1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিল বিরোধীরা

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১

ত্রিপোলি থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরের শহর জাউইয়াহ এখন গাদ্দাফি বিরোধীদের দখলে৷ তবে ত্রিপোলি এখনো ধরে রেখেছে গাদ্দাফি সমর্থিত নিরাপত্তা বাহিনী৷

https://p.dw.com/p/10QKG
দখলের পর জনতার উল্লাসছবি: picture-alliance/dpa

জাউইয়াহ দখল কেন গুরুত্বপূর্ণ

শহরটি রাজধানীর খুব কাছে অবস্থিত এবং মাত্র দু'দিন আগেই গাদ্দাফি ঐ শহরে গিয়ে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন৷ এরপর থেকেই সেখানে গাদ্দাফির সমর্থকদের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘর্ষ চলছিল৷ এতে ২৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক ডাক্তার৷ আজ সকালেই সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশি সাংবাদিকদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ উদ্দেশ্য ছিল শহরটি যে সরকারের নিয়ন্ত্রণে সেটা দেখানো৷ কিন্তু সাংবাদিকরা দেখতে পান ঘটনা উল্টো৷ শহর নিয়ন্ত্রণ করছে গাদ্দাফি বিরোধীরা৷ তারা আকাশে গুলি ছুঁড়ে আনন্দ প্রকাশ করছেন৷ আর বলছেন গাদ্দাফির যুগ শেষ৷

জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আরোপ কেন তাৎপর্যপূর্ণ

দুটি কারণে৷ এক, এই প্রথমবারের মত কোনো দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্যের সমর্থন পাওয়া গেছে৷ আর দুই, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইসিসি'কে কোনো দেশের সহিংস ঘটনা তদন্ত করতে দেয়ার ঘটনা এটা দ্বিতীয়৷ এর আগে ২০০৫ সালে সুদানের ক্ষেত্রে এটা করা হয়েছিল৷ তবে লিবিয়ার ব্যাপারটা এক্ষেত্রেও অনন্য৷ কারণ নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্য এক্ষেত্রেও একযোগে সমর্থন জানিয়েছে৷ সাধারণত সদস্য রাষ্ট্ররা কোনো দেশের ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব আইসিসি'কে দিতে রাজি থাকে না৷ কারণ তারা মনে করে এই সিদ্ধান্ত কোনো একদিন তাদের বিপক্ষেও নেয়া হতে পারে৷ তবে লিবিয়াকে আইসিসি'তে পাঠানোর ক্ষেত্রে আরব লিগ, আফ্রিকান ইউনিয়ন ও জাতিসংঘে লিবিয়ার মিশনের সমর্থন ছিল বলেই নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্য এতে রাজি হয়েছে৷ জাতিসংঘে নিযুক্ত লিবিয়ার উপ-রাষ্ট্রদূত বলছেন এই নিষেধাজ্ঞা বিরোধীদের ‘মানসিকভাবে সমর্থন' দিবে৷

নির্বাচনের জন্য কমিটি গঠন

গাদ্দাফির নিয়োগ দেয়া বিচারমন্ত্রী মুস্তফা আবদেল-জলিল বিরোধীদের বিরুদ্ধে মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন৷ এরপর তিনি বলেন একটা কমিটি গঠন করা হবে৷ যেখানে সেনা কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিরা থাকবে৷ তারা তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবে৷ বিরোধীদের দখলে থাকা শহর বেনগাজিতে এ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ আর যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘে নিযুক্ত লিবীয় রাষ্ট্রদূতরা এই পরিকল্পনায় সমর্থন দিয়েছেন বলে জানা গেছে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান