1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লখনউ আদালত চত্বরে বিস্ফোরণ

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ভরদুপুরে লখনউয়ে আদালত চত্বরে বিস্ফোরণ৷ আহত তিন আইনজীবী৷ উদ্ধার তিনটি তাজা বোমা৷

https://p.dw.com/p/3Xhut
ছবি: UNI

লখনউয়ের প্রাণকেন্দ্র হজরতগঞ্জ কালেক্টরেটের আদালত চত্বরে ভরদুপুরে বিস্ফোরণ৷ এক আইনজীবীকে লক্ষ্য করে দেশি বোমা ছোড়া হল৷ বিস্ফোরণে তিনজন আহত হয়েছেন৷ এরপর আদালত চত্বর থেকে তিনটি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে৷ এই ঘটনায় যোগী আদিত্যনাথের উত্তর প্রদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আবার বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে৷

এ দিন যে জায়গায় বিস্ফোরণ হয়েছে, সেখান থেকে বিধানসভা ভবনের দূরত্ব এক কিলোমিটারেরও কম৷ তার থেকে একটু এগোলেই ব্যস্ত বাজার এলাকা৷ হজরতগঞ্জের আদালত চত্বরও খুবই ব্যস্ত এলাকা। সবসময় তা আইনজীবী, মামলাকরীদের ভিড়ে ঠাসা৷ ফলে এরকম একটা জায়গায় বিস্ফোরণ নিয়ে রীতিমতো আলোড়ন শুরু হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, দুই দল আইনজীবীর ঝগড়ার জেরে এই বিস্ফোরণ৷ লখনউ বার অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সচিব সঞ্জীব লোধির অভিযোগ, ''আমাকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়েছিল। আমার কিছু হয়নি। কিন্তু আমার তিন সঙ্গী আহত হয়েছেন৷ এই আক্রমণের পিছনে আছেন আরেক আইনজীবী জিতু যাদব৷ লোধির প্রশ্ন, কী করে অচেনা লোক বোমা নিয়ে আদালত চত্বরে ঢুকে পড়ল? আদালতের নিরাপত্তার কী হল? দোষীদের কঠোর সাজা দিতে হবে৷''

যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে আদালত চত্বরে এবং আইনজীবীদের ওপরে আক্রমণ বাড়ছে৷ গত ৭ জানুয়ারি তরুণ আইনজীবী শঙ্কর ত্রিপাঠিকে রাস্তায় ফেলে পিটিয়ে মারা হয় লখনউতে৷ ডিসেম্বরে বিজনৌরের আদালতে গুলি চালায় দুষ্কৃতিরা৷ তাতে দুই জন পুলিশ সহ তিনজনের মৃত্যু হয়৷

উত্তর প্রদেশ বিশেষজ্ঞ ও প্রবীণ সাংবাদিক শরদ গুপ্ত ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''উত্তর প্রদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বড় ধরনের সমস্যা আছে৷ একদিন আগেই এক ধর্ষিতার বাবাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কারণ, তিনি ধর্ষণের অভিযোগ প্রত্যাহার করতে রাজি ছিলেন না৷ উন্নাওয়ের ধর্ষণ নিয়ে কী হয়েছে তা সকলেরই জানা৷ হত্যা ও ধর্ষণ নিয়ে উত্তর প্রদেশ নিয়মিত সংবাদ শিরোনামে থাকছে৷ এর সঙ্গে যুক্ত হল আদালত চত্বরে এই বিস্ফোরণ৷ যে কারণেই বিস্ফোরণ হোক না কেন, এই ঘটনা বুঝিয়ে দিচ্ছে যোগী-রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন থাকছে৷''

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এনডিটিভি)