1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাজউকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ!

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৮ জুলাই ২০১৩

এবার খোদ সরকারি প্রতিষ্ঠান রাজউকের বিরুদ্ধে পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগ উঠেছে৷ তারা পূর্বাচল আবাসিক প্রকল্পের নামে ইতিমধ্যেই সেখানকার ১,৬০০ একর এলাকার বন উজাড় এবং জলাভূমি ভরাট করেছে বলে অভিযোগ করেছে বাপা৷

https://p.dw.com/p/19FGP
A general view of the Bangladeshi capital city Dhaka on September 20, 2010. The South Asian nation sits on active tectonic plates and is frequently jolted by tremors. The last major earthquake struck in 1896. AFP PHOTO/ Munir uz ZAMAN (Photo credit should read MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images)
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images

ঢাকার পাশেই রূপগঞ্জ এবং এবং কালিগঞ্জের ৬,১৫০ একর এলাকা নিয়ে রাজউকের পূর্বাচল আবাসিক প্রকল্প৷ কিন্তু রাজউক কর্তৃপক্ষ এখন কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই কালিগঞ্জ এলাকায় পূর্বাচল দ্বিতীয় প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে৷ আর এই কাজ করতে গিয়ে তারা বনাঞ্চল উজাড় আর জলাভূমি ভরাট করছে পরিবেশ আইনের তোয়াক্কা না করেই৷ এমনকি তারা সাধারণ মানুষের জমি এবং ঘর বাড়িও দখল করছে৷

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)-র সমন্বয়কারী স্থপতি ইকবাল হাবিব ডয়চে ভেলেকে জানান, তারা সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখেছেন ইতিমেধ্যেই ১,৬০০ একর এলাকার গাছ এবং বন কেঁটে উজাড় করা হয়েছে৷ ভরাট করা হয়েছে জলাভূমি৷ তিনি বলেন, ‘‘ঐ এলাকায় শালবন ছাড়াও শতবর্ষী অনেক গাছ রয়েছে৷ আর আছে প্রাকৃতিক জলাধার৷ এর আগে তারা বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনলে আদালত গাছ কাঁটা এবং জলাধার ভরাটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়৷ রাজউক চেয়ারম্যান আদালতে হাজির হয়ে গাছ না কাঁটা এবং জলাভূমি ভরাট না করার মুচলেকা দেন৷ কিন্তু বাস্তবে উল্টো কাজ করছে রাজউক৷''

ইকবাল হাবিব জানান, রাজউক তার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বেটেক্সকে দিয়ে একটি প্রতারণামূলক প্রতিবেদন তৈরি করেছে৷ তাতে বলা হয়েছে ঐ এলাকায় মাত্র ৫.৭ শতাংশ এলাকায় বনভূমি৷ কিন্তু বাস্তবে সেখানকার ৪২.৭৬ শতাংশ এলাকায় বনভূমি রয়েছে৷

ঐ এলাকায় নিরীহ গরীব মানুষের জমি এবং ঘরবাড়ি দখলেরও অভিযোগ করেন ইকবাল হাবিব৷ এলাকার মানুষ এর প্রতিবাদ জানালে অন্তত ১ হাজার পরিবারের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেছে রাজউক৷ তারা এখন গ্রেফতারের ভয়ে এলাকায় থাকতে পারছেন না৷ আর এই সুযোগে রাজউক তার দখলের মহোত্‍সব চালিয়ে যাচ্ছে৷ তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের শেষ সময়ে প্লট বরাদ্দের নামে লুটপাটের আশায় রাজউক চেয়ারম্যান ও সরকারের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি দখল, বন উজাড় এবং জলাভূমি ভরাটের কাজ করছেন৷ আর রাজউক পারিবেশ অধিদপ্তরের কোনো অনুমতি ছাড়াই এসব কাজ করছে৷ তাঁরা এর বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবেন বলে জানান৷

এই বিষয়ে রাজউক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মে. নুরুল হুদার কাছে জানতে চাইলে তিনি পরে যোগাযোগ করতে বলেন৷ কিন্তু পরে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়৷

গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান অবশ্য দাবি করেন, রাজউকের এই বেআইনি কাজের ব্যাপারে তার কিছু জানা নেই৷ দেশের প্রচলিত আইনের বাইরে গিয়ে রাজউক বনভূমি উজাড় বা জলাধার ভরাট করতে পারেনা বলে জানান তিনি৷ এদিকে পরিবেশমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেন, রাউজক যদি পরিবেশ আইনের লঙ্ঘন করে থাকে তাহলে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷

ইকবাল হাবিব মনে করেন, রাজউক চেয়ারম্যানের এই অপকর্মের দায় সরকারকেও নিতে হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য