1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোমের অতীত যুগে ভার্চুয়াল ভ্রমণ

৩০ আগস্ট ২০১৮

ইটালির রাজধানী রোম ইতিহাস, ঐতিহ্য, স্থাপত্য, শিল্পকলা, সভ্যতার নানা চিহ্নে সমৃদ্ধ৷ পর্যটকরা তার কিছুটা স্বাদ পেলেও অতীত যুগ থেকে শহরের বিবর্তন প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পান না৷ এবার অ্যানিমেশনের মাধ্যমে সেই অভাবও পূর্ণ হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/341Jg
ছবি: picture-alliance

বিভিন্ন যুগে রোম শহরের বিবর্তন চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ধরে রাখা হয়েছে৷ ফলে ‘চিরন্তন' বা ‘অমর' বলে পরিচিত এই শহরের অতীতে পাড়ি দেবার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে৷ কম্পিউটার অ্যানিমেশন বিশেষজ্ঞ ইয়োর্গ কুর্টিয়াল বলেন, ‘‘মনে হয়, রোম যেন আমাদের জীবনের ব্লুপ্রিন্ট৷ আমরা যেভাবে বাঁচি, আমাদের সভ্যতা, আইন প্রণয়ন, রাজনীতি, আমাদের আশেপাশের সবকিছু৷ স্থাপত্য, শিল্প ও নন্দনতত্ত্ব সম্পর্কে ধারণা – এ সবের ভিত্তি আসলে এই সংস্কৃতি৷''

জার্মানির ডার্মস্টাট শহরে ‘ফাবার কুর্টিয়াল' স্টুডিওতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রোম সৃষ্টি করা হয়েছে৷ বেশ কয়েক বছর ধরে সেখানে হারিয়ে যাওয়া জগত সৃষ্টি করা হয়৷ খুঁটিনাটি বিষয়গুলি ফুটিয়ে তুলে টিমের সবাই গর্ব অনুভব করে৷

তবে কম্পিঊটারের পর্দায় রোম শহর সৃষ্টি করা বিশেষজ্ঞদের কাছেও বড় চ্যালেঞ্জ৷ ১০ জন কর্মী প্রায় ৬ মাস ধরে সেই কাজে ডুবে ছিলেন৷ কুর্টিয়াল বলেন, ‘‘শহরটিতে প্রায় ৪০,০০০ বাড়িঘর, ২,০০০ ভিলা ও ভবন, অসংখ্য মন্দির, ১১টি থার্মাল বাথ রয়েছে৷ বিশাল মাত্রার কাজ৷ আজও সেই রোমে পা রাখলে আমরা তাজ্জব বনে যেতাম৷''

শুধু তাই নয়, আসলে এখানে রোম শহরের তিনটি সংস্করণ সৃষ্টি করা হয়েছে৷ যতটা নিখুঁতভাবে সম্ভব শহরের প্রাচীন আমল, সাম্রাজ্যের শেষ পর্ব এবং রেনেসাঁ আমলের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷ টিমে একজন প্রত্নতত্ত্ববিদও রয়েছেন৷ তবে শিল্পের খাতিরে কিছুটা কল্পনার আশ্রয় নেওয়ার অনুমতি রয়েছে৷ ইয়োর্গ বলেন, ‘‘আমরা সৃজনশীল মানুষ৷ তাই কল্পনার অবশ্যই একটা ভূমিকা রয়েছে৷ আমরা এখানে যা করছি, তা এক অভিযানের মতো৷ একটা গন্তব্যে পৌঁছতেই আমরা রওয়ানা হয়েছি৷''

ইয়োর্গ এমন অনেক অভিযানে অংশ নিয়েছেন৷ পর্যবেক্ষকরা যাতে নিজেকে সেই সব জায়গায় কল্পনা করতে পারেন, প্রত্যেকবার সেই লক্ষ্যই সামনে ছিল৷

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টেলিভিশনের জন্যই এমন অ্যানিমেশন সৃষ্টি করা হয়৷ যেন টাইম মেশিনে চেপে অতীতে পাড়ি দিয়ে কাল্পনিক মুহূর্তের ছবি দেখা যাচ্ছে৷ এমন সৃষ্টির পেছনে কি শিশু বয়সের ইচ্ছা কাজ করেছে? সে কথা স্বীকার করে নিয়ে ইয়োর্গ কুর্টিয়াল বলেন, ‘‘কার না এমন সাধ থাকে! অবশ্যই সেই ইচ্ছা থেকে গেছে৷ শিশু বয়স থেকেই টাইম মেশিনের স্বপ্ন ছিল৷ সেটাই যেন চরম প্রাপ্তি৷''

ভার্চুয়াল রিয়ালিটির কল্যাণে ইয়োর্গ তাঁর স্বপ্নের কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন৷ ফলে রোমের কলোসিয়ামে সম্রাটের গ্যালারিতে ঢুঁ মেরে আসা যায়৷ অথবা সাহস থাকলে গ্ল্যাডিয়েটরদের লড়াইয়ের মাঝে গিয়ে পড়া যায়৷ ইয়োর্গ বলেন, ‘‘আসলে বিষয় হিসেবে রোম কখনো শেষ হয়নি৷ আমার মতে, সব সহকর্মী ও আমি বাকি জীবন ধরে এই মডেল নিয়ে কাজ করে যেতে পারি৷ তাতে নানা দিক ও নতুন জ্ঞান যোগ করা যেতে পারে৷ সেই বৈচিত্র্য মডেলটিকে অনন্ত করে তুলতে পারে৷ কখনোই সেই কাজ সমাপ্ত হতে পারে না৷''

ডিজিটাল রোম অ্যানিমেশন কোম্পানির কম্পিউটারে ‘অনন্তকালের শহর' হিসেবে অমর থাকতে চলেছে বলে মনে হচ্ছে৷

নিকো ভিয়ালকোভিচ/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য