1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাহুল দেব বর্মনের ৭১তম জন্মবার্ষিকী

২৭ জুন ২০১০

চলে গেছেন আজ থেকে ১৬ বছর আগে, বস্তুত অকালে৷ আমাদের ‘আর.ডি.’’৷ যারা আরো ভালোভাবে চেনেন কিংবা অন্তরঙ্গ, তাদের ‘পঞ্চম’ বা ‘পঞ্চম-দা’৷

https://p.dw.com/p/O4Cv
এই শহরেই রাহুল দেবের জন্মছবি: DW

নাম করেছেন হিন্দি ফিলিমে সুর দিয়ে৷ অথচ তাঁর মধ্যে একটি নিছক বাঙালিত্ব ছিল৷ আশ্চর্য, এই যে আমি গরচা পাড়ার বাসিন্দে, বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের সেন্ট লরেন্স হাই স্কুলের পড়ুয়া - আমার জীবনে সশরীরে এসেছেন রাহুল দেব নানাভাবে৷ প্রথমত, তিনি গোড়ায় ছিলেন বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট হাইস্কুলের ছাত্র, ঠিক সেন্ট লরেন্সের উল্টো দিকে: ভাবা যায়?

পরে, নাম করব না, কিন্তু আর.ডি. আমাদের এক পাড়াতুতো দাদা'র ভীষণ বন্ধু ছিলেন, যিনি থাকতেন ঐ গরচা ফার্স্ট লেনে৷ আর.ডি.-কে হামেশাই দেখতাম সেই দাদার বাড়িতে যেতে আসতে৷ পরে আশি'র দশকে আর.ডি.-কে দেখেছি খোদ আশা ভোঁসলেকে সঙ্গে করে পল্লীতে আসতে: আমাদের বাড়ির উল্টো দিকে ‘আনন্দম' নামের একটি ফ্যান্সি দোকানে বোধহয় আশা'কে শাড়িও বাছতে দেখেছি!

কিন্তু এ'সব তো অনেক পরের কথা৷ মনে আছে, আমরা ক্লাশ এইটে৷ পুজোর সময় রীলিজ, ‘তিসরি মঞ্জিল', বসুশ্রী সিনেমা হলে৷ আমাদের অষ্টমীর দিনের টিকিট কাটা ছিল৷ দেখতে গেছিলাম ‘এস.ডি.', মানে শচীন কত্তা, মানে শচীন দেব বর্মনের ফ্যান হয়ে৷ বেরোলাম আর.ডি.-র ফ্যান হয়ে৷ ওটাই ছিল আর.ডি.-র প্রথম হিট ছবি৷ ‘‘ও হাসিনা জুলফোওয়ালি'' আর ‘‘আ যা, আ যা'', দুটো গানেই বম্বে ফিল্মের হাওয়া পাল্টে গেল৷

বাবা, মানে পিতৃদেব, সাধারণত গানের ব্যাপারে রবীন্দ্রলোক থেকে নামতেন না৷ তাই একদিন তর্কের খাতিরে তাঁকে বোঝাচ্ছিলাম, ‘তোমার ও সব পুরনো গান শুনে কি হবে৷ আমরা আর.ডি. শুনি৷' পিতৃদেব চোখ মিটমিট করে বললেন: ‘রাহুল দেব? শচীন দেবের ছেলে?' আমি বললুম: ‘তুমি শচীন দেবেরও নাম শুনেছো?' বাবা বললেন: ‘নাম নয়, গান শুনেছি৷ আমাদের বঙ্গবাসী কলেজের হোস্টেলে আসতেন৷'

সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম