1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লন্ডন-ব্রাসেলস স্নায়ুযুদ্ধ তুঙ্গে, সিদ্ধান্ত জানাবেন জনসন

১৬ অক্টোবর ২০২০

ইইউ শীর্ষ নেতারা ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তির লক্ষ্যে ব্রিটেনের উদ্দেশ্য আপোশের ডাক দিয়েছেন৷ শুক্রবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আলোচনা চালিয়ে যাবার প্রস্তাব সম্পর্কে ব্রিটেনের সিদ্ধান্ত জানাবেন৷

https://p.dw.com/p/3k0RO
Großbritannien, London | Boris Johnson im Parlament
ছবি: PRU/AFP

ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম দিনে ব্রেক্সিট-জট খোলার কোনো সম্ভাবনা দেখা গেল না৷ ইইউ ও ব্রিটেনের মধ্যে ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তির পথে প্রধান অন্তরায়গুলি এখনো দূর হয়নি৷ শুধু দুই পক্ষ পরস্পরের উপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করে চলেছে৷ চুক্তি সম্ভব করতে এবং আলোচনায় গতি আনতে ইইউ নেতারা সম্মিলিতভাবে ব্রিটেনের উদ্দেশ্যে ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ' নেবার ডাক দিয়েছেন৷ তবে এখনই হাল ছেড়ে না দিয়ে তাঁরা আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনা চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷

আগামী সপ্তাহে লন্ডন ও তার পরের সপ্তাহে ব্রাসেলসে আরও আলোচনার প্রস্তাব রেখেছে ইইউ৷ ইইউ-র প্রধান মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়ে সেই নির্দেশ মেনে প্রস্তুতি নিচ্ছেন৷ তিনি প্রয়োজনে সপ্তাহান্তেও কাজ করতে আগ্রহী৷ তাঁর মতে, আগামী সপ্তাহেই মতমার্থক্যের বিষয়গুলির ক্ষেত্রে আশার আলো দেখা যেতে পারে৷ উল্লেখ্য, মাছ ধরার অধিকার, প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে ন্যায্য পরিবেশের গ্যারেন্টি ও বিরোধ মেটানোর আইনি কাঠামো নিয়ে দুই পক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছতে পারছে না৷

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বৃহস্পতিবার ১৫ই অক্টোবরের মধ্যে চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন৷ কিন্তু ইইউ সেই হুঁশিয়ারি গ্রাহ্য করলো না৷ কোনো অগ্রগতি ছাড়াই ইইউ আলোচনা চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় চূড়ান্ত হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রধান ব্রিটিশ মধ্যস্থতাকারী ডেভিড ফ্রস্ট৷ এক টুইট বার্তায় তিনি ইইউ-র মনোভাবে হতাশা প্রকাশ করেন এবং নমনীয়তার সব দায় শুধু ব্রিটেনের উপর চাপিয়ে দেবার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন৷

এই অবস্থায় ব্রিটেন আলোচনা চালিয়ে যাবার প্রস্তাব গ্রহণ করবে কিনা, সে বিষয়ে সংশয় দেখা যাচ্ছে৷ শুক্রবার ইইউ শীর্ষ সম্মেলন শেষ হবার পর প্রধানমন্ত্রী জনসন ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়ে নিজের অবস্থান জানাবেন৷ ইইউ-র পক্ষ থেকে কোনো ‘ইতিবাচক সাড়া' না পেয়ে তিনি কী সিদ্ধান্ত নেবেন, সে বিষয়ে এখনো কোনো পূর্বাভাষ পাওয়া যাচ্ছে না৷ শীর্ষ সম্মেলনের আগে ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন টেলিফোনে জনসনকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, যে কোনো মূল্যে বোঝাপড়া চায় না ইইউ৷

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ব্রিটেনের উদ্দেশ্যে আপোশের বার্তায় কণ্ঠ মেলালেও ইইউ-র উদ্দেশ্যেও কিছু আপোশের ডাক দেন৷ তিনি বলেন, দুই পক্ষেরই কিছু ‘লাল সীমানা' রয়েছে৷ বিশেষ করে ব্রিটিশ জলসীমার মধ্যে ভবিষ্যতেও মাছ ধরার অধিকার অটুট রাখতে ফ্রান্সসহ কয়েকটি দেশ যে কড়া অবস্থান নিয়ে এসেছে, তার ফলে আলোচনায় অগ্রগতি সম্ভব হচ্ছে না৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ অবশ্য বৃহস্পতিবার সে বিষয়ে আপোশের ইঙ্গিত দিয়েছেন৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)