1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাশিয়ায় বনাঞ্চল সংরক্ষণে এক নারী

১৭ ডিসেম্বর ২০২০

শুধু গাছ কাটার কারণে নয়, অগ্নিকাণ্ড ও পোকার উপদ্রবেও বিশ্বের অনেক প্রান্তে বনজঙ্গল লোপ পাচ্ছে৷ রাশিয়ার এক নারী সেই প্রবণতা রুখতে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করছেন৷ মানুষকে সচেতন করারও চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/3msm8
Bashkortostan Sterlitamak Bashkir Soda Fabrik
ছবি: picture-alliance/dpa/V. Braidov

রুশ জলবায়ু তহবিলের প্রেসিডেন্ট মারিয়ানা মুন্টিয়ানু একেবারে তৃণমূল স্তরে বৃক্ষরোপণ থেকে শুরু করে প্রচার অভিযানের মাধ্যমে রাশিয়ার বনাঞ্চল সংরক্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছেন৷ পাইন গাছের চারা লাগানোর কর্মসূচির অংশগ্রহণকারীদের তিনি হাতেনাতে কৌশল শেখান৷ মারিয়ানা বলেন, ‘‘কাজটা খুব সহজ৷ চারাগাছ গর্তে বসাতে হবে৷ তার উপর মাটি ফেলে দেখতে হবে, সেটি ভালোভাবে বসেছে কিনা৷ সবশেষে টেনে দেখতে হবে, উপড়ে যাবে কিনা৷ ব্যস, খুব ভালো৷''

এই কর্মসূচির আওতায় মস্কো শহরের কাছে এক দিনে মাটিতে প্রায় ৮,০০০ চারা লাগানো হয়েছে৷ অদূর ভবিষ্যতেই সেখানে সুস্থ ও শক্তিশালী জঙ্গল সৃষ্টি হবে৷ সেই জঙ্গলের সবরকম বিপর্যয় প্রতিরোধ করার মতো শক্তি থাকবে৷ ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনেক স্বেচ্ছাসেবী মারিয়ানার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন৷ তিনি প্রায়ই মানুষকে এমন বৃক্ষরোপণের কাজে আমন্ত্রণ জানান৷ 

কারণ রাশিয়ায় অরণ্যের অবস্থা ভালো নয়৷ ঘনঘন অগ্নিকাণ্ডের ফলে বিশাল এলাকার বনাঞ্চল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে৷ বার্ক বিটল পোকার উপদ্রবেও গাছপালার ক্ষতি হচ্ছে৷ বিশ্বের অন্য কোনো দেশে রাশিয়ার মতো এত বেশি জঙ্গল নেই৷ দেশের প্রায় অর্ধেকই বনাঞ্চল৷ মারিয়ানা মুন্টিয়ানু বলেন, ‘‘২০১০ সাল থেকে আমি এই কাজ করছি৷ সে সময়ে গোটা দেশে বড় আকারের অগ্নিকাণ্ড দেখা যেতো৷ একটি ছবিতে দেখেছিলাম, বিশাল গাছগুলি কীভাবে বাতাসের ধাক্কায় মাঠের উপর দিয়ে সরে গেল৷ দেশলাইকাঠির মতো গাছ ভেঙে গেল৷''

সাত বছর আগে মারিয়ানা মস্কোয় এসে নিজস্ব পরিবেশ সংগঠন গড়ে তোলেন৷ তিনি নিজে অবশ্য বড় শহরের জীবনযাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন নি৷ বরং শৈশবে গ্রামের অভিজ্ঞতা তাঁর উপর বড় প্রভাব রেখেছে৷ মারিয়ানা বলেন, ‘‘আমি প্রকৃতি, বনজঙ্গল বড় ভালোবাসি৷ শিশু বয়সে গ্রামে দাদির বাড়িতে সবসময়ে গরমের ছুটি কাটিয়েছি৷ জঙ্গলের ধারেই দাদির বাড়ি ছিল৷ সপ্তাহে বেশ কয়েকবার আমরা বেরি ও মাশরুম সংগ্রহ করতাম৷''

৩১ বছর বয়সি মারিয়ানা মস্কোয় নিজের বাসায় বিশ্রাম নেবার সময়েও নিজের লক্ষ্যের কথা ভাবেন৷ বেশ কিছুকাল ধরে শুধু বৃক্ষরোপণের মধ্যে তাঁর কাজ সীমাবদ্ধ নেই৷ আরও মানুষের কাছে পৌঁছতে তিনি রাশিয়ার অন্যান্য পরিবেশ অ্যাকটিভিস্টদের সঙ্গে নিজস্ব এক পডকাস্ট পরিষেবা চালান৷

তিনি স্মার্টফোনের জন্য ‘প্লান্ট দ্য ফরেস্ট' নামের এক গেমও তৈরি করেছেন৷ এভাবে বনজঙ্গল সম্পর্কে উৎসাহ জাগাতে চান তিনি৷ বৃক্ষরোপণের জন্য চাঁদা তোলাও তাঁর লক্ষ্য৷ সেই গেম সম্পর্কে মারিয়ানা বলেন, ‘‘গেমারকে পয়েন্ট সংগ্রহ করতে হয়৷ সেই পয়েন্ট দিয়ে সে একটি জঙ্গল গড়ে তুলতে পারে৷ বনজঙ্গল সম্পর্কে উদাসীন না থেকে বনায়নের কাজে সহায়তা করতে ইউজারদের উদ্বুদ্ধ করাই হলো লক্ষ্য৷''

নিজের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে মারিয়ানা গত বছর ‘ইয়ং চ্যাম্পিয়ন অফ দ্য আর্থ' নামের জাতিসংঘের পরিবেশ পুরস্কার পেয়েছেন৷

তাতিয়ানা কন্ড্রাটেনকো/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য