1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোমে খোলা হলো ‘আবর্জনার হোটেল'

৫ জুন ২০১০

শহরের মাঝে হোটেল৷ দেওয়াল কিন্তু আবর্জনা দিয়ে তৈরি! ভিতরে থাকতে কেমন লাগবে? শিল্পের খাতিরে এমনই একটি অস্থায়ী হোটেল চালু হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/Nic0
রোমে ‘ট্র্যাশ পিপল’ প্রদর্শনীছবি: AP

কোথাও বেড়াতে গিয়ে সুন্দর হোটেলে থাকতে কার না ভালো লাগে? জানালা থেকে সুন্দর দৃশ্য, ঘরে বসেই খাবার-দাবার অর্ডার করা – কয়েক দিনের জন্য এমন বিলাসিতায় থাকার আরামই আলাদা৷ কিন্তু হোটেল যদি আবর্জনা দিয়ে তৈরি হয়?

ইটালির রাজধানী রোম'এ এক অভিনব হোটেল খোলা হয়েছে৷ প্রায় ১২ টন আবর্জনা দিয়ে হোটেলের বাইরের অংশ ঢেকে ফেলেছেন জার্মান শিল্পী এইচ এ শুল্ট৷ আবর্জনার স্তূপ থেকে পালিয়ে না গিয়ে তিনি চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে চান, মানুষ কত আবর্জনা সৃষ্টি করে৷ শনিবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে তিনি সচেতনতা বাড়ানোর এই উদ্যোগ তুলে ধরেন৷

Trash People vor den Pyramiden Kairo
মিশরের পিরামিডের সামনে ‘ট্র্যাশ পিপল’ছবি: HA Schult

৩ থেকে ৭ই জুন অস্থায়ী এই ‘হোটেল' চালু থাকবে৷ এই বাড়ির দেওয়ালে পুরানো টিনের কৌটো, টুপি, ভাঙা ক্যামেরা থেকে শুরু করে জুতো, মোজা, ফুটবল – কত কী যে শোভা পাচ্ছে! ইউরোপের বিভিন্ন সমুদ্রতট থেকে এই সব আবর্জনা সংগ্রহ করা হয়েছে৷ শুল্ট বলেন, ‘‘সমুদ্রতটে যে আবর্জনা পাওয়া যায়, তা যে কোথা থেকে ভেসে এসেছে, তা বলা কঠিন৷ আফ্রিকা, ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকার এই সব আবর্জনা মিলে-মিশে একাকার হয়ে যায়৷ আমরা আসলে আবর্জনার এক গ্রহে বসবাস করি৷''

বহুকাল ধরেই শুল্ট শিল্পের খাতিরে আবর্জনা ঘেঁটে চলেছেন৷ নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন সেতুর নীচে, মিশরের পিরামিডের সামনে, মস্কোর রেড স্কোয়্যারে, চীনের প্রাচীর ইত্যাদি জায়গায় তিনি ‘ট্র্যাশ পিপল' নামে ১,০০০ মানুষের মূর্তির প্রদর্শনী করেছেন৷ বলাই বাহুল্য, সেই সব মূর্তি আবর্জনা দিয়েই তৈরি৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: জাহিদুল হক