1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাত-কর্মীদের ঘুম রোগ

১৬ আগস্ট ২০১৪

বলেছেন এক জার্মান মনতস্ত্ববিদ৷ রাতের শিফ্টের পর যদি ঘুম আসতে অসুবিধে হয়, তাহলে ঘুমের ওষুধ নিলে আসক্ত হয়ে পড়ার বিপদ থাকে৷ তার বদলে এক কাপ চা খাওয়া, খবরের কাগজ পড়া কিংবা চান করা ভালো৷

https://p.dw.com/p/1Cul7
ছবি: BilderBox

জার্মানির বিভিন্ন শিল্পসংস্থা এবং সরকারি অফিসে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের দুর্ঘটনা বীমা সংস্থাগুলির মুখ্য সমিতিটির নাম হলো জার্মান স্ট্যাটিউটরি অ্যাক্সিডেন্ট ইনসিওরান্স৷ সমিতির সাইকোলজিস্ট হিলট্রাউট পারিডন ব্যবহারিক পরামর্শ দিতেও জানেন: দিনে ঘুমোতে হলে পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখা এবং ভারী পর্দা টেনে ঘর অন্ধকার করা প্রয়োজন৷

নানা পেশার মানুষদের নিয়মিতভাবে রাতে কাজ করতে হয়: ডাক্তার, নার্স, পুলিশকর্মী, রেলওয়ে কর্মী, কারখানা শ্রমিক৷ সেই সঙ্গে সম্প্রতি যোগ হয়েছেন কল সেন্টারের কর্মীরা৷ অথচ পারিডন জানেন: ‘‘শিফ্টে কাজ করাটা কোনোকালেই খুব স্বাস্থ্যকর নয়''; এছাড়া ‘‘আমাদের শরীর রাত্রে কাজের উপযোগী নয়''৷ কিছু মানুষ নাইট শিফ্টে কাজ করেও সুস্থ থাকেন, কিন্তু কোনো মানুষেরই বহুদিন ধরে রাতের শিফ্টে কাজ করা উচিত নয় – বলেন পারিডন৷

এর কারণ: শরীরের বহু ‘কাজ' চলে ২৪ ঘণ্টার ছকে৷ ঘুমের হরমোন মেলাটোনিন প্রধানত রাত্রে নিঃসৃত হয়৷ ঘুম সবচেয়ে গভীর হয় রাত দু'টো থেকে চার'টের মধ্যে৷ ভোরের দিকে আমরা আবার সজাগ হয়ে উঠি৷ এই ছন্দ ভঙ্গ হওয়ার ফলে রাতে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের ঘুম ব্যাহত হয়; হার্ট ডিজিজের ঝুঁকি বাড়ে; হজমের গোলমাল হয়৷ সেই সঙ্গে আরো আছে: শিফ্ট কর্মীরা সাধারণত খুব স্বাস্থ্যকর খাদ্য খান না৷ তাঁরা বেশি ধূমপান করেন এবং শরীরচর্চা বিশেষ একটা করেন না৷

অপরদিকে শিফ্টে কাজ করলে মানুষের সামাজিক যোগাযোগগুলি কমে আসে কিংবা ঢিলে হয়ে আসে৷ কাজেই শিফ্ট কর্মীদের নিয়মিতভাবে বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারবর্গের সঙ্গে দেখা করা ও যোগাযোগ রাখা প্রয়োজন – যেমন খাবার সময়৷ সেভাবেই তাদের সপ্তাহের কোনো বিশেষ দিনে জগিং করা কিংবা কোথাও বেড়াতে যাওয়া আবশ্যক৷ অপরদিকে ছুটির দিনগুলোকে নানা ধরনের কর্মকাণ্ড দিয়ে ভরিয়ে ফেলারও কোনো অর্থ হয় না৷ তা-তে শুধু উত্তেজনা এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে৷

এসি/ডিজি (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য