1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়া নিয়ে ন্যাটো, ইইউতে বৈঠক শুরু হচ্ছে আজ

১০ মার্চ ২০১১

গাদ্দাফিকে থামাতে কী করা যায়, সেটা নিয়ে ব্যস্ত পুরো বিশ্ব৷ যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে ইউরোপ সব অঞ্চলের নেতাদের ভাবনায় এখন লিবিয়া৷ কী করলে কী হতে পারে, তা নিয়েই আলোচনা করতে বৈঠকে বসছেন ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা৷

https://p.dw.com/p/10WjG
গাদ্দাফিকে নিয়ে এখন ভাবনা সবারছবি: dapd

ন্যাটো, ইইউ বৈঠক

বৃহষ্পতিবার থেকে দুদিনের বৈঠক শুরু করছেন ন্যাটোর প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও ইইউ'র পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা৷ এর মধ্যে ন্যাটোর মন্ত্রীরা লিবিয়ার উপর উড়াল নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করবেন৷ ব্রিটেন আর ফ্রান্স ইতিমধ্যে এই বিষয়ে একটি খসড়া তৈরি করেছে৷ সেটা নিয়েই আলোচনা করবেন তাঁরা৷ এদিকে ন্যাটো মহাসচিব বলেছেন, সিদ্ধান্ত যেটাই হোক সেটা বাস্তবায়নে তারা প্রস্তুত৷ আর ইইউ মন্ত্রীরা মূলত আলোচনা করবেন, কীভাবে রাজনৈতিক উপায়ে গাদ্দাফিকে আরও চাপে ফেলা যায় সে বিষয়ে৷ এছাড়া আরও কোন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যায় কি না সেটাও খতিয়ে দেখবেন তাঁরা৷ এদিকে ন্যাটো আর ইইউ'র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে গাদ্দাফি তাঁর সমর্থক কূটনীতিকদের পাঠিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে৷

লিবিয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি

বুধবার সারাদিন ধরে গাদ্দাফি বাহিনী জাউইয়া শহরের দখল নিতে হামলা চালিয়েছে৷ এর মধ্যে একবার সফলও হয়েছিল বলে খবর পাওয়া গেছে৷ তবে দিন শেষে শহরের দখল আবার বিদ্রোহীদের কাছে গেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন এক বিদ্রোহী৷ যদিও সরকারি টেলিভিশনে বলা হচ্ছে শহরের দখল নিয়েছে গাদ্দাফি বাহিনী৷ এদিকে, স্থানীয় এক ডাক্তার বলেছেন তিনি রাস্তায় অনেকে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেছেন৷ যাদের মধ্যে রয়েছে বয়স্ক মানুষের লাশ৷ রয়েছে নারী ও শিশুর মৃতদেহ৷ নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৪০ হবে বলে জানান তিনি৷ তবে সংখ্যাটা এর চেয়েও বেশি হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন তিনি৷

শরণার্থী

বাইরের বিশ্বের কাছে ভাল ইমেজ তুলে ধরতে লিবিয়া সরকার বিভিন্ন দেশের শ্রমিকদের লিবিয়া ছাড়তে বাধা দিচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে৷ তাদের মধ্যে একজন হলেন টিউনিশিয়ায় রেড ক্রিসেন্টের প্রধান৷ তিনি বলছেন মঙ্গলবার মাত্র তিন হাজার শরণার্থী লিবিয়া সীমান্ত দিয়ে টিউনিশিয়ায় ঢুকেছেন৷ যেখানে এর আগের দিনগুলোতে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ হাজার জন করে ঢুকতো৷ জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনারও এ ধরনের আশঙ্কা করছেন৷ এদিকে শরণার্থীদের সাহাযার্থে আগামী তিন মাসের জন্য ১৬০ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার