1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাষ্ট্র ইচ্ছে করেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে না: আলী রীয়াজ

১ জুলাই ২০২২

প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা রাষ্ট্র ইচ্ছে করে দিচ্ছে না বলে মনে করেন প্রফেসর আলী রীয়াজ৷ বছরের পর বছর ধরে শিক্ষক নিগ্রহ, নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে৷ এসব ঘটনায় সরকার ও রাষ্ট্র কোথায় ছিল, এমন প্রশ্নও তুলেছেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/4DY5k
ছবি: DW

‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ ইউটিউব টকশোতে এবারের আলোচনার বিষয় ছিল শিক্ষকের মর্যাদা ও রাজনীতির ক্ষয়৷ আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর আলী রীয়াজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন৷

রাষ্ট্র ইচ্ছে করে নাগরিকদের নিরাপত্তা দিচ্ছে না৷ এমন মনে করার কারণ জানতে চাইলে প্রফেসর রীয়াজ বলেন, ‘‘স্বপন কুমার বিশ্বাসের ঘটনার সময় ডিসি এবং এসপি উপস্থিত ছিলেন৷ তারা কী করেছেন বলুন তো? পুলিশ উপস্থিত ছিল যখন জুতার মালা পরানো হয়, তাই না? ডিসি-এসপির কি দায়িত্ব ছিল না একজন নাগরিককে প্রটেক্ট করা? এই যে বিভাজনের রাজনৈতিক সুবিধা, রাষ্ট্রের ভূমিকার না পালন করার বিষয়ে সেগুলো নিয়ে আমরা কোনো প্রশ্ন তুলছি না৷’’

প্রফেসর আলী রীয়াজ বলেন, ‘‘সরকারের তো একটা দায়িত্ব ছিল, যেকোনো ধরনের ভিন্নমত আপনি সহ্য করবেন কিনা৷ ভিন্নমত সহ্য করার জন্য একটা সরকারের বা রাষ্ট্রের কাজ হচ্ছে সেটা রক্ষা করা৷ সেক্ষেত্রে সরকার কোথায় ছিল, সে প্রশ্নটা করুন৷’’

তিনি বলেন, ‘‘গোটা দেশজুড়ে যা হচ্ছে, আপনি সহিষ্ণুতার পরিবেশ নষ্ট করে দিচ্ছেন৷ আজকের পরিস্থিতি কেবল ধর্মের নামে আঘাত করা নিয়ে তৈরি হয়নি৷ রাজনীতিসহ অন্য অনেক কিছু নিয়েই ভিন্নমতের প্রতি অসহিষ্ণুতা তৈরি হচ্ছে৷’’

জনগণ সাম্প্রদায়িকতার দিকে ঝুঁকছে বলে সরকারও জনপ্রিয়তার সুবিধা নিতে চাচ্ছে, নাকি সরকার নিজেদের সুবিধার জন্য সাম্প্রদায়িকতা উসকে দিচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন মনে করেন, দুটোই সমানভাবে ঘটে চলেছে৷ তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে যতগুলো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এসেছে, তারা প্রত্যেকেই এই গুটিটাকে ব্যবহার করেছে৷ আমার পর্যবেক্ষণ তাই বলে৷ এই পপুলার ভোট দিয়েই তারা বৈতরণী পার হতে চায়৷’’

তিনি বলেন, ‘‘আমার মনে হচ্ছে যে সরকার বোধ হয় সবক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ দেখাতে পারছে না৷ বরঞ্চ যখন যে অংশটা ফুঁসে উঠছে, তাদের খুশি করার জন্য তড়িঘড়ি করে কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছেন৷ এবং এক ফুটো সারাতে গিয়ে আরেক ফুটো তৈরি হচ্ছে, সেই ছিদ্রটা আরো বড় হয়ে যাচ্ছে৷ আমার কাছে মনে হচ্ছে, সেই জায়গাটা বোধ হয় তারা আর ব্যালেন্স করতে পারছেন না৷’’

এডিকে/এআই