1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্যাটারির মধ্যে আপেলের খোসা!

৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

পরিবেশ দূষণ এড়াতে গোটা বিশ্বে ইলেকট্রিক গাড়ির চল বাড়ছে৷ কিন্তু তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাটারির ক্ষেত্রে এখনো কিছু সমস্যা রয়ে গেছে৷ পরিবেশবান্ধব, সহজলভ্য, কম দামী ও কার্যকর উপকরণ কাজে লাগিয়ে লিথিয়ামের বিকল্প খোঁজা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3Ouxb
Prototyp A-Klasse Elektrofahrzeug auf der Automobilmesse Leipzig 1998
ছবি: picture-alliance/ZB

গবেষকেরা ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারির মধ্যে বহু ব্যবহৃত লিথিয়ামের বিকল্প খুঁজছেন৷ এখনো ব্যাটারির পজিটিভ পোলে লিথিয়াম, মাইনাস পোলে গ্রাফাইট নামের ধাতু ব্যবহার করা হয়৷ চার্জ করার সময় লিথিয়াম আয়ন মাইনাস পোলের দিকে ধেয়ে যায়, ডিসচার্জ করার সময় সেগুলি আবার উৎসে ফিরে গিয়ে বৈদ্যুতিক শক্তি সৃষ্টি করে৷

লিথিয়ামের জায়গায় ন্যাট্রিয়াম ব্যবহার করা সম্ভব কিনা, তা নিয়ে গবেষণা চলছে৷ পুরানো আপেলের খোসা এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ৷ সঙ্গে অনেক হাইটেক যন্ত্রপাতিও রয়েছে৷ ব্যাটারির শক্তি বাড়াতে আরও কিছু উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে৷ হেল্মহলৎস ইনস্টিটিউটের প্রধান স্টেফানো পাসেরিনি বলেন, ‘‘সোডিয়াম প্রথম বিকল্প৷ কারণ সেটির সঙ্গে লিথিয়াম আয়নের সবচেয়ে বেশি মিল রয়েছে৷ তাই উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সামান্য রদবদল ঘটালেই চলে৷ তাছাড়া সোডিয়াম খুবই সহজলভ্য৷ সমুদ্রের পানি থেকে লবণের খনি, অনেক জায়গায় সেটি পাওয়া যায়৷''

বিশেষ কামরার মধ্যে নতুন ন্যাট্রিয়াম ব্যাটারির অংশগুলি জোড়া লাগানো হয়৷ সেখানে একেবারেই কোনো আর্দ্রতা থাকলে চলবে না, কারণ সামান্য আর্দ্রতাও ব্যাটারি নষ্ট করে দিতে পারে৷ তারপর সেই ব্যাটারি লাগাতার চার্জ ও ডিসচার্জ করা হয়৷ এই ব্যাটারির মধ্যে আরও একটি চমক রয়েছে৷ স্টেফানো পাসেরিনি বলেন, ‘‘সোডিয়ামের জন্য আসলে আর-কার্বন নামের কম দামী কার্বন ব্যবহার করা হয়৷ আপেলের খোসা ও শস্যদানার মতো বর্জ্য ব্যবহার করেই তা উৎপাদন করা সম্ভব৷ বাদামের খোসার মতো অরগ্যানিক বর্জ্যও ভালো ফল দিচ্ছে৷''

আপেলের খোসায় চলবে ব্যাটারি

গবেষকেরা বাসি আপেলের খোসা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করছেন, কারণ তার মধ্যে অনেক কার্বন রয়েছে যা বিদ্যুৎ বহনের জন্য উপযুক্ত৷ খোসা থেকে পানি বার করে নিলেই ব্যাটারির মধ্যে প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে সেটি ব্যবহার করা যায়৷

এখনো মাইনাস পোলে অত্যন্ত বিশুদ্ধ মানের গ্রাফাইট ব্যবহার করা হচ্ছে, যা অত্যন্ত দামী৷ গবেষকদের মতে, গ্রাফাইটের বদলে বিনা সমস্যায় অরগ্যানিক বর্জ্য ব্যবহার করা সম্ভব৷

গবেষকরা অবশ্য জানেন না, ব্যাটারির ভিতরে ঠিক কী ঘটছে৷ ব্যাটারির মধ্যে অন্যান্য রাসায়নিকের সংস্পর্শে এসে ন্যাট্রিয়াম কী প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে, তাও অজানা রয়েছে৷ কিন্তু পরীক্ষায় ব্যবহৃত ব্যাটারি মরে যাবার পর হাইটেক যন্ত্রপাতির সাহায্যে ময়না তদন্ত করে সেই প্রশ্নের জবাব খোঁজা হচ্ছে৷ গবেষক হিসেবে মারাল হেকমতফার বিষয়টি বুঝিয়ে বললেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা সারফেসের উপর এক্স-রে নিক্ষেপ করি৷ সারফেস থেকে প্রতিফলিত ইলেকট্রন সেখানকার প্রত্যেকটি রাসায়নিকের আঙুলের ছাপের মতো৷ সেই অর্থে সামগ্রিকভাবে ব্যাটারির সেলের মধ্যে কী ঘটছে, তা আমরা জানতে পারি৷ ফলে পরে আমরা ব্যাটারির রাসায়নিক গঠন আরও নিখুঁত করে তুলতে পারি৷''

ন্যাট্রিয়াম ব্যাটারি ক্ষুদ্র বাটন সেল হিসেবেও ইতোমধ্যে ভালোভাবে কাজ করছে৷ কয়েক বছরের মধ্যেই সেটি বাজারে আসতে পারে৷ কিন্তু লিথিয়ামের তুলনায় তার শক্তি কম হওয়ায় ইলেকট্রিক গাড়িতে সেগুলির সংখ্যা বাড়াতে হবে৷ ফলে বর্তমানের তুলনায় আরও বড় ব্যাটারির প্রয়োজন হবে৷ স্টেফানো পাসেরিনি বলেন, ‘‘ছোট আকারের ইলেকট্রিক গাড়িতে এমন ব্যাটারি কাজে লাগানো হয়েছে৷ বড় গাড়িতে এখনই সোডিয়াম-ভিত্তিক ব্যাটারি ব্যবহার করা সম্ভব নয়৷ তবে শহরের মধ্যে কম দূরত্বে ঘোরাফেরার জন্য হালকা যানে এর প্রয়োগ হতে পারে৷ সোডিয়াম আয়ন প্রয়োগের এটাই ভালো ক্ষেত্র৷''

সে কারণে গবেষকরা সমস্যা এড়াতে নতুন উপকরণের সন্ধান করছেন৷ তাঁদের ধারণা, ১০ থেকে ১৫ বছরের আগে ম্যাগনেসিয়াম ব্যাটারি বাজারে আসবে না৷

মিলিটাডেস স্মিট/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য