1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রশীদ হায়দারের অভিমানী প্রস্থান

১৬ অক্টোবর ২০২০

স্নিগ্ধ এক শরৎ সকালে রশীদ হায়দার চলে গেলেন৷ পরিণত বয়সেই, যথারীতি নিভৃতে, হয়তো কিছুটা অভিমান নিয়ে৷ একুশে পদকপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য এই লেখক ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষককে হারিয়ে নিশ্চিতভাবেই একটি বড় শুণ্যতা তৈরি হলো৷

https://p.dw.com/p/3k0Lt
Bangladesch | Porträt | Rashid Haider
রশীদ হায়দারছবি: Shakoor Majid

রশীদ হায়দার ৭০টির বেশি বই লিখেছেন৷ লেখক তাঁর প্রধান পরিচয়৷ তবে তারপরও বিভিন্নজনের কাছে তিনি গর্বের সাথে নিজেকে ‘সংগ্রাহক' বলে পরিচত দিতেন৷ কারণ, তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসের অমূল্য এক গ্রন্থের জন্য স্মৃতি সংগ্রহ করেছেন৷ যে স্মৃতিকথাগুলো রক্তের অক্ষরে লেখা৷ অনেকের কাছে রশীদ হায়দারের গবেষক ও সংগ্রাহক সত্তার আবেদনই বেশি৷ মুক্তিযুদ্ধ গবেষকরা মনে করেন, ‘স্মৃতি: ১৯৭১' কাজটি করে তিনি জাতীর প্রতি বিশেষ এক দায়িত্ব পালন করে গেছেন৷ যার মাধ্যমে এ দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগের ইতিহাস ছড়িয়ে পড়বে দেশ-দেশান্তরে৷

‘স্মৃতি: ১৯৭১' মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংকলন৷ শহীদদের প্রাণ বিসর্জনের স্মৃতি, পাক বাহিনীর নিষ্ঠুর বর্বরতার বর্ণনা, রাজনৈতিক পরিস্থিতির স্মৃতি, তথা মুক্তি সংগ্রামের অনন্য অসাধারণ স্মৃতি কথা৷ যাতে স্মৃতিচারণ করেছেন একাত্তরে শহীদদের মা-বাবা-ভাই-বোন-স্ত্রী-স্বজন আর বন্ধু সুহৃদরা৷ অমূল্য স্মৃতি, অসাধারণ স্মৃতি, শ্বাসরুদ্ধকর এইসব স্মৃতিকথা সমৃদ্ধ করেছে বাংলাদেশের ইতিহাসকে৷

এই স্মৃতিকথাতে পাওয়া যায় ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, নূতনচন্দ্র সিংহ, সিরাজুদ্দিন হোসেন, জহির রায়হান, গিয়াসউদ্দীন আহমদ, আলতাফ মাহমুদ, ডা. আলীম চৌধুরি, আনোয়ার পাশা, ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরি, মুনীর চৌধুরি, ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতাসহ আরো কত বীর শহীদের আত্মত্যাগের ইতিহাস৷ স্বজন-সুহৃদ ও সহকর্মী, বন্ধুদের জবানীতে জীবন্ত হয়ে উঠেছে মুক্তিযুদ্ধের একেকটি অমর বীরত্ব গাঁথা৷

দু-একটি উদাহরণ দেওয়া যাক৷ ছাত্রনেতা চিশতী শাহ হেলালুর রহমান থাকতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের ২১২ নম্বর কক্ষে৷ যে হলটির নতুন নামকরণ হয়েছিল ১৯৭১ সালের ৪ মার্চ৷ ছাত্রনেতারা হলটির নতুন নামকরণ করেছিলেন সার্জেন্ট জহুরুল হক হল৷ চিশতী ছিলেন ডাকসুর হল শাখা পাঠাগার সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি৷ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করতেন দৈনিক আজাদ সংবাদপত্রে৷ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে জহুরুল হক হলে আক্রমণ চালিয়েছিল পাক সেনারা৷ উল্লেখ্য, এই হলটি ছিল প্রথম সারির ছাত্রনেতাদের স্থায়ী আস্তানা৷

