1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়ার পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ, আন্তর্জাতিক সমাজ উদ্বিগ্ন

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১

একের পর এক শীর্ষ কর্মকর্তা লিবিয়ার শাসক কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির সঙ্গ ত্যাগ করার ঘোষণা দিচ্ছেন৷ জার্মানি, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংগঠনের কাছ থেকে আসছে লিবীয় জনগণের উপর দমন পীড়নের নিন্দা৷

https://p.dw.com/p/10M9B
লিবিয়ার পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভছবি: dapd

কখন কী হয়

লিবিয়া উত্তাল৷ আর এই উত্তাল ঢেউ এর তোড়ে কি পতন হতে যাচ্ছে দীর্ঘ সময়ের শাসক গাদ্দাফির? এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া কঠিন৷ কারণ, গতকালই এই শাসক বলেছেন গণবিক্ষোভ সত্ত্বেও তিনি এক চুলও সরে দাঁড়াতে রাজি নন৷ তাঁর এই দম্ভোক্তি এবং পেটোয়া বাহিনীকে দিয়ে আন্দোলনকারীদের উপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়লেও আন্দোলন কিন্তু থেমে যায়নি৷ আন্দোলনকারীরা গাদ্দাফির বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন৷ বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানাচ্ছে, তার ঐ বক্তব্যের পর নতুন নতুন আন্দোলনকারী মাঠে নেমেছেন৷ ফলে বিক্ষোভ নতুন মাত্রা পেয়েছে৷ এরা এই জন্য এসেছেন যে গাদ্দাফি তাঁর ভাষণে তার সমর্থকদের নির্দেশ দিয়েছেন আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করতে৷ এটা তারা মেনে নিতে পারছেন না৷

Unruhen in Libyen Flash-Galerie
চলছে আন্দোলনছবি: AP

ডান হাত চলে গেলেন

এরই মধ্যে গাদ্দাফির ডান হাত বলে পরিচিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আবদেল ফাত্তাহ ইউনিস আল আবেদিসহ আরও বেশ কয়েকজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা পদত্যাগ করে বিরোধীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন৷ এর ফলে চাপ বাড়ছে গাদ্দাফির উপর৷

হামলায় নিহত অন্তত ১ হাজার

যে ইটালির কথা বলা হচ্ছে, সেই ইটালিতেই বহুবার এসেছেন গাদ্দাফি৷ কখনো চিকিৎসার জন্য, কখনো সরকারি সফরে৷ ইটালির কথা তাই একেবারে ফেলে দেয়া যায় না৷ তাছাড়া সেদেশের প্রধানমন্ত্রী বার্লুস্কোনির সঙ্গে গাদ্দাফির সখ্যতার কথা অজানা নয়৷ আর যখন এ কথা বলেন স্বয়ং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তখন, সে কথার গুরুত্ব তো থাকে অনেক বেশী৷ তবে সরকারি হস্তক্ষেপে গণমাধ্যমের অবাধ বিচরণকে শ্লথ করে দেয়া দেশটি থেকে প্রাপ্ত খবরে এর আগে আমরা জেনেছি মৃতের সংখ্যা হবে ৩শ থেকে ৪শ৷

Muenchner Sicherheitskonferenz Guido Westerwelle
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলেছবি: dapd

চিন্তিত জাতিসংঘ এবং বিশ্ব সম্প্রদায়

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে লিবিয়ার নেতা গাদ্দাফির ভাষণের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘‘যে নিজের দেশের জনগণের বিরুদ্ধে গৃহযুদ্ধ চালায় এবং রক্তপাত করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করে, সে আন্তর্জাতিক সমাজ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে৷’’

এদিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ইতিমধ্যেই গাদ্দাফির এ হেন কাজের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে৷ লিবীয় সরকারকে বলা হয়েছে অবিলম্বে দমনপীড়ন, সহিংসতা বন্ধ করতে৷ বলা হয়েছে, জনগণের কথা শুনুন৷ অপরদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এর অন্যতম সদস্য দেশ ফ্রান্স বলেছে, লিবিয়া সরকারের অত্যাচারের জবাব দেবার জন্য প্রয়োজন লিবিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি গাদ্দাফির কর্মকাণ্ডকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসাবেই উল্লেখ করেছেন৷ অপরদিকে আরব লিগও লিবিয়া সরকারের নিন্দা জানিয়ে একে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ‘অপরাধ’ আখ্যা দিয়েছে৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেছেন, গাদ্দাফি নিজ দেশের মানুষের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন৷

বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের লিবিয়া থেকে সরিয়ে আনছে৷ ইতিমধ্যেই ছোট ছোট বেশ কিছু শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে বিক্ষোভকারীরা৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য