1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লোকসানের মুখে এইচ অ্যান্ড এম

২৯ মার্চ ২০১৮

গত কয়েক দশকের মধ্যে এমন লোকসানের মুখে পড়েনি সুইডিশ ফ্যাশন ব্র্যান্ড এইচ অ্যান্ড এম৷ প্রথম তিন মাসে তারা প্রায় ৪৩০ কোটি মার্কিন ডলারের কাপড় বিক্রি করতে পারেনি৷

https://p.dw.com/p/2vBon
ছবি: Getty Images/J.Raedle

২০১৮ সালের শুরুটা ভালো হয়নি ফ্যাশান জায়ান্ট এইচ অ্যান্ড এম-এর৷ গত এক দশকের মধ্যে এই প্রথম তাদের মুনাফা কমেছে ৬২ শতাংশ৷ প্রথম তিন মাসে তারা প্রায় ৪৩০ কোটি মার্কিন ডলার কাপড় বিক্রি করতে পারেনি৷ এইচ অ্যান্ড এম-এর প্রধান নির্বাহী কার্ল-ইয়োহান পের্সোন জানিয়েছেন, ‘‘বছরের শুরুতেই আমরা একটা বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি৷’’ এইচ অ্যান্ড এমের মোট দোকানের সংখ্যা ৪ হাজার ৭শ'৷ কিন্তু ক্রেতাদের অভিযোগ, বেশিরভাগ দোকানই অল্প জায়গা নিয়ে তৈরি, ফলে প্রচুর মানুষের ভিড়, সে তুলনায় কর্মী কম৷ এমনকি অনলাইন পোর্টালও খুব ভালো নয় বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা৷

তবে সাম্প্রতিককালে শিশু শ্রম নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়েছে ফ্যাশান ব্র্যান্ডটি৷ বলা হয় মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়া থেকেই বেশিরভাগ কাপড় কেনে তারা৷ এই দেশগুলোর অনেক পোশাক কারখানায় অল্প পারিশ্রমিকে শিশুদের দিয়ে কাজ করানো হয়৷ এইচ অ্যান্ড এম তাদের কাছ থেকে খুব কম দামে কাপড় কেনে৷

বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি কাপড় কেনে কোম্পানিটি৷ এইচ অ্যান্ড এমের জন্য বাংলাদেশের ২০০টি কারখানায় কাপড় তৈরি হয়৷ ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসে ১১২৯ পোশাক কর্মী নিহত হওয়ার পর বাংলাদেশ অগ্নি ও ভবন নিরাপত্তা চুক্তিতে সই করে কোম্পানিটি৷ কিন্তু যেসব কোম্পানি এর বাস্তবায়ন করেনি, সেগুলো থেকে এখনও এইচ অ্যান্ড এম পোশাক কেনে বলে অভিযোগ রয়েছে৷

২০১৬ সালে সুইডিশ অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের প্রতিবেদনে জানা যায়, মিয়ানমারের একটি পোশাক কারখানায় ১৪ বছরের শিশুরা প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা কাজ করে৷ অথচ প্রতি ঘণ্টার জন্য তাদের দেয়া হয় মাত্র ১৫ সেন্ট৷

এছাড়া সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণের অভিযোগও রয়েছে এইচ অ্যান্ড এমের বিরুদ্ধে, কেননা, কাপড় রং করাতে যেসব রাসায়নিক ব্যবহার হয়, সেগুলো ভূগর্ভস্থ পানির সাথে মিশে পানিকে বিষাক্ত করে তোলে৷

এলিজাবেথ শুমাখার/এপিবি