1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শান্তি প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করলো হামাস

৩ সেপ্টেম্বর ২০১০

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনতে প্রাথমিক সাফল্য পেল ওয়াশিংটনের বৈঠক৷ অ্যামেরিকার এই দাবির পাশাপাশি হামাস হুমকি ছুঁড়েছে ইসরায়েলে হামলার৷

https://p.dw.com/p/P3pS
গাজার নিয়ন্ত্রণ হামাসের হাতেছবি: AP

কট্টরপন্থী আহমেদিনেজাদ প্যালেস্টাইনকে ছুরিতে শান দিতে বললেন৷ আবার হুমকি দিলেন ইসরায়েলকে বিলুপ্ত করার৷

প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস আর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু, দুজনেরই ইচ্ছা আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার৷ দশ দিন পরেই তাঁরা ফের মুখোমুখি হবেন কায়রোয়৷ তারপর আবার প্রতি দুই সপ্তাহ অন্তর চলতে থাকবে আলোচনা৷ কিন্তু এই বৈঠকের অন্য দিকের প্রতিক্রিয়া যদি দেখতে হয়, তাহলে নজর দিতে হবে ইসরায়েল সহ মধ্যপ্রাচ্যের মিডিয়াগুলোর দিকে৷ যেখানে খুব একটা আশাবাদ দেখা যায় নি শুক্রবার৷ উদাহরণ, ইসরায়েলের নামজাদা রাজনৈতিক কলামনিস্ট নাহুম বার্নেয়ার প্রবন্ধ৷ বার্নেয়া বলছেন, মার্কিন চাপে পড়ে নেতানিয়াহু বৈঠকে বসেছেন ঠিকই, কিন্তু নেতানিয়াহুর চরিত্র কিন্তু এমন মোটেই নয়, যে তিনি চট করে ঘাড় পাততে রাজি হবেন৷ ওদিকে হামাস আবার নতুন করে হুমকি দিয়েছে ইসরায়েলের ওপর হামলা চালাবার৷

Frieden Nahost Netanjahu Obama
সরাসরি শান্তি আলোচনা শুরু হলেও পদে পদে বাধাছবি: picture-alliance/dpa

মোট তেরোটি জঙ্গি সংগঠনকে নিয়ে হামাস গড়ে তুলেছে এক শক্তিশালী গোষ্ঠী, যার লক্ষ্য হল ইসরায়েলের ওপর রকেট হামলা আর মানববোমা বিস্ফোরণ ঘটানো৷ হামাস চায় না এই শান্তি আলোচনার সাফল্য৷ আর এই কাজে তারা সম্ভবত ইরানের সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছে৷ কারণ ইরানের ইসরায়েল বিরোধী কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদ মাহমুদ আব্বাসের এই শান্তি উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করেছেন৷

বেশ কড়া ভাষায় আহমেদিনেজাদ নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বলেছেন, এসব শান্তি আলোচনা কোনদিকেই এগোবে না৷ প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কর্তৃত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলে ইরানি প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, কে এই আব্বাস এবং তাঁর সমঝোতাকারী প্রতিনিধিরা? কে তাদেকে দায়িত্ব দিয়েছে এ বিষয়ে আলোচনা করার? কী নিয়ে সমঝোতা করবে এরা? প্যালেস্টাইনের নিজস্ব ভূখণ্ড বিক্রি করার অধিকার কে দিয়েছে তাদের? এসব প্রশ্ন তোলার পাশপাশি প্যালেস্টাইনকে আহমেদিনেজাদের নির্দেশ, প্রস্তুত হতে৷ প্রস্তুতি অন্য কিছুর নয়, ইসরায়েলকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার৷ বলা বাহুল্য, এ ধরণের প্রতিক্রিয়াশীল আচরণ শান্তি আলোচনাকে কোনদিকে এগিয়ে দেবে তা বলে দেবে সময়৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন