ ট্রেন৷ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন ও কর্মের নানা দিক তুলে ধরতে ছবি, তথ্যে সাজানো এই ট্রেনের পাঁচটি কামরা৷ রবীন্দ্রনাথের সার্ধশতবর্ষে পূর্ব রেলের নিবেদন এই ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনী৷ আগামী এক বছর ট্রেনটি ভারতের নানা শহরে ঘুরবে৷

এদিন কলকাতা পুরভোটের প্রচারেও টেনে আনা হয়েছিল রবীন্দ্রনাথকে৷ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচার মিছিলে, স্লোগানের বদলে শোনা গেছে রবীন্দ্রনাথের গান৷ আর অন্যদিকে, মেহনতি মানুষের মুখপত্র বলে পরিচিত একটি বাংলা দৈনিকে, একটি লেখার শিরোনাম ছিল, জীবন, মৃত্যু, রবীন্দ্রনাথ৷ যিনি জীবন – মৃত্যুর মতই অমোঘ, অবারিত৷

প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান