1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘লজ্জা থাকতে হলে বিবেকের প্রয়োজন হয়'

৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

‘সব শ্রেণির সংখ্যালঘুরা হচ্ছে শিকারির শিকার', ‘অযথা নির্যাতন করা ইসলাম সাপোর্ট করে না' – আমাদের ‘আলাপ' পাতায় ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন' সম্পর্কে লেখাগুলো পড়ে ফেসবুকে এ রকম নানা মন্তব্য করেছেন ডয়চে ভেলের পাঠক বন্ধুরা৷

https://p.dw.com/p/1HqQ5
Bangladesch Hindus Überfall Jessore
ছবি: DW

‘সংখ্যালঘু নির্যাতন' নিয়ে লেখা প্রতিবেদনগুলো পড়ে ডিডাব্লিউ-র পাঠক আবু মাহদি আবদুল একটা পাল্টা প্রশ্ন রেখেছেন আমাদের কাছে৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘আপনারা যারা তথাকথিত শিক্ষিত, তাদের প্রতি আমার একটা সবিনয় অনুরোধ যে, যদি নৈতিকতা দিয়ে কোনো কিছুর মোকাবেলা করার মতো যোগ্যতা আপনার না থেকে, তবে নিরব থাকুন৷ কিন্তু অনৈতিক মিথ্যাচার করে নিজেকে আর ছোট করবেন না৷ এমন অনৈতিক কাজ যদি আপনি করে থাকেন, তাহলে নিজের যোগ্যতা এবং নৈতিকতাকে নিজের আদালতেই দাড় করিয়ে বিচার করে দেখুন৷ আপনি সত্যিকারের মানুষ হয়ে থাকলে আত্মহত্যা করার ইচ্ছে করবে৷''

বন্ধু মিজানুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের লোকজনই নাকি হিন্দুদের ঘর বাড়ি দখল করে যাচ্ছে৷ তবে ‘সব সরকারের আমলেই আক্রান্ত হচ্ছে সংখ্যালঘুরা' – বর্তমান সরকারের আমলে সংখ্যালঘুদের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত ডয়চে ভেলেকে ঠিক এ কথাগুলোই বলেন৷

‘সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধ না হলে তা হবে নিঃসন্দেহে দেশের জন্য লজ্জাকর' – এ প্রতিবেদনটি সম্পর্কে শিমুল পাল বলেন, ‘‘লজ্জা থাকতে হলে বিবেকের প্রয়োজন হয়৷'' আর ‘‘বিবেক অর্জন করতে পারলেই মানুষ মানুষ হয়'' – এই মন্তব্য বিপুল সরকারের৷

অন্যদিকে বন্ধু মো. ইব্রাহিম মনে করেন, ‘‘সংখ্যালঘু নির্যাতন শব্দটা মিডিয়ার সৃষ্টি''৷ আর সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধ না হওয়ার কারণ হিসেবে প্রসুন পালের ধারণা ‘‘সব শ্রেণির সংখ্যালঘুরা হচ্ছে শিকারির শিকার, তাই বন্ধ হচ্ছে না নির্যাতন৷''

‘‘কোনো কিছুর উপর অযথা নির্যাতন করা ইসলাম সাপোর্ট করে না'' – এই মন্তব্য আশরাফুল ইসলাম কাউসারের৷

‘‘মিডিয়া একটা অসাম্প্রদায়িক দেশকে সাম্প্রদায়িক প্রচারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে'' – এই মন্তব্য পাঠক সাইদুর রহমানের৷

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘মাইনোরিটি রাইটস গ্রুপ ইন্টারন্যাশনাল' প্রতি বছর যেসব দেশে সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে আছে, তার একটা তালিকা প্রকাশ করে৷ এ বিষয়ে ডয়চে ভেলের ‘যে দেশগুলোতে সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে' ছবিঘরে বাংলাদেশও রয়েছে৷

ছবিঘরে বাংলাদেশের নাম দেখে অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে, এ তালিকায় বাংলাদেশের নাম কেন? আপনারা হয়ত লক্ষ্য করেননি যে লিস্টটি একটি ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার' তৈরি৷

লিস্ট-এ ভারতের নাম না থাকায় পাঠক টিটো খুবই আশ্চর্য৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘ইন্ডিয়াতে প্রতি বছর ৩৬,০০০ দাঙ্গা হয় এবং তার ৯৬ শতাংশ হামলার শিকার হন মুসলিম সম্প্রদায়৷ এই বিষয়টা কি ডয়চে ভেলের জরিপের বাইরে ছিল?''

শিবলী সরকারেও প্রায় একই প্রশ্ন, ‘‘ভারত কৈ গেল?''

আপনাদের জানাই, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘মাইনোরিটি রাইটস গ্রুপ ইন্টারন্যাশনাল'-এর হিসেবে ভারতও লিস্টে রয়েছে, তবে ৫৪ নম্বরে৷ বাংলাদেশ যেখানে আছে ৪১ নম্বরে৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য