1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোমা সম্প্রদায় নিয়ে ইইউ-এর বক্তব্যের সমালোচনায় ফ্রান্স

১৫ সেপ্টেম্বর ২০১০

রোমা সম্প্রদায়ের আগমন ঠেকাতে ফ্রান্স কর্তৃক প্রণীত রোমা নীতির বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমালোচনার জবাব দিয়েছে ফ্রান্স৷ ইউরোপ বিষয়ক ফরাসি মন্ত্রী পিয়ারে লিলাওছে বলছেন, ইইউ জাস্টিস কমিশনারের বক্তব্য ‘অশোভন’৷

https://p.dw.com/p/PCbd
ফ্রান্স থেকে বিতাড়িত রোমা সম্প্রদায়ের এক সদস্যছবি: picture-alliance/dpa

ইউরোপের রোমা সম্প্রদায় দারিদ্রের জন্য রুমেনিয়া ও বুলগেরিয়ায় নিজেদের আবাস ছেড়ে প্রায়ই ফ্রান্সে পাড়ি জমাচ্ছে৷ আর বিপত্তিটা সেখানেই৷ গত কয়েক মাসের মধ্যে অন্তত এক হাজার জিপসি বা রোমা সম্প্রদায়ের মানুষকে ফ্রান্স সরকার রুমেনিয়া ও বুলগেরিয়ায় চলে যেতে বাধ্য করেছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের জাস্টিস কমিশনার ভিভিয়ান রেডিংগস গত মঙ্গলবার রোমা সম্প্রদায়ের মানুষদের বের করে দেয়ার এ নীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন৷ বলেছেন, এটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি৷

মূলত অর্থনেতিক মন্দার কারণেই যাযাবর সম্প্রদায় রোমারা রুমেনিয়া এবং বুলগেরিয়া ছেড়ে ইটালি বা ফ্রান্সে পাড়ি জমাচ্ছে৷ ২০০৯ সাল থেকে ইউরোপের ২৭টি দেশের মধ্যে রুমেনিয়া অর্থনৈতিক মন্দার শিকার হয়৷ চলতি বছরও দেশটির এ থেকে পরিত্রাণের খুব একটা চিত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে না৷ ইতিমধ্যে সেখানকার সরকার ঋণের জন্য আইএমএফ-এর শর্তানুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের বেতন কর্তন করে নেয়ার মত বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে৷

রোমা অধিকার সংগঠন আমারে রোমেনজার হিসাবে, রুমেনিয়ার রোমা সম্প্রদায়ের যেসব লোক বিদেশে যাচ্ছেন তারা খুবই দরিদ্র৷ তবে এদের সংখ্যা হবে ৫ লক্ষ ৩০ হাজারের মতো, জানাচ্ছে সংগঠনটি৷ অপরদিকে, বুলগেরিয়ায় প্রায় ৮ লক্ষ রোমা বাস করে৷ সরকারি হিসেবে এই সংখ্যা সাড়ে ৩ লাখ৷ ইউরোপীয় আদমশুমারি মতে সাইবেরিয়ায় প্রায় সাড়ে চার লক্ষ এবং স্লোভাকিয়ায় সাড়ে তিন লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ ৩০ হাজার রোমা বাস করে৷ ধারণা করা হয় গত পাঁচ বছরে ৫ লক্ষ রোমা বুলগেরিয়া ত্যাগ করেছে৷

ফ্রান্স তাদের দেশে রোমা সম্প্রদায়ের মানুষের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে৷ তারপরও যারা সেই দেশে ঢুকে পড়ছে এবং যারা পুলিশের হাতে ধরা পড়ছে তাদের জোর করে বের করে দেয়া হচ্ছে৷ প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজির এহেন নীতির সমালোচনা উঠেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এমন কি খোদ নিজ দেশেও৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