1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘লজ্জাজনক' জলবায়ু পুরস্কার পেল জার্মানি

১১ ডিসেম্বর ২০১৮

একসময় জলবায়ু পরিবর্তন রোখায় জার্মানির উদ্যোগ বিশ্বে প্রশংসনীয় হয়েছিল৷ তবে সেই অবস্থা ধরে রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় এখন জার্মানির সমালোচনা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/39qj1
Deutschland Braunkohlekraftwerk Niederaußem bei Bergheim
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg

পোল্যান্ডের কাটোভিৎসে শহরে চলছে জাতিসংঘের ২৪তম জলবায়ু সম্মেলন৷ দুই সপ্তাহব্যাপী এই সম্মেলন চলার সময় প্রতিদিন একটি দেশকে ‘ফসিল অফ দ্য ডে অ্যাওয়ার্ড' দেয়া হচ্ছে৷ জলবায়ু পরিবর্তন রোখায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়া একটি দেশকে এই ‘অ্যাওয়ার্ড' দেয়া হয়৷ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের হার কমানোর লক্ষ্য থেকে সরে আসায় সম্প্রতি জার্মানিকে এই ‘লজ্জাজনক' খেতাব দেয়া হয়৷

পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা ‘ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক' সিএএন এই খেতাব দিয়ে থাকে৷ সংস্থাটি বলছে,জলবায়ু সম্মেলনে জার্মানি স্বীকারকরেছে যে, তারা ২০২০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল, তা বাস্তবায়ন করতে পারবে না৷ এই সময়ের মধ্যে ১৯৯০ সালের তুলনায় গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন আট শতাংশ কমাতে চেয়েছিল জার্মানি৷

শুধু তাই নয়, সিএএন বলছে, কয়লা ব্যবহার থেকে জার্মানি কবে সরে আসবে তারও কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি৷ এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নে কয়লা খাতে ভর্তুকি বন্ধেও জার্মানি আগ্রহী নয় বলে জানিয়েছে সিএএন৷

উল্লেখ্য, এক দশক আগে পরমাণু বিদ্যুৎ থেকে সরে এসে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়েছিল জার্মানি৷

সূচকে অবনমন

সিএএনসহ জার্মানওয়াচ ও নিউক্লাইমেট ইনস্টিটিউট সোমবার যৌথভাবে পোল্যান্ডে ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ পারফর্মেন্স ইনডেক্স ২০১৯' প্রকাশ করেছে৷ বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের অনেক নীচে রাখতে ইইউ ও ৫৬টি দেশের নেয়া কৌশল বিশ্লেষণ করে সূচকটি প্রকাশ করা হয়েছে৷

এতে দেখা যাচ্ছে, তালিকায় জার্মানি ২৭ নম্বরে আছে, অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পাঁচ ধাপ নেমে গেছে৷

Data Visualization BEN COP24 energy mix consumption

জার্মানওয়াচের কর্মকর্তা ইয়ান বুর্ক বলেন, জলবায়ু রক্ষায় জার্মানির আবার নতুন করে রাজনৈতিক অঙ্গীকার করতে হবে৷ ই-মোবিলিটির প্রসার, কয়লা ব্যবহার থেকে সরে আসার পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে ‘কার্বন প্রাইস' নির্ধারণ করতে হবে৷

উল্লেখ্য, কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনের সুযোগ পেতে বিভিন্ন কোম্পানির উপর ধার্য করা করই হচ্ছে কার্বন প্রাইস৷

সূচকে অন্যরা কোথায়?

কোনো দেশই বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি কমাতে পর্যাপ্ত উদ্যোগ না নেয়ায় সূচকের প্রথম তিনটি স্থান খালি রেখেছেন সূচক নির্ধারণকারী প্রতিবেদনের লেখকেরা৷

নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার বাড়িয়ে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোয় ভূমিকা রাখায় সূচকে সবার ওপরে চার নম্বরে আছে সুইডেনের নাম৷

এরপরেই আছে উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কো৷ দেশটি ২০২০ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ৪২ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপন্ন করতে চায়৷ এবং সেই লক্ষ্য তারা পূরণ করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

সূচকের শেষ দুটি দেশ হচ্ছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব৷

এছাড়া সূচকের ‘ভালো' ক্যাটাগরিতে স্থান পেয়েছে ভারত৷ তারা ১১তম স্থানে আছে৷ নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার এবং ২০৩০ সালের মধ্যেগ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে দেশটি৷

প্রথমবারের মতো চীন সূচকের ‘মাঝারি' ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে৷

Infografik Klimaschutz-Ranking EN

গেরো ব়্যুটার/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য