Bangladesch | Bücher | Rashid Haider
রশীদ হায়দারের লেখ বইছবি: Md. Minhaz Uddin

সারারাত গোলাবর্ষণ থেকে কোনোমতে প্রাণে রক্ষা পেলেও সকালে পাক বাহিনীর এক মেজর খুব কাছ থেকে হত্যা করেছিল চিশতীকে৷ এ ঘটনার মর্মস্পর্শী বর্ণনা পাওয়া যায় স্মৃতি:৭১-এর প্রথম খণ্ড৷ চিশতীর বন্ধু মফিজুল ইসলাম শহীদ বন্ধুর স্মৃতি তুলে ধরেছেন হৃদয়ের রক্তে৷ মফিজুল ইসলাম স্মৃতিকথাতে লিখেছেন, ‘‘হলের সামনে পুকুরের পাশে মেজর৷ তার কাছে নিয়ে যাওয়া হলো চিশতীকে৷ দৈনিক আজাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক হিসেবে নিজের পরিচয়পত্র পেশ করলো চিশতী৷ কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না৷ হলের পেছন দিক থেকে ডাইনিং হলের দিকে যেতে যে সরু রাস্তাটা-তারই পাশে ড্রেনের কাছে গাছটির নীচে গুলি করা হয় চিশতীকে৷ রিকশাওয়ালা নুরু আমাকে বলল, ‘‘জানেন স্যার, প্রথম গুলিটি যখন ওর বুকের বামপাশে ভেদ করে বেরিয়ে গেল, তখনই তিনি ‘জয় বাংলা' বলে চিৎকার করেছিলেন৷'' (পৃষ্ঠা: ৪১৮-৪১৯, স্মৃতি:১৯৭১, প্রথম খণ্ড)

কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের বাবা ফয়জুর রহমান ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা৷ একাত্তরে তিনি পাক সেনাদের হাতে শহীদ হন৷ হুমায়ুন আহমেদ সেই স্মৃতি তুলে ধরেছেন ‘আমার বাবা'তে৷ যাতে ফয়জুর রহমানের শহীদ হওয়ার ঘটনাপ্রবাহে উল্লেখ করেছেন, ‘‘এক সময় গানবোট নিয়ে পাক আর্মি পিরোজপুর শহরে উঠে এলো৷ একটি গুলিও তাদের উপর বর্ষিত হলো না৷ বাবা তাদের হাতে ধরা পড়লেন৷ দেশপ্রেমের অপরাধে ৫ই মে ১৯৭১ সালে তাঁর প্রিয় নদীর পাড়ে তাঁকে হত্যা করা হলো৷ তাঁর লাশ নদীতে ভাসতে লাগল৷ সেই নদীতে যেখানে তিনি তাঁর পুত্র কন্যা আর মমতাময়ী স্ত্রীকে নিয়ে কত না রজনী কাটিয়েছে৷' (পৃষ্ঠা:১১৯, স্মৃতি:১৯৭১, প্রথম খণ্ড)

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের আরেক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত৷ যিনি ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের গণপরিষদে বাংলা ভাষার মর্যাদার প্রশ্ন তুলেছিলেন, যার জন্য আজও তিনি বিশেষভাবে সম্মানিত৷ ১৯৭১ সালের ক্র্যাকডাউনের পর ৮৪ বছর বয়সি এই রাজনীতিবিদ পাকিস্তানের অন্যতম টার্গেট ছিলেন৷ তিনি নিজেও বুঝতে পারছিলেন পাক সেনারা তাঁকে ধরতে আসবে৷ তাঁর আশঙ্কাকে সত্য পরিণত করে হানাদাররা তাঁর কুমিল্লার বাড়িতে হানা দিয়েছিলো ১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ দুপুরে৷ এরপর কুমিল্লা সেনানিবাসে নিয়ে নির্মম অত্যাচারের পর তাঁকে হত্যা করা হয়৷ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের এই আত্মত্যাগের ইতিহাস বর্ণনা করেছেন তাঁর নাতী আরমা গুণ ‘আমার দাদু' স্মৃতি কথায়৷ তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘‘১৪ এপ্রিলের দিকে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে অকথ্য নির্যাতন করে মেরেছে আমার দাদুকে৷ আমরা এর বেশি আর জানতে চাই না৷ আমার দাদু বাংলার মাটিতে তাঁর রক্ত, হাঁড় মাংস একাকার করে দিয়ে মিলিয়ে গেল৷'' (পৃষ্ঠা:৩৪৬, স্মৃতি:১৯৭১, প্রথম খণ্ড)

