1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রামপুরহাট-কাণ্ডে গ্রেপ্তার তিন

৩০ মার্চ ২০২২

সিবিআইয়ের তদন্তে নতুন মোড় দিতে পারে মৃত নাজিমা বিবির মৃত্যুকালীন বয়ান। গ্রামে ফিরছেন পুরুষরা।

https://p.dw.com/p/49Czg
রামপুরহাট
ছবি: Prabhakar Mani Tewari

বুধবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের তিনপ্রান্ত থেকে রামপুরহাট-কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে বীরভূম জেলা পুলিশ। তাদের তিনজনের বিরুদ্ধেই তৃণমূলের স্থানীয় নেতা এবং পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে হত্যা করার অভিযোগ আছে। এই তিনজনের মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও অনেকের নাম পাওয়া যাবে বলে মনে করছে পুলিশ।

এদিকে সিবিআই-ও বগটুই গ্রামে ঘরে ঘরে ঢুকে তদন্ত চালাচ্ছে। সিবিআইয়ের এক সূত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ২১ মার্চ ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। আক্রান্ত হন শেখলালের স্ত্রী নাজিমা। সিবিআই তদন্তভার হাতে পায় ২৫ মার্চ। প্রথম দিন থেকেই দিনের কোনো না কোনো সময়ে হাসপাতালে গিয়ে অন্তত একবার নাজিমার সঙ্গে দেখা করেছেন সিবিআই অফিসাররা।

মৃত্যুশয্যায় সিবিআই-কে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন নাজিমা। মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত সিবিআই তার কাছে থেকে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য সংগ্রহ করেছে। শুধু তা-ই নয়, তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে গ্রামে গিয়ে তা মিলিয়ে দেখা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখা হয়েছে। সিবিআইয়ের ওই সূত্রের বক্তব্য, নাজিনার ওই তথ্যসূত্র ধরেই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে সন্ধান পেয়েছেন অফিসাররা।

বস্তুত, বুধবার একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। দমকলের দুই কর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। এখনো পর্যন্ত যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের বয়ানের সঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিকে নাজিমার স্বামী শেখলাল জানিয়েছেন, ঘটনার দিন দোকান বন্ধ করে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় আক্রমণের খবর পান তিনি। বাড়ি ফিরতে চাইলেও স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে এবং তার ছেলেকে পাশের গ্রামে পালিয়ে যেতে বলেন। নাজিমার সঙ্গে সেদিন ছিলেন এক নাবালক আত্মীয়। ওই দিনই ওই নাবালক ছেলেটি তাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। নাবালক ছেলেটির বয়ান অনুযায়ী, ঘরে যখন হামলা হয়, নাজিমা তখন বাইরের লোহার দরজা বন্ধ করে দরজায় পিঠ দিয়ে বসেছিলেন। বাকিদের ঘরের ভিতর লুকোতে বলছিলেন। তারপরই ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।

কী ঘটেছিল রামপুরহাটের গ্রামে

আক্রমণকারীরা চলে যাওয়ার পরে দেখা যায় নাজিমার শরীরের নীচের অংশটি জ্বলে গেছে। সেই অবস্থাতেই এক প্রতিবেশীর সাহায্যে এক কিলোমিটার দূরের গ্রামে পায়ে হেঁটে যান। সেখান থেকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সিবিআই দল প্রতিদিনই তার সঙ্গে কথা বলে তথ্য জোগাড় করেছে।

মঙ্গলবার সিবিআই জানিয়েছিল, এই ঘটনার সঙ্গে বালি, পাথর এবং গরুপাচারের যোগ আছে। বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের রক্ষাকবচও মঙ্গলবার তুলে নিয়েছে আদালত। এর ফলে পৃথক গরুপাচার মামলায় সিবিআই অনুব্রতকে ডাকতে পারবে। এই ঘটনার সঙ্গেও সেই মামলা জুড়ে যেতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের অনুমান।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)