লকডাউন মানাতে দেশে দেশে পুলিশের তৎপরতা

আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ার কিছু মানুষ এখনো করোনা ভাইরাসের বিপদটা ঠিক বুঝতে পারছেন না। লকডাউন না মেনে তাই অনেকে আনন্দে মেতেছিলেন রাজধানী মোগাদিসুর লিডো সৈকতে। তাদের অস্ত্র উঁচিয়ে ভয় দেখিয়ে ঘরে পাঠায় পুলিশ।

জেরুসালেমে কট্টর ইহুদিরাও লকডাউন মানতে চাননি। তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর হতে হয়েছে পুলিশকে।

বৃটেনের ব্রাইটন শহরে লকডাউন না মানা একজনকে বুঝিয়ে ঘরে পাঠাচ্ছে পুলিশ।

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালার রাজধানী গুয়াতেমালা সিটির কিছু মানুষ আরো বেপরোয়া। কারফিউ অমান্য করে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছিলেন তারা। হাতকড়া পরিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় তাদের।

করোনা ভাইরাসের কাছে পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রও বড় অসহায়। মৃত্যুর মিছিল নেমেছে সে দেশে। তারপরও টনক নড়েনি অনেকের। নিজের প্রতি, দেশের প্রতি দুর্যোগের সময়ও দায়িত্বশীল আচরণ করতে ব্যর্থ কিছু মানুষকে তিরস্কার করছে লসএঞ্জেলেসের পুলিশ।

ভারতের কিছু শহরে লকডাউন না মানা মানুষদের প্রতি পুলিশের আচরণ খুব নির্মম মনে হয়েছে অনেকের কাছে। ছবিতে চেন্নাইয়ের কিছু মানুষকে কান ধরে ওঠবস করাচ্ছে পুলিশ।

নেপালের রাজধানীতেও কিছু মানুষ লকডাউন মানতে নারাজ। করোনা ভাইরাসের কবল থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনেই তাদের একজনকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

আহমেদাবাদে শুধু পুলিশ দিয়ে কাজ হয়নি। তাই অসচেতন মানুষদের নিয়ম মানতে বাধ্য করার কাজে নেমেছে বিশেষ বাহিনী।

করোনা ভাইরাসের দ্রুত সংক্রমণ এড়াতে রাজধানী মস্কোয় আংশিক লকডাউন ঘোষণা করেছিল রুশ সরকার। রেড স্কয়ারে সে আদেশ অমান্য করা দুই পথচারীর মুখোমুখি এক পুলিশ কর্মকর্তা।

থাইল্যান্ডের রাজধানীতেও সাধারণ মানুষকে ঘরে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হয়। এক মোটর সাইকেল আরোহীকে লকডাউনের সময়ে যাবতীয় করণীয় বুঝিয়ে দিচ্ছে পুলিশ।

ব্রাজিলের কিছু মানুষ করোনা ভাইরাসকে পাত্তা না দিয়ে সূর্যস্নান করছিল। এই দুর্যোগের সময় ঘরে স্নান করার উপকারিতা বোঝাচ্ছে পুলিশ!

সাউথ আফ্রিকায় সাধারণ মানুষকে লকডাউন মানাতে একসঙ্গে কাজ করছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

ঢাকার রাস্তায় এক ব্যক্তিকে কান ধরে ওঠবস করাচ্ছে পুলিশ৷