স্মৃতি:৭১-এর পাতায় পাতায় রক্তের অক্ষরে লেখা একেকটি ইতিহাস আলেখ্য৷ একেকটি ঘটনার পেছনে আছে অনুপম দেশপ্রেম আর চুড়ান্ত আত্মত্যাগের নির্জলা ইতিহাস৷ যা সমৃদ্ধ করেছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তথা সাহিত্য সম্ভারকে৷

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অমূল্য এই দলিলের কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৮৮ সালে৷ তখন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল৷ তিনি ঐ বছর ১৯৭১ সালের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে একটি সংকলন প্রকাশের মহতী উদ্যোগ নিয়েছিলেন৷ ঐ বছর ১৪ ডিসেম্বর স্মৃতি:১৯৭১ এর প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয়৷ এই প্রকাশনাটি পাঠকের হাতে আসার সাথে সাথে বিপুল সাড়া পড়ে যায়৷ মহান মুক্তিযুদ্ধের অনন্য দলিল হিসেবে গ্রন্থটি পাঠকনন্দিত হয়৷ মুক্তিযুদ্ধ গবেষকরা হাতের কাছে পেয়ে যান অনন্য এক তরতাজা জীবন্ত ইতিহাস৷ এরপর ২০০০ সাল পর্যন্ত স্মৃতি:১৯৭১-এর আর ১২টি খণ্ড প্রকাশিত হয়৷ মোট ১৩টি খণ্ডে প্রায় তিন শতাধিক শহীদের গল্প প্রকাশিত হয়৷ যার প্রতিটি লাইনে লাইনে ছড়িয়ে আছে অনন্য আত্মত্যাগ আর গৌরবগাঁথা৷

Portrait I Minhaz Uddin
মো. মিনহাজ উদ্দীন, শিক্ষক ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষকছবি: Privat

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অনন্য এই ইতিহাস আলেক্ষ্যর প্রধান সম্পাদক ছিলেন সদ্য প্রয়াত রশীদ হায়দার৷ তিনি বাংলা একাডেমিতে তখন পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন৷ এই ইতিহাস আলেখ্য সম্পাদনা সম্পর্কে তিনি তাঁর বয়ানে বলেছেন, ‘‘এইসব রক্তাপ্লুত রচনা সহৃদয় পাঠককে মুহূর্তেই স্পর্শ করে যায়, আবেগপ্রবণ করে তোলে৷ যাঁদের অতি আপনজন  শহিদ হয়েছেন, তাঁদের শূন্যতা, কষ্ট, হাহাকার, বঞ্চনা, অবহেলা সারা জীবনের সঙ্গী হয়ে আছে এবং থাকবে৷'' (স্মৃতি:১৯৭১, প্রথম খণ্ডের ভূমিকা)স্মৃতি:১৯৭১ এর এই মহাযজ্ঞ নিয়ে রশীদ হায়দারের সাথে একটা দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের পরিকল্পনা ছিল৷ প্রাথমিক আলাপচারিতায় রশীদ হায়দার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন সেই সাক্ষাৎকারের৷ তা আর হলো না৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে তাঁর মরদেহের সামনে দাঁড়িয়ে এই আক্ষেপটিই বারবার তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল৷ হঠাৎ স্ত্রীর চলে যাওয়া এবং অতি দ্রুত স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়াতে রশীদ হায়দারের সাক্ষাৎকারটি নেওয়া আর সম্ভব হয়নি৷ বার্ধক্যজনিত গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পরও রশীদ হায়দারের সাথে দেখা হয়েছে৷ কিন্তু সেই সাক্ষাতে কোন বাক্য বিনিময় হয়নি৷

তবে একজন রশীদ হায়দারকে জানতে পড়তে শুরু করেছিলাম তাঁর কিছু লেখা যা পড়তে পড়তে একজন অভিমানী মানুষকে খুঁজে পেয়েছিলাম৷ যার কিছুটা চিত্র পাওয়া যায় স্মৃতি:১৯৭১ এর ভূমিকাতেও৷ তাতে তিনি বলছেন, ‘‘স্মৃতি:১৯৭১ ৭ম (সপ্তম) খণ্ড প্রকাশের আগে একজন মহাপরিচালক ‘অনেক খ্যাতিই তো হলো' এই বলে কাজটি বন্ধ করে দিতে চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু প্রজন্ম একাত্তরের অকুতোভয় সদস্যদের প্রবল চাপে ও প্রতিবাদে সেই মহাপরিচালক পরবর্তী বছরের জানুয়ারি মাসে খÐটি প্রকাশে বাধ্য হন ... কিন্তু দুর্ভাগ্য, ২০০০ সালের পর পরিবর্তিত সরকার মুক্তিযুদ্ধের আরো অনেক বিষয়ের মতো ‘স্মৃতি:১৯৭১' এর প্রকাশনাও বন্ধ করে দেন৷'

খুব ইচ্ছে ছিল সেইসব কঠিন দিন সম্পর্কে আরো জানার৷ এই প্রকল্প বন্ধের কুশীলব সম্পর্কে অজানা সব ঘটনা প্রবাহ জানার৷ কিন্তু সেই সুযোগ আর হলো না৷ রশীদ হায়দার চলে গেলেন ( সকাল ১০টা, ১৩ অক্টোবর,২০২০)৷

একাত্তরের চিঠি ও একজন রশীদ হায়দার

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত সাহিত্যে ‘একাত্তরের চিঠি' এক বিশেষ সংযোজন৷ মুঠোফোন কোম্পানি গ্রামীণফোন ও দৈনিক প্রথম আলো ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের চিঠিগুলো সংগ্রহ, সংকলন করে প্রকাশ করার উদ্যগ নিয়েছিল৷ এই মহতী উদ্যগে যুক্ত ছিলেন রশীদ হায়দার৷ ছিলেন সম্পাদনা পরিষদের সদস্য৷ আরো গুরুদায়িত্ব হিসেবে এই গুরুত্বপূর্ণ বইটির ভূমিকা লিখেছিলেন রশীদ হায়দার৷ প্রাঞ্জল ভাষায় তিনি বলেছিলেন এই বইটির কথা৷ মুক্তিযোদ্ধাদের কথা৷ অনেকটা এভাবে, ‘‘এত গৌরবময়, এত বেদনাময় বছর বাঙালির জীবনে আগে কখনও আসেনি৷ বছরটি ১৯৭১৷ এই একটি বছরের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্ব বাংলাদেশকে জানল, চিনল এবং বুঝতে পারলো সবুজ শ্যামল প্রকৃতির কাদামাটির মতো নরম বাঙালি প্রয়োজনে কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে৷ কোনো সন্দেহ নেই বাঙালি বর্ষাকালে যেমন কোমল, গ্রীষ্মে তেমনই কঠিন রুঢ়' (একাত্তরের চিঠি'র ভূমিকা)

মুক্তিযুদ্ধের এ রকম অসংখ্য বইয়ের কাজ করেছেন রশীদ হায়দার৷ সংবেদনশীল হৃদয় নিয়ে এ জাতীর বিজয় ও বীরত্ব গাঁথা রচনা করেছেন৷

শেষ যাত্রার আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে কেউ একজন বললেন, এতো বড় একজন গুণী মানুষ৷ তাঁকে কেন শহীদ মিনারে নেওয়া হলো না? কেউ বললেন এই মানুষটা সারাজীবন বাংলা একাডেমিতে কাজ করেছেন, হাঁটা পথের দূরত্বের বাংলা একাডেমিতেও নেওয়া হলো না? তাদের কণ্ঠে আক্ষেপ৷ পরিবার সূত্রে জানতে পারলাম, মৃত্যুর আগে অনেক শক্ত করে রশীদ হায়দার বলে গেছেন, তাঁকে যাতে কোন অবস্থাতেই শহীদ মিনার বা বাংলা একাডেমিতে না নেওয়া হয়! কি অভিমান ছিল মানুষটির?

জগতের নিয়ম হয়তো এমনই৷ মানুষ পৃথিবীকে তাঁর কর্ম দিয়ে ফুলে-ফলে সাজিয়ে দেন৷ আর যাওয়ার সময় সঙ্গী বুক ভরা অভিমান, দুঃখ, কষ্ট আর হয়তো কিছু সুখ স্মৃতি৷ 

এক শরৎ সকালে রশীদ হায়দার কি অভিমান নিয়ে চলে গেলেন তা অনুভব করা অসম্ভব৷ তবে এটুকু বলা যায়, একজন ‘সংগ্রাহক' হিসেবে রশীদ হায়দার আমাদের যা দিয়ে গেলেন তা অবিস্মরণীয়৷এই বাংলাদেশ যতদিন থাকবে রক্তের অক্ষরে লেখা রশীদ হায়দারের সংগ্রহ করা স্মৃতি: ১৯৭১ থাকবে৷ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের সামনে তুলে ধরবে মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগের ইতিহাস৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য