1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাজনৈতিক দলগুলোর ১৫ আগস্ট

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
১৫ আগস্ট ২০১৯

১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী৷১৯৭৫ সালের এই দিনে ঘাতকরা তাঁকে সপরিবারে হত্যা করে৷ দিনটি বাংলাদেশে জাতীয় শোক দিবস৷

https://p.dw.com/p/3Nx8t
Bangladesch Mujibur Rahman, Gründungsfigur Bangladesch
ছবি: Getty Images/Ian Brodie/Daily Express/Hulton Archive

বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকীর যত কর্মসূচি তাদের আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনেরই প্রাধান্য দেখা যায়৷ সরকারি কর্মসূচিও পালন হয় অনেক৷ এর বাইরে অন্য রাজনৈতিক দল কিভাবে দিনটি পালন করে? তাদের কি কোনো কর্মসূচি থাকে?
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি(সিপিবি) শুরু থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে কর্মসূচি পালন করে আসছে৷ ৭৫-এর ১৫ আগস্টে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রথম প্রতিবাদ যারা করেছেন তাদের মধ্যে সিপিবির ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়ন অন্যতম৷ প্রতি বছরের মত এবারও সিপিবি ১৫ আগস্ট বিকেলে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে৷  সিপিবির ছাত্র সংগঠন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিলেও সিপিবি নেতারা এখন আর ফুল দিতে যান না৷
সিপিবির সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন,‘‘আমরা মনে করি ৭৫-এর ১৫ অগাস্ট বাংলাদেশে একটি প্রতিক্রিয়াশীল ক্যু সংঘটিত হয়েছিল৷ মুক্তিযুদ্ধের ধারা থেকে দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়াই ছিল এই ক্যুর লক্ষ্য৷ আর এর কারণেই এই দিবসটি আমরা পালন করি৷ মুক্তিযুদ্ধের প্রধান স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে আওয়ামী লীগ তার কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে দলীয়করণ করার কাজটাই করেছে৷''
ওয়াকার্স পার্টি অবশ্য আলাদাভাবে শোক দিবসের কোনো কর্মসূচি বা আলোচনা সভার আয়োজন করেনি৷ ওয়াকার্স পার্টি নেতা মোস্তফা আলমগীর রতন জানান, ১৪ দলের সাথেই তারা সকালে ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়েছেন৷ সেখানে ওয়ার্কার্স পার্টি আলাদাভাবে ফুল দিয়েছে৷ আর পার্টির প্রধান রাশেদ খান মেনন এমপি ঢাকায় তার নির্বাচনি এলাকায় কয়েকটি সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দেবেন৷ তিনি জানান,‘‘বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকীতে ওয়াকার্স পার্টিতে আলাদাভাবে কর্মসূচি পালনের রেওয়াজ নেই৷''
শোক দিবসে জাসদে(ইনু) আলাদা কোনো কর্মসূচি চোখে পড়ছে না৷দলটির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল্লাহিল কাইয়ূম বলেন,‘‘কোনো কর্মসূচির কথা আমার জানা নেই৷''
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ১৫ আগস্টে বিকেলে মতিঝিল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে৷ এটা তারা প্রতিবছরই করে৷ ওই দোয়া মাহফিলে কাদের সিদ্দিকী থাকেন না৷তিনি সারাদিন ‘বাসায় বন্দি থাকেন' এবং বিকেলে ধানমন্ডির ৩২ নাম্বারে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে যান৷সেখানে তিনি নামাজ পড়ে আবার বাসায় ফিরে যান বলে জানান দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী৷ তিনি বলেন,‘‘আওয়ামী লীগ আসলে বঙ্গবন্ধুকে তাদের দলীয় স্বার্থে কুক্ষিগত করতে চায়৷ তাই তারা চায় না দলের বাইরে সবাই বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী ,জন্মবার্ষিকী পালন করুক৷বঙ্গবন্ধু সবার৷ তিনি একক কোনো দলের না৷''
ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম এবার ১৫ অগাস্টে শোক দিবসে কোনো কর্মসূচি পালন করছে না৷ তবে তারা ১৭ আগস্ট দলীয় কার্যালয়ে এবং ২৪ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভা করবে বলে জানান দলটির নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী৷ তিনি জানান, এর আগে অবশ্য তারা প্রতিবছর ১৫ আগস্টেই আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন৷
ইসলামী দলগুলোর মধ্যে তরিকত ফেডারেশন প্রতিবছরই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে৷ এবারও তারা একই আয়োজন করেছে৷
দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি কখনোই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে কোনো কর্মসূচি পালন করে না৷ এবারও শোক দিবসে তাদের কোনো কর্মষুচি নেই৷তবে এই দিনটিতে তারা দলের প্রধান খালেদা জিয়ার জন্মদির পালন করে৷ তবে এবার তারা ১৫ আগস্টে খালেদা জিয়ার জন্মদিনের কোনো আয়োজন রাখেনি৷তারা আয়োজন রেখেছে ১৬ আগস্ট৷এনিয়ে বিএনপির দুই শীর্ষ নেতার কাছে জানতে চাইলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি৷

‘আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুকে তাদের দলীয় স্বার্থে কুক্ষিগত করতে চায়’

‘৭৫-এর ১৫ অগাস্ট বাংলাদেশে একটি প্রতিক্রিয়াশীল ক্যু সংঘটিত হয়েছিল’

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য