রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিপক্ষে পাঠকরা | পাঠক ভাবনা | DW | 30.09.2013
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিপক্ষে পাঠকরা

ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় এক প্রশ্নের জবাবে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিপক্ষে মতামত জানিয়েছেন অনেক পাঠক৷ তেতাল্লিশ হাজারের বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারীর ওয়ালে প্রদর্শিত প্রশ্নটিতে চার শতাধিক মন্তব্য জমা পড়েছে৷

গত ২০ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার ভারতের সাথে যৌথভাবে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করার চুক্তি করে৷ এই চুক্তি অনুসারে সরকার বাগেরহাটের রামপালে সুন্দরবন থেকে ১৪ কিলোমিটারের মধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়৷ তবে সুন্দরবনের কাছে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরোধীতা করছেন অনেকে৷ এরই প্রেক্ষিতে শুক্রবার জার্মানির আন্তর্জাতিক বেতার ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় প্রশ্ন করা হয়, ‘‘প্রিয় পাঠক, রামপালে প্রস্তাবিত কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে এখন চলছে ব্যাপক বিতর্ক৷ একদল বলছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে সুন্দরবন ধ্বংস হবে৷ অন্যদলের দাবি, বিদ্যুতের অব্যাহত চাহিদা মেটাতে দরকার এই কেন্দ্র৷ এক্ষেত্রে আপনার অবস্থান কি? আপনি কি সুন্দরবনের কাছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ সমর্থন করেন?''

সোমবার সকাল অবধি ডয়চে ভেলের এই প্রশ্নটি ফেসবুকে দেখেছেন তেতাল্লিশ হাজারের বেশি মানুষ৷ আর এতে মন্তব্য জমা পড়েছে চার শতাধিক৷ প্রশ্নটি লাইক করেছেন ২৯৮ ব্যক্তি, শেয়ার হয়েছে ২৪ বার৷

ডয়চে ভেলের প্রশ্নের উত্তরে অধিকাংশ পাঠকই সুন্দরবনের কাছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিপক্ষে মতামত দিয়েছেন৷ আরিফ হোসেন সাঈদ লিখেছেন, ‘‘পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ধ্বংস করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কিছুতেই সমর্থনযোগ্য নয়৷ যে বিদ্যুৎকেন্দ্র আন্দোলনের মুখে ভারত সরকার সেদেশে নির্মাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে সে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশের সুন্দরবন ধ্বংস করে বাংলাদেশের মাটিতেই করা সম্ভব কারণ এদেশের সরকারগুলো দেশের স্বার্থের কথা চিন্তা করে না৷ নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে বিদেশিদের পা চাটাই তাদের একমাত্র কর্ম৷''

ডয়চে ভেলের পাঠক রোকনুজ্জামান রনি লিখেছেন, ‘‘সুন্দরবন হচ্ছে বাংলাদেশ এর প্রাকৃতিক ঢাল যা নানা সময় আমাদের নানা রকম প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেছে৷ সুন্দরবন ধ্বংস করে এমন কিছু কাম্য নয়৷'' জহিরুল ইসলামের মন্তব্য, ‘‘সুন্দরবন ধ্বংস হোক বা না হোক তার কোনো যুক্তি ছাড়াই সুন্দরবনের কাছে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ সমর্থন করি না৷ ঋণ করে, নিজেদের পরিবেশের, জায়গার ক্ষতি করে বিদ্যুৎকেন্দ্র বানিয়ে ভারতের সঙ্গে মুনাফা ভাগাভাগি কেন? ভারত থেকে যেখানে ছয় টাকার কমে বিদ্যুৎ আনা যাচ্ছে সেখানে নিজের পয়সায় নিজের জায়গায় বিদ্যুৎকেন্দ্র বানিয়ে নয় টাকায় কেন বিদ্যুৎ কিনতে যাব?''

ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় প্রকাশিত প্রশ্নের উত্তর অনেকে দিয়েছেন সংক্ষিপ্তভাবে৷ তাদের মন্তব্য মোটামুটি এরকম, ‘‘সুন্দরবন ধ্বংস করে বিদ্যুৎকেন্দ্র চাই না৷''

রামপালের কাছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পক্ষে মন্তব্য করেছেন একজন মাত্র পাঠক৷ ডয়চে ভেলের প্রশ্নের উত্তরে মো. শহীদ হোসেন লিখেছেন, ‘‘হ্যাঁ, কেননা, সুন্দরবন থেকে প্রায় সত্তর কিলোমিটার দূরে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে৷ তাতে করে আমার মনে হয় সুন্দরবনের উপর কোনো প্রভাব পড়বে (না)৷'' বলাবাহুল্য, মো. শহীদ হোসেন তাঁর দাবিকৃত দূরত্বের সূত্র উল্লেখ করেননি৷ তাঁর এই মন্তব্যের বিরোধীতা করেছেন কয়েকজন পাঠক৷ কাজি মুসতাহিদ উজ্জামান তাঁর উদ্দেশ্যে লিখেছেন, ‘‘আপনি তথ্য না জেনেই এই মন্তব্য করেছেন!!!!''

সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন