1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোনাল্ডো আবার মাঠে ফিরতে চলেছেন

১৫ মে ২০১১

ব্রাজিলের রোনাল্ডো, ফুটবলে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ফরোয়ার্ডদের একজন৷ ‘অবসর' নেন গত ফেব্রুয়ারিতে৷ এবার তাঁর মাঠে ফেরার পরিকল্পনায় সকলে খুশি নন৷ কিন্তু ফ্যানরা উচ্ছ্বসিত, উদ্বুদ্ধ৷

https://p.dw.com/p/11GKy
‘অবসর' নেওয়া সহজ নয় এমন এক ফুটবলের পক্ষেছবি: AP

‘ইল ফেনোমেনো' বা ‘দ্য ফেনমেনন', অভিধানে যার বাংলা করা আছে: ইন্দ্রিয়গোচর বস্তু বা বিষয়৷ আখ্যাটি দিয়েছিল ফুটবলার যেখানে আগাছার মতো গজায়, সেই ব্রাজিলের মানুষ৷ ব্রাজিলের ‘ফাভেলা' অর্থাৎ বস্তিবাড়িগুলো থেকে বেরিয়ে অনেক কিশোরই নিত্য অলিতে-গলিতে ম্যাজিক ফুটবল দেখায়৷ রোনাল্ডো ছিলেন সেই রকমের একটি ষোলো বছরের কিশোর৷ বাকিটা ইতিহাস৷ অর্থাৎ ব্রাজিলের হয়ে দু'বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন৷ স্বকীয় কৃতিত্বে তিনবার বিশ্বের সেরা ফুটবলার৷

Flash-Galerie Fußballspieler Ronaldo Nazario de Lima
‘ইল ফেনোমেনো' বা ‘দ্য ফেনমেনন' ব্রাজিলের রোনাল্ডোছবি: AP

বলতে কি, মোটামুটি হাঁটুর কারণেই রোনাল্ডো ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন৷ একাধিকবার অস্ত্রোপচার করেও সে হাঁটু ঠিক করা যায়নি৷ টেলিভিশনের পর্দায় প্রায় প্রথম দর্শন থেকে রোনাল্ডোর ফ্যান এই প্রতিবেদকের ধারণা, ওটা রোনাল্ডোর ঐ বিস্ফোরণের মতো স্টার্ট নেওয়ার কারণে৷ বিপক্ষের মাঠার্ধে হয়তো ঢুলু ঢুলু চোখে ঘুরে বেড়াচ্ছেন: বল পেলে, কিংবা বল পাবার সুযোগ দেখলে হঠাৎ ফর্মুলা ওয়ান রেসের গাড়ির মতো স্টার্ট নিতেন৷ এক কথায়, বিস্ফোরিত হতেন৷ আমরা বলতাম, রোনাল্ডোর আগে সব ফরোয়ার্ড ছিল প্রপেলার প্লেন; রোনাল্ডোই প্রথম জেট ফরোয়ার্ড৷ সে গতি কোনো নশ্বর হাঁটুর পক্ষে সহ্য করা সম্ভব নয়৷

এবার সেই রোনাল্ডো তাঁর শেষ দল, সাঁও পাওলো'র করিন্থিয়ানদের হয়ে কয়েকটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলবেন৷ যেমন ২৫শে মে ইন্টার মিলানের বিরুদ্ধে, ২রা জুন বার্সেলোনার বিরুদ্ধে - যদিও এগুলো চূড়ান্ত হওয়া এখনও বাকি৷ শোনা যাচ্ছে, রোনাল্ডো পাবেন ম্যাচ-প্রতি বিশ লাখ ইউরো৷ অবসরজীবনে উপরি রোজগার হিসেবে খারাপ কি? বয়সও তো হল: রোনাল্ডোর বয়স এখন ৩৪৷ ও হ্যাঁ, ‘সেলেসাঁও', অর্থাৎ জাতীয় একাদশ থেকেও রোনাল্ডো বিদায় নিচ্ছেন রুমেনিয়ার বিরুদ্ধে একটি ফ্রেন্ডলির মাধ্যমে৷

আর কি করছেন রোনাল্ডো? ঐ তো, গত সপ্তাহেই প্রথম বার ৮০০ জন কোম্পানি ম্যানেজারের জন্য একটি মোটিভেশন সেমিনার দিয়েছেন৷ ম্যানেজাররা কতোটা প্রেরণা পেয়েছেন বা উদ্বুদ্ধ হয়েছেন, বলতে পারব না৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন