1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেবে মিয়ানমার’

২ অক্টোবর ২০১৯

নাগরিক হিসেবে শনাক্তের পর রোহিঙ্গাদের পরিচয়পত্র দিতে মিয়ানমার সম্মত হয়েছে বলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন৷ এটিকে ঢাকার জন্য বড় অর্জন হিসেবেও দেখছেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/3QdpO
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pirunla-ong

ঢাকায় বুধবার এক আলোচনা সভায় মোমেন বলেন, ‘‘নাগরিকত্ব শনাক্তকরণে রোহিঙ্গাদের যে আবেদনপত্র পূরণ করতে দেওয়া হয়েছিল, তাতে ভুল থাকার কথা মিয়ানমার স্বীকার করেছে৷ শনাক্ত হওয়া নাগরিকদের যত দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে মিয়ানমার৷''

‘‘তারা নতুন নতুন ফরম দিতে এবং নাগরিকত্ব শনাক্ত হওয়ার পর সবাইকে জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে রাজি হয়েছে৷'' 

জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে গত ২৪ সেপ্টেম্বর চীনের মধ্যস্থতায় বৈঠকে বসেন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরানোর আনুষ্ঠানিক সংলাপে চীনকে সঙ্গে নিয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় যৌথ কার্যনির্বাহী ফোরাম গঠনে মিয়ানমার সম্মতি দেয়৷

বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে, যাদের মধ্যে সাড়ে সাত লাখ এসেছে ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে নতুন করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন শুরু হওয়ার পর৷ জাতিসংঘ ওই অভিযানকে জাতিগত নির্মূল হিসেবে বর্ণনা করে আসছে৷ দুই দফা উদ্যোগ নিয়েও রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেনি বাংলাদেশ৷

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনের দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের অনিশ্চয়তা যে আঞ্চলিক সংকটের মাত্রা পেতে যাচ্ছে তা বিশ্বকে উপলব্ধি করার আহ্বান জানিয়ে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে চারটি প্রস্তাব দিয়েছেন৷

ক্যাম্পে বেড়া না দেয়ার আহ্বান

সারা দেশে রোহিঙ্গাদের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনে সরকার সিদ্ধান্ত নিলেও সেই পরিকল্পনা স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷

এক বিবৃতিতে মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠনটি বলছে, যখন কর্তৃপক্ষের উচিত শিবিরে আশ্রয় গ্রহণকারীদের সুরক্ষা দেয়া, তখন এমন নিরাপত্তা বিষয়ক পদক্ষেপ নেয়া উচিত হবে না৷ প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলো রোহিঙ্গাদের মুক্তভাবে চলাচল সীমাবদ্ধ করবে এবং এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের গুরুত্ব ও ভারসাম্য রক্ষা করে না৷ 

রোহিঙ্গারা পতিতাবৃত্তিতে জড়াচ্ছেন কেন?

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, মিয়ানমারে ভয়াবহ নৃশংসতা থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তিনি ওই আশ্রয় শিবিরকে একটি মুক্ত বন্দিশিবির বানাতে চাইছেন৷ রোহিঙ্গাদেরকে বাইরের দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সরকার বিশ্বজুড়ে যে শুভেচ্ছা বা সুনাম অর্জন করেছে তাকে ঝুঁকিতে ফেলছে৷

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল গত ২৮ সেপ্টেম্বর জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া, গার্ড টাওয়ার এবং ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন৷

এসআই/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)