1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লেবানন বিশ্বকাপে যাচ্ছে না কেন

৯ জুন ২০১৩

উত্তরটা সহজ: ম্যাচ ফিক্সিং৷ যা ফুটবল খেলাকে সাট্টারও অধম করে তোলে – বাস্তবিক অর্থে৷ নয়ত লেবানন তো প্রায় কোয়ালিফাই করতেই চলেছিল৷ তারপর এলো কাতারের বিরুদ্ধে দুটি খেলাতেই এক গোল করে হার৷ কারণ: ম্যাচ ফিক্সিং৷

https://p.dw.com/p/18mCF
ছবি: picture-alliance/M.i.S.-Sportpressefoto

মাত্র চল্লিশ লাখ মানুষের দেশ লেবানন কিন্তু গত বছর কুয়েত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়েছে৷ তার আগে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডে দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইরানের মতো এশীয় ফুটবলের শক্তিধরদের হারিয়েছে এই লেবানন, তাদের জার্মান কোচ টেও ব্যুকার-এর তত্ত্বাবধানে৷

কাতারের বিরুদ্ধে খেলায় সে সব যেন বদলে যায়৷ ব্যুকার নিজে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন: ‘‘আমরা কিভাবে হেরেছি, সেটা যদি দেখতেন, তাহলে আপনারাও বলতেন: হাস্যকর৷ (আমাদের) একজন প্লেয়ার কতবার বিপক্ষের সেন্টার ফরোয়ার্ডকে একটা সঠিক পাস দেবার চেষ্টা করছে, যাতে সে সহজেই গোল দিতে পারে৷ অবিশ্বাস্য!''

লেবানন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন তার আগে থেকেই ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে তদন্ত করছে৷ কালে দু'জন আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়, রামেজ দায়ুব আর মাহমুদ আল-আলিকে সারাজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়৷ দায়ুব মালয়েশিয়ায় খেলেছে, আল-আলি ইন্দোনেশিয়ায়৷ আরো ২২ জন প্লেয়ারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়৷

‘‘ও কি অন্ধ?''

কাতারের বিরুদ্ধে খেলাতে ‘‘ রামেজ কয়েকটা ব্যাক পাস করে, কিন্তু বিপক্ষের খেলোয়াড়দের দিকে৷ আমরা ভাবছিলাম: ও কি অন্ধ? ও করছেটা কি?'' স্মরণ করেছেন ব্যুকার৷ কাতারের বিরুদ্ধে পরের খেলাটা ছিল নিজেদের মাঠে৷ ‘‘আমরাই খেলাটা নিয়ন্ত্রণ করছিলাম, কিন্তু অদ্ভুতভাবে৷ বল আমাদের পায়ে, কিন্তু গোলের সামনে গিয়ে মনে হচ্ছিল যেন আমাদের প্লেয়ারদের সব পা ভেঙে গেছে৷ আমি দেখে বিশ্বাস করতে পারিনি,'' বলেছেন ব্যুকার৷

২০১১ সালের নভেম্বরে লেবানন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দু'টি কোয়ালিফায়ারে খেলে৷ সে'দুটি ম্যাচের রিপ্লে দেখে ব্যুকার বলেছেন: ‘‘এশিয়ায় আমরা সেরা দলগুলোর মধ্যে না পড়লেও, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয় প্রত্যাশিত ছিল৷'' কেননা লেবানন দেশের মাটিতে বাংলাদেশকে হারায় ৪-০ গোলে৷ অথচ তার পাঁচদিন পরেই ঢাকায় হারে ২-০ গোলে৷

ম্যাচটি সম্পর্কে ব্যুকার বলেছেন: ‘‘ঐ তো আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু মাহমুদ আলি, যে টেকনিক্যালি ব্রিলিয়ান্ট ভাবে ন'বার বিপক্ষের ফাঁকা গোলের সামনে দাঁড়িয়েও বলটা বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে৷'' ম্যাচ ফিক্সিং কেলেংকারি যাবৎ ব্যুকার দলের খোলনলচে বদলে ফেলেছেন৷ কিন্তু যেদেশে পেশাদারি ফুটবল বলতে কিছু নেই এবং খেলোয়াড়দের মাইনে হাজার ডলারের আশপাশে, সে'দেশে পেশাদারি মনোবৃত্তি গজিয়ে কিংবা জাগিয়ে তোলার কাজটা যে খুব সহজ হবে না, তা লেবাননের বিদায়ী জার্মান কোচ টেও ব্যুকার-ও জানেন৷

এসি/ডিজি (এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য