1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শক্তিশালী টাইফুনের কবলে জাপান

৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

১৯৯৩ সালের পর এমন শক্তিশালী টাইফুন দেখেনি জাপানের মানুষ৷ ঝড় আঘাত হানার আগেই ১০ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে৷ বাতিল করা হয়েছে কয়েকশ' বিমানের ফ্লাইট৷ মঙ্গলবার পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানে টাইফুন জেবি৷

https://p.dw.com/p/34Fma
ছবি: picture-alliance/dpa/AP Photo/Kyodo News/I. Sakano

একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় আঘাত হানছে জাপানে৷ জুলাই মাসে মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টি, বন্যা আর ভূমিধসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল দেশটি৷ নিহত হয়েছিল দুই শতাধিক মানুষ৷ ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছিল ঐ দুই অঞ্চলে৷ এর রেশ কাটতে না কাটতেই আঘাত হানলো টাইফুন জেবি৷

ঘণ্টায় ২১৬ কিলোমিটার বেগে টাইফুন জেবি জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হেনেছে৷ শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টিপাত৷ জেবিকে বলা হচ্ছে ‘সুপার টাইফুন'৷ তবে জেবি আঘাত হানার পূর্বাভাস থাকায় প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে ওই এলাকায় প্রাণহানি এড়াতে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়৷ তাই সতর্ক ছিল কর্তৃপক্ষ৷ এ কারণে ঝড়ের আঘাতে অল্প কয়েকজন সামান্য আহত হলেও বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি৷

কয়েকটি এলাকায় সমুদ্রের ঢেউ এত উঁচুতে উঠে গেছে যে পানি ঢুকে পড়েছে লোকালয় ও বিমানবন্দরে৷ ওসাকার কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে ঢুকে পড়েছে পানি৷ ১৯৬১ সালের পর সমুদ্রের এমন ভয়াবহ রূপ দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা৷ বাতাসের বেগ এতটাই বেশি যে ঐ বিমানবন্দরের কাছে ২ হাজার ৫৯১ টনের একটি ট্যাংকার একটি সেতু থেকে নীচে পড়ে গেছে৷ সেতুটি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ তবে ট্যাংকটি খালি থাকায় তেমন কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি৷

টাইফুনটি প্রথমে ছোট্ট দ্বীপ শিকোকুতে আঘাত হানে৷ এরপর পশ্চিম থেকে উত্তরের দিকে ধেয়ে যায়৷ অগ্নি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, ঝড় আঘাত হানার আগেই তারা পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চল থেকে ১০ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে৷ বাতাসের বেগ ঘণ্টায় ২০৮ কিলোমিটার থেকে ২১৬ কিলোমিটার৷

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাতাসের বেগ এত বেশি ছিল যে কয়েকটি বড় গাছ পড়ে গেছে৷ বুধবার দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস৷ এখন পর্যন্ত অন্তত ৭০০ বিমানের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে৷ পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে বেশ কয়েকটি এলাকার স্কুল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ এছাড়া টোকিও এবং হিরোশিমার মধ্যে চলাচলকারী বুলেট ট্রেন বন্ধ রাখা হয়েছে৷ বন্ধ রাখা হয়েছে ওসাকার ইউনিভার্সাল স্টুডিও৷ অর্থনৈতিক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পশ্চিম জাপানের ১ লাখ ৭৭ হাজার দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে৷ টয়োটা মোটর কোম্পানি জানিয়েছে, তারা ১৪টি কারখানায় নাইট শিফট বাতিল করেছে৷ যে স্থানে টাইফুন আঘাত হেনেছে, রাজধানী টোকিও সেখান থেকে অনেক দূরে হলেও সেখানে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে৷ প্রচণ্ড বাতাস আর বৃষ্টিতে ভূমিধস ও বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস৷ 

এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য