1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়া থেকে ১৮ হাজার ভারতীয়কে স্বদেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১

লিবিয়ার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রেখে ১৮ হাজার ভারতীয়কে জল, স্থল ও আকাশপথে স্বদেশে ফিরিয়ে আনতে জরুরি ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে ভারত৷ লিবিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে আজ নতুনদিল্লিতে বসে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক৷

https://p.dw.com/p/10NMI
লিবিয়া ছাড়ছেন মিশরীয়রাছবি: dapd

রাজনৈতিক আন্দোলন দমনের নামে সাধারণ মানুষের ওপর লিবিয়া সরকার যেভাবে বলপ্রয়োগ করছে তার কড়া নিন্দা করে ভারত বলেছে, এটা কখনই মানা যায় না৷ সেদেশে কর্মরত ১৮ হাজার ভারতীয়কে সরিয়ে আনতে জরুরি পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে৷ সেটা হতে পারে জল, স্থল ও আকাশ, যে-কোন পথে৷ অপেক্ষা শুধু লিবিয়া কর্তৃপক্ষের অনুমতির৷ আজ সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ বলেন, লিবিয়ায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন ভারতীয়দের সঙ্গে৷ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও দূতাবাসে খোলা হয়েছে ২৪ ঘন্টার হেল্প লাইন৷ পাশাপাশি নজর রাখা হচ্ছে ইয়েমেন ও বাহরাইনের উত্তপ্ত পরিস্থিতির দিকে৷ সেখানে কর্মরত প্রায় সাড়ে তিন লাখ ভারতীয়৷ দরকার হলে তাঁদের জন্যও অনুরূপ ব্যবস্থা করা হবে৷

পররাষ্ট্র সচিব নিরুপমা রাও আজ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সরকার বেসরকারি যাত্রিবাহী জাহাজকে ফেরি হিসেবে ব্যবহার করে লিবিয়া থেকে ভারতীয়দের তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশের নিরাপদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হবে৷ তারপর সেখান থেকে তাঁদের স্বদেশে আনা হবে৷ জাহাজের যাত্রী বহন ক্ষমতা এক হাজার৷ জানা গেছে, দুটি বেসরকারি জাহাজকে লিবিয়ার কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে, যাতে লিবিয়া কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাবার সঙ্গে সঙ্গে ত্রিপোলি ও বেনগাজি থেকে ভারতীয়দের তুলে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া বন্দরে নিয়ে যাওয়া যায়৷ সেখান থেকে তাঁদের আনা হবে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে৷ এই সুবিধা তাঁদের দেয়া হবে বিনামূল্যে৷ বেনগাজি থেকে স্থলপথে আলেকজান্দ্রিয়া আনার সম্ভাব্যতাও চিন্তা করা হচ্ছে৷ পররাষ্ট্র সচিব জানাচ্ছেন, বেনগাজি বিমানবন্দর আপাতত বন্ধ৷

লিবিয়ার রক্তাক্ত সংঘর্ষে মুরুগাইয়া নামে এক ভারতীয় শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷ তামিলনাড়ুতে তাঁর পরিবার মুরুগাইয়ার মৃতদেহ স্বদেশে আনার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে৷ বেনগাজি থেকে তিনজন ভারতীয় সড়কপথে আলেকজান্দ্রিয়া যাবার চেষ্টা করলে এক পথ দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত হন৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন