1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাজনীতি জগত উত্তাল

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

জার্মানিতে এ যাত্রায় আদৌ সরকার গড়া সম্ভব হবে কিনা, প্রায় দুই সপ্তাহ পর মানুষ তা জানতে পারবেন৷ এদিকে এসপিডি দলের প্রতি জনসমর্থন রেকর্ড মাত্রায় কমে চলেছে৷ ফলে দুই প্রধান শিবিরেই উদ্বেগ বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/2smkA
আন্দ্রেয়া নালেস এসপিডি দলের হাল ধরলে কি সমর্থন বাড়বে?
ছবি: Getty Images/AFP/T. Schwarz

মার্টিন শুলৎস বিদায় নেবার পর প্রথম নারী হিসেবে এসপিডি দলের হাল ধরতে পারেন আন্দ্রেয়া নালেস৷ কিন্তু নেতৃত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটানোর উদ্যোগ সত্ত্বেও জনমানসে দলের ভাবমূর্তির অধঃপতন কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না৷ সর্বশেষ জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী জার্মানির মাত্র ১৬ শতাংশ মানুষ এই দলের প্রতি আস্থা রাখেন৷ চলতি মাসের শুরুতে সমর্থনের মাত্রা ছিল ১৮ শতাংশ৷ এমনকি নালেস-এর নেতৃত্বের প্রতি মাত্র ৩৩ শতাংশ মানুষ আস্থা প্রকাশ করেছেন৷ তবে মার্টিন শুলৎসের বিদায়কে বেশিরভাগ মানুষই স্বাগত জানিয়েছেন৷ সামগ্রিকভাবে মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলগুলির উপর মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে৷ মহাজোট সরকার গড়ার প্রশ্নে এসপিডি সদস্যদের ভোটাভুটির ঠিক আগে এমন এক চিত্র দলের নেতাদের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিচ্ছে৷

এমন পরিস্থিতি সত্ত্বেও দলের নেতারা প্রকাশ্যে যথেষ্ট আশাবাদী৷ এসপিডি সদস্যরা মহাজোট সরকারে যোগ দেবার পক্ষে ভোট দেবেন বলে মনে করছেন তাঁরা৷ ২রা মার্চ পর্যন্ত ভোটগ্রহণের পর মার্চের প্রথম সপ্তাহান্তেই ফলাফল জানা যাবে৷ বৃহস্পতিবার দলের নেত্রী আন্দ্রেয়া নালেস এক ভাষণে বলেন, এখন সাধারণ মানুষের জন্য রাজনীতি করার শক্তি চাই৷ দলের অন্য নেতারাও সদস্যদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করে চলেছেন৷ কোয়ালিশন চুক্তির মধ্যে দলের স্বার্থের এত বড় প্রতিফলন সত্ত্বেও সরকারে যোগ না দিলে তার পরিণতি কী হতে পারে, সে বিষয়েও অনেকে সতর্ক করে দিচ্ছেন৷ তাঁদের মতে, এই সুযোগের সদ্ব্যবহার না করলে নতুন নির্বাচনে ভোটাররা দলকে আরও শাস্তি দিতে পারেন৷ অন্য একটি জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী, অবশ্য এসপিডি দলের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ সমর্থক মহাজোট গড়ার পক্ষে৷ তবে দলের সদস্যরাও সেই মত পোষণ করেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়৷

জনমত সমীক্ষায় ইউনিয়ন শিবির ৩৩ শতাংশ সমর্থন পেয়ে নিজেদের অবস্থান অপরিবর্তিত রাখতে পেরেছে৷ তা সত্ত্বেও সিডিইউ দলের মধ্যে ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ দূর হচ্ছে না৷ দলের অন্যতম নেতা নরবার্ট ব়্যোটগেন এক সাক্ষাৎকারে দলকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন৷ তবে তাঁর মতে, শুধু নেতৃত্বের মধ্যে তারুণ্যের বাতাস আনলেই চলবে না৷ সিডিইউ দলকে বর্তমান সময়কালের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জবাব দিতে হবে৷ সমাজে শরণার্থীদের সম্পৃক্ত করার চ্যালেঞ্জ থেকে শুরু করে ইউরোপের ভবিষ্যৎ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির মতো বিষয়ে সঠিক নীতি গ্রহণ করতে হবে, বলেন ব়্যোটগেন৷