1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘নেকড়ের শহর’

৪ মার্চ ২০১৩

১৩ বছর আগে শহরটিতে সবাই বসেছিলেন নেকড়ের কবল থেকে বাঁচার উপায় খুঁজতে৷ নেকড়ে থাকলে জীবন বিপন্ন - এমন ভয় ছিল প্রায় সবার মনেই৷ জার্মানির সেই রিচেনেরই অন্য নাম এখন ‘নেকড়ের শহর’৷

https://p.dw.com/p/17pg2
ছবি: Getty Images

আতঙ্ক নয়, মাংসাশী এই প্রাণীকে কৃতজ্ঞচিত্তে পাশে রেখেই শান্তিতে বাস করছে সবাই৷

অসাধারণ কাজের প্রভাবটাও হয় সুদূরপ্রসারি৷ তাই গ্রিম ভাইয়েরা কবে লিখে গিয়েছিলেন ‘বিগ ব্যাড উল্ভস'৷ সেই থেকে নেকড়ে আদতে যতটা তার চেয়ে অনেক বেশি ভীতিকর হয়ে আছে জার্মানদের মাঝে৷ ১৩ বছর আগে বহুকাল পর আবার নেকড়েদের ফিরে আসতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল সাবেক পূর্ব জার্মানির শহর রিচেনের মানুষ৷ এখন হাতে গোনা কয়েকটা হলে কী হবে, ধীরে ধীরে বংশবিস্তার করে নেকড়েরা পরে মানুষ ধরে ধরেই খাবে - এমন ভয় যে অমূলক তা বোঝাতে, সবার মনে আস্থা প্রতিষ্ঠা করতে অনেক কাজ করতে হয়েছে নেকড়ে বিষয়ক স্থানীয় তথ্যকেন্দ্রকে৷ সেখানকার জীববিজ্ঞানী ভানেসা লুডভিশ জানালেন এখন আর মানুষের মনে ভয় নেই৷ তাঁরা জেনে গেছেন নেকড়েরা বয়স দু বছর হবার আগেই মা-বাবাকে ছেড়ে চলে যায়, খুঁজে নেয় নিজের জন্য অন্য রাজত্ব৷

বিশাল পাইন বন, যেখানে রয়েছে হরিণ, শূকরসহ অনেক বন্য প্রাণী, আছে বেশ কিছু হ্রদ - এসবের মাঝেই ছোট্ট, সুন্দর শহর রিচেন৷ মাত্র ৩ হাজার ৭০০ মানুষের এই শহরে সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের গোলাগুলি কিংবা কয়লা খনির শব্দে কিছুই যায় আসে না নেকড়েদের৷ বনাঞ্চলের বিশেষ জায়গাগুলোতে রয়েছে বিদ্যুতায়িত তারের বেষ্টনী৷ যখন তখন চাইলেও যে তারা জনবসতিতে চলে আসবে তার উপায় নেই৷ তবু যে গভীর রাতে শিকারের খোঁজে পা টিপে টিপে আসে না তা কিন্তু নয়৷ তবে গত ১৩ বছরে একবারও কোনো মানুষের ওপর হামলা চালায়নি৷ নেকড়েদের প্রিয় শিকার গবাদি পশু৷ রিচেনের ছাগল আর ভেড়াদের জন্য সবচেয়ে খারাপ সময় ছিল গত বছর৷ এক বছরে অন্তত ৫০ বার হামলা চালিয়েছে নেকড়েরা৷ ৩৩টি ছাগল আর ভেড়া হারিয়েছিলেন এক কৃষক৷ তারপরও কোনো দুঃখ নেই তাঁর৷ নেকড়ে দেখতে শত শত মানুষ আসছে রিচেনে৷ আরো কতভাবে যে উপকার করছে নেকড়েরা৷ কয়েকটা ভেড়া আর ছাগল মেরেছে বলে নেকড়েদের ওপর রাগ পুষে রাখলে চলে? তবে ওই অঞ্চলের শিকারীরা খুব রেগে আছেন৷ বনে শিকার করতে গিয়ে প্রায়ই খালি হাতে ফিরতে হয় তাঁদের৷ কেন? শিকার করার মতো সব প্রাণীই যে খেয়ে ফেলে নেকড়েরা, শিকারীদের জন্য কিছু থাকলে তো!

এসিবি/এসি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য