1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রসায়নে নোবেল পেলেন দুই মার্কিন গবেষক

১০ অক্টোবর ২০১২

মানব দেহের কোষ সমষ্টি কিভাবে বাইরের উদ্দীপনায় সাড়া দেয় – এটাই ছিল রবার্ট লেফকোভিৎস এবং ব্রায়ান কোবিল্কার গবেষণার বিষয়বস্তু৷ যার মাধ্যমে ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ও ‘ডিপ্রেশন’-এর মতো রোগ নিরাময়ের অত্যাধুনিক ওষুধ তৈরিও সম্ভব৷

https://p.dw.com/p/16NPo
ছবি: Reuters

বুধবার রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস রসায়নে চলতি বছরের নোবেল পুরস্কারের জন্য রবার্ট জে লেফকোভিৎস এবং ব্রায়ান কোবিল্কার নাম ঘোষণা করেছে৷

চিকিৎসাশাস্ত্র অনুযায়ী, বাইরের উদ্দীপনা মানব দেহের কোষে ছড়িয়ে দেয়া এবং শারীরিক প্রতিক্রিয়া দেখানোর সময় কোষের দেয়ালের সংকেত গ্রহণকারী ‘রিসেপটর'গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে৷ এই যেমন, ভয় পাওয়া বা ভয় জাগানোর মতো কিছু ঘটলে সেই তথ্য ঐ রিসেপটরের মাধ্যমে কোষ থেকে মস্তিষ্কে পৌঁছায়৷ আর তারপর মস্তিষ্ক হরমোন নিঃসরণের মাধ্যমে আমাদের ভয়ের অনুভূতি জাগিয়ে সতর্ক করে দেয়, আর শরীর নেয় প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা৷

Nobelpreis Chemie 2012 Robert Lefkowitz
রবার্ট জে লেফকোভিৎসছবি: picture-alliance/dpa

রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমির বিবৃতি থেকে জানা যায় যে, ‘জি প্রোটিন কাপল্ড রিসেপটর'টি ঠিক কোন রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় তথ্য আদান-প্রদানের কাজটি করে – তাঁদের গবেষণায় ঠিক এ ব্যাপারটিই দেখিয়েছেন লেফকোভিৎস এবং কোবিল্কা৷ বলা হয়, ‘রোগ নিরাময়ে মানুষ যত ধরনের ওষুধ সেবন করে থাকে, তার প্রায় অর্ধেকেরই কার্যকারিতা নির্ভর করে এই জি প্রোটিন কাপল্ড রিসেপটর ঠিক মতো কাজ করলো কি না, তার ওপর৷'

৬৯ বছর বয়স্ক যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক রবার্ট জে লেফকোভিৎস জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৩ সালে, নিউ ইয়র্কে৷ এরপর ১৯৬৬ সালে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে তিনি যোগ দেন হাওয়ার্ড হিউস মেডিকেল ইনস্টিটিউটে৷ গবেষণার পাশাপাশি ডিউক ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারে মেডিসিন ও বায়োকেমিস্ট্রির অধ্যাপক হিসাবেও কাজ করেছেন তিনি৷

বার্তা সংস্থা রয়টার্স অনুযায়ী, নোবেল জয়ের খবরটি দিতে সুইডিশ অ্যাকাডেমির সংবাদ সম্মেলন থেকেই টেলিফোন করা হয় অধ্যাপক লেফকোভিৎসকে৷ কিন্তু সে সময় তিনি নাকি ঘুমাচ্ছিলেন, জানায় রয়টার্স৷ রবার্ট লেফকোভিৎসের নিজের কথায়, ‘‘আমি আসলে কানে তুলো দিয়ে ঘুমাই৷ তাই ফোন যখন আসে, তখন শুনতে পাইনি৷ আমার স্ত্রীই পাশ থেকে কনুইয়ের গুঁতো দিয়ে আমার ঘুম ভাঙান৷ তাই বুঝতেই পারছেন, নোবেল জয়ের খবরটা আমার জন্য ছিল একেবারেই আকস্মিক, অভাবনীয়৷''

অপর মার্কিন গবেষক ৫৭ বছর বয়সী ব্রায়ান কোবিল্কা জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৫ সালে, লিটল ফলসে৷ ১৯৮১ সালে ইয়েল থেকে ডক্টরেট করেন৷ আর বর্তমানে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ মেডিসিনে মলিকিউলার ও সেলুলার ফিজিওলজির অধ্যাপক হিসাবে কাজ করছেন তিনি৷

এবারের নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য প্রায় দেড় মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার, যা ভাগ করে নেবেন এই দুই বিজ্ঞানী৷ আগামী ১০ই ডিসেম্বর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে৷

Nobelpreis Chemie 2012 Brian Kobilka
ব্রায়ান কোবিল্কাছবি: picture-alliance/dpa

ডিজি/এসি (রয়টার্স, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য