1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শার্লক হোমস যা করতেন

৯ মে ২০১৬

আমরা টেলিভিশনে ক্রাইম সিনে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের দেখি৷ অপরাধীদের বিরুদ্ধে সর্বাধুনিক বৈজ্ঞানিক পন্থা প্রয়োগ করেন তারা৷ জার্মান পুলিশের হয়ে ঠিক সেই কাজ করেন তরফ উটা শ্লাইফার৷

https://p.dw.com/p/1Ik8B
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Hartswood Films for Masterpiece

অদৃশ্য কিছু হদিশ থেকেই অপরাধী শেষমেষ ধরা পড়ে৷ ম্যাগনেটিক পাউডার দিয়ে আঙুলের ছাপকে দৃশ্যমান করা যায়৷ অপরাধীদের শনাক্ত করার একটা বহু পুরনো পদ্ধতি৷ বিশেষ ধরনের ফোলিও দিয়ে সেই আঙুলের ছাপকে ধরে রাখেন উটা শ্লাইফার৷ এবার শুধু ডাটা ব্যাংকের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা বাকি৷

জোর করে ভাঙা দরজা থেকেও অনেক রকমের হদিশ পাওয়া যায়৷ যা দিয়ে ভাঙা হয়েছে, সেই যন্ত্র দরজার ফ্রেমে এমন সব ছাপ রেখে যায়, যা মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখা যায়৷ খুব দ্রুত শুকিয়ে যায়, প্লাস্টিসিনের মতো এমন একটি পদার্থ দিয়ে সেই ছাপ ধরে রাখা যায়৷ ডিটেকটিভ সুপারিন্টেন্ডেন্ট উটা শ্লাইফার বলেন, ‘‘প্রত্যেক স্ক্রুড্রাইভারের একটা বিশেষ আকার থাকে – কিভাবে তাদের ব্যবহার করা হয়, সেই অনুযায়ী৷ তার ফলে স্ক্রুড্রাইভারের গায়ে যে ধরনের আঁচড় পড়ে, তা মাইক্রোস্কোপের নীচে প্রায় একটা বারকোডের মতো দেখায়, তা এমনই একক ও অনন্য৷''

অকুস্থলে যা কিছু সাক্ষ্যপ্রমাণ যোগাড় করার ছিল, তা যোগাড় করা শেষ৷ এবার যেতে হবে পরের সাইটে৷ ডিটেকটিভ সুপারিন্টেন্ডেন্ট উটা শ্লাইফার জানেন, এই কাজ তাঁর কেন ভালো লাগে৷ উটা শ্লাইফার বলেন, ‘‘কোনো চিহ্ন নেই থেকে এমন একজন অপরাধীকে খুঁজে বার করা, যাকে কেউ চেনে না; সেই অপরাধীকে ধরে মানুষজনকে সাহায্য করা, এ থেকেই পেশাটা এত ইন্টারেস্টিং হয়ে ওঠে৷''

দিনে পাঁচটি কি ছ'টি চুরির ঘটনা; সপ্তাহে একটি করে হত্যার ঘটনা; আজ একটি দুর্ঘটনায় সংশ্লিষ্ট গাড়ি শনাক্ত করা৷ অকুস্থলে সব রকম হদিশ সংগ্রহ করতে অভিজ্ঞ তদন্তকারীর আধ ঘণ্টার বেশি লাগে না৷ পলাতক, অজ্ঞাত অপরাধীকে ধরার জন্য যে সাক্ষ্যপ্রমাণ দরকার, তার সবই উটার হাতে৷ আর লাগে হাইটেক প্রযুক্তি৷ উটা শ্লাইফার জানালেন, ‘‘এই বাতিটা থেকে নানা ধরনের স্পেক্ট্রাল আলো বেরোয়, যা দিয়ে অদৃশ্য সব পদার্থ দেখতে পাওয়া যায়৷''

গাড়ির দরজায় উটা কাপড়ের রোঁয়া খুঁজে পেয়েছেন৷ সেলোটেপ দিয়ে সেটাকে আটকে রাখলেন উটা৷ এই রোঁয়া পরে অন্যত্র খুঁজে পাওয়া জামাকাপড়ের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে৷ ড্রাইভারের সিটে কোনো একটা তরল পদার্থের রেশ খুঁজে পাওয়া গেছে, সেটা কি রক্ত? কটন বাড ডিস্টিলড ওয়াটারে ভিজিয়ে সেই জায়গায় ঘষে এখনই ঠেস্ট করে দেখা হবে, ওটা রক্ত কিনা৷ উটা বললেন, ‘‘টেস্ট স্ট্রিপটা নীল হয়ে গেছে৷ এ থেকে প্রমাণ হয় যে, ড্রাইবারের সিটে ওটা সত্যিই রক্তের চিহ্ন ছিল৷''

রক্ত, মাথার চুল বা ত্বকের কোষ থেকে ডিএনএ পাওয়া যায়৷ কাজেই এই সব হদিশ অতি পরিষ্কার ভাবে তুলে রাখতে হবে৷ এ থেকে অনেক বছর পরেও অপরাধীকে শনাক্ত করা যাবে৷ উটা শোনালেন, ‘‘দস্তানা পরে থাকলেও অপরাধী তার ডিএনএ-র হদিশ রেখে যায়৷ মুখ কিংবা জামার হাতা থেকে ত্বকের কোষ অন্যত্র থেকে যায়৷ অপরাধী কোনো রকম হদিশ না রাখার চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু তা পুরোপুরি করা সম্ভব নয়৷''

প্রত্যেকটি অপরাধেরই চিহ্ন থেকে যায়৷ সেই সব হদিশ নিশ্চিত করার কাজ শুধু আঙুলের ছাপ নিলেই শেষ হয়ে যায় না৷ যে কারণে উডা শ্লাইফারের মতো বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য