1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শরণার্থী তরুণ-তরুণীদের ঠাঁই হামবুর্গের নাট্যশালা

১৫ জানুয়ারি ২০১১

শরণার্থীদের জন্য বিদেশের মাটিতে নিরাপদ একটি আশ্রয় সহজ কোনো বিষয় নয়৷ কিন্তু জার্মানির একটি নাট্যদল সহজেই করছে সেই কাজ৷ এ নাট্যদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শরণার্থী তরুণ-তরুণীরা ভুলেছেন তাঁদের বেদনা৷

https://p.dw.com/p/zxsv
Hajusom, projekt, Hamburg, Performance, জার্মানি, শরণার্থী, নাটক, হায়ুসোম, তরুণ, তরুণী, ঠাঁই, বিদেশি, আশ্রয়, নাট্য, Germany, Theater, Drama, Play, Culture, Entertainment,
নাট্যদলটির নাম ‘হায়ুসোম'ছবি: Hajusom

নাট্যদলটির নাম ‘হায়ুসোম'৷ গত বারো বছর ধরে তরুণদের সহযাত্রী হয়ে কাজ করছে এই নাট্য প্রকল্পটি৷ গান, নাচ, অভিনয় এইসবের মাধ্যমে এই দলটি শরণার্থী তরুণ-তরুণীদের ফেলে আসা দুঃখময় স্মৃতি ভুলে থাকতে সাহায্য করছে৷

নাট্যদলের শিল্পীদের মধ্যে একজন আর্মান মার্জাক৷ এসেছেন আফগানিস্তান থেকে৷ যিনি আফগানিস্তানের যুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শী৷ অন্যদিকে, সাহার ইসলাহি এসেছেন ইরান থেকে৷ তিনি মায়ের সঙ্গে এখানে এলেও, প্রায়ই নিঃসঙ্গ বোধ করতেন৷ ‘হায়ুসোম' ছাড়া অন্য কোথাও গিয়ে সমবয়সি বন্ধু খোঁজা তাঁর জন্য ছিলো কঠিন৷ নয়মাস হলো তিনি এখানে এসেছেন৷­

Deutschland Flüchtlinge Kunstprojekt Hajusom in Hamburg
নাচ-গানে মেতে আছেন হায়ুসোমে কর্মরত শরণার্থীরাছবি: DW

নাট্যদলের আরেকজন সদস্য ওসমান দিয়াল্লো৷ তিনি বলেন, ‘‘কেবল অন্যদের সঙ্গে মজা করার জন্য আমি এখানে এসেছি৷'' ১৮ বছর বয়সি ওসমান এসেছেন পশ্চিম আফ্রিকার একটি দেশ থেকে৷ যিনি তাঁর বাবার হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী৷ মানসিক আঘাতের কারণে তিনি এখনও থেরাপি নিচ্ছেন৷ কিন্তু এই নাট্যদলটিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা বলে মনে করেন ওসমান৷

যদিও তরুণ শিল্পীরা মঞ্চে অভিনয় করার সময় প্রায়ই যুদ্ধ এবং সংকটকালীন পুরানো স্মৃতি তুলে ধরেন, হায়ুসোম তাঁদেরকে সেই অতীত স্মৃতি ভোলার সুযোগ করে দেয়৷ এই নাট্যদলের শৈল্পিক পরিচালক ডোরোথেয়া রাইনিকে বলেন, যে কেউ এই দলে অংশ নিতে পারেন৷ তিনি বলেন, এখানে এসে কেউ খুব সহজেই খুঁজে পেতে পারেন বন্ধু৷ তবে কোন বিষয়টি নিয়ে নতুন করে শেখার আগ্রহ রয়েছে, সেটা তাঁদেরকে প্রথমে জেনে নিতে হয়৷ এরপর তাঁরা সেই বিষয়ে নিজেদের পারদর্শী করে তোলেন৷ বিশেষ করে সেই ধরণের তরুণ-তরুণীরা এখানে রয়েছেন, যাঁরা আমাদেরকেও আনন্দ দিতে সক্ষম৷ এমনকি যাঁরা লজ্জা পেয়ে নিজেদের ‘পারফর্মেন্স' দেখান না, তাঁরাও এতে যোগ দিতে পারেন৷ তিনি বলেন, আসলে কোন চরিত্রটি তাঁরা মঞ্চস্থ করবেন, তাঁদের জন্য সেটা খুঁজে বের করাটাই আমাদের অন্যতম কাজ৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