1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গণকবরের খবর অস্বীকার করলো মিয়ানমার

৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

সংঘাতপ্রবণ রাখাইনের একটি গ্রামে রোহিঙ্গা মুসলমানদের পাঁচটি গণকবর থাকার খবর অস্বীকার করেছে মিয়ানমার সরকার৷ তবে তারা দাবি করে, ১৯ জন ‘‘সন্ত্রাসীকে’’ হত্যার পর সেখানে কবর দেয়া হয়েছিল৷

https://p.dw.com/p/2s4Go
Bangladesch Rohingya Flüchtlinge mit Smartphone
ছবি: picture.alliance/AP Photo/A.M. Ahad

আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) সম্প্রতি বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা শরণার্থীর বক্তব্য এবং মুঠোফোনে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে জানায় যে, রাখাইনের গু দার পিইয়িন গ্রামে সেনারা বেপরোয়াভাবে মানুষ হত্যা করেছিল এবং সেখানে পাঁচটি গণকবর রয়েছে যেগুলোর কথা আগে জানা যায়নি৷ 

মিয়ানমারে আরো গণকবর

মিয়ানমারের তথ্য কমিটি শনিবার ফেসবুকে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সরকারের তদন্ত দল এপি'র খবরে সত্যতা যাচাইয়ে সংশ্লিষ্ট গ্রামে গিয়ে সেরকম কিছু পায়নি৷ বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘‘তদন্তদল নিয়মনুযায়ী গু দার পিইয়িন গ্রাম নিয়ে এপি'র প্রতিবেদনের ব্যাপারে তদন্ত করেছে, সংশ্লিষ্ট গ্রামের বাসিন্দাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে এবং প্রতিবেদনটি সত্য নয় বলে প্রমাণ পেয়েছে৷''

এপি'র প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিয়ানমারের সেনারা এবং বৌদ্ধ উগ্রপন্থিরা বন্দুক, চাকু, রকেট লঞ্চার এবং গ্রেনেড নিয়ে দেশটির রাখাইন রাজ্যে অবস্থিত গ্রামটিতে বর্বর হামলা চালায় এবং মরদেহগুলো বিভিন্ন গর্তে জড়ো করে অ্যাসিড ঢেলে পুড়িয়ে দেয়৷ সংশ্লিষ্ট গ্রামটির স্যাটেলাইট ছবিও প্রকাশ করেছে এপি, যেখানে ধ্বংসযজ্ঞের আলামত রয়েছে৷ পাশাপাশি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সেই গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দার সাক্ষাৎকারও নেয়া হয়েছে যেখানে তাঁরা দাবি করেছেন যে, গ্রামটির চারশ'র মতো বাসিন্দাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে৷

মিয়ানমারের তথ্য কমিটি অবশ্য জানিয়েছে, গত আগস্টের ২৮ তারিখ গ্রামটিতে নিরাপত্তা বাহিনী এবং রোহিঙ্গা জঙ্গিদের মধ্যে প্রাণঘাতি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং এতে ১৯ জন ‘‘সন্ত্রাসী'' প্রাণ হারায়

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নির্মূল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে৷ তবে সেনাবাহিনীর দাবি, তারা রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের দমনে রাখাইনে অভিযান চালিয়েছে৷ গত আগস্টে সেই অভিযোগ শুরুর পর থেকে এখন অবধি সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে৷ রাখাইনের পরিস্থিতি তদন্তে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বা জাতিসংঘের তদন্তদলকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় যেতে দিচ্ছে না মিয়ানমার সরকার৷

এআই/ডিজি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য