1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিক্ষার অধিকার আইন কার্যকর হলো ভারতে

১ এপ্রিল ২০১০

শিক্ষাকে মৌলিক অধিকার দিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে ভারতে কার্যকর হলো সর্বজনীন ও অবৈতনিক আইন ২০০৯৷ জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে এই মর্মে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং৷

https://p.dw.com/p/Ml5p
শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতেই এই আইনছবি: AP

এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে ২০০২ সালে সংবিধান সংশোধন করে শিক্ষাকে দেওয়া হয় মৌলিক অধিকারের মর্যাদা, যার ভিত্তিতে গত বছর সংসদে পাশ হয় সর্বজনীন,অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা আইন ২০০৯ যা কার্যকর করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে৷ তিনি বলেন, আর্থ-সামাজিক অবস্থা নির্বিশেষে ভারতের প্রতিটি ছেলেমেয়েকে শিক্ষার সমান অধিকার দেবার অঙ্গীকার সরকার পালন করতে চলেছে৷ রাজ্যগুলিকে অংশীদার করে এই আইন কার্যকর করতে আর্থিক অসুবিধা হবেনা বলে তিনি জানান৷

এই আইনে ৪ থেকে ১৪ বছরের ছেলেমেয়েদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা হবে বাধ্যতামূলক৷ বাইশ কোটি এই বয়সের ছেলেমেয়ে এর আওতায় আসবে৷ সেজন্য যেসব স্থানে স্কুল নেই, পরিকাঠামো নেই, সেইসব স্থানে স্কুল খোলা হবে৷ শিক্ষকদের সংখ্যা বাড়িয়ে তাঁদের দেওয়া হবে বিশেষ প্রশিক্ষণ৷

বিশ্লেষকদের মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের সর্ব শিক্ষা অভিযান এখনও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি৷ যার মূল কারণ দারিদ্র্য ও সামাজিক কুসংস্কার৷ এসব দূর করে সমাজের দুর্বল শ্রেণীর ছেলেমেয়েদের যাতে স্কুলমুখী করা যায়, তারজন্য এগিয়ে আসতে হবে পরিবার, পঞ্চায়েত,সুশীল সমাজ ও শিক্ষকদের৷

এই প্রসঙ্গে নতুনদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্বরাজ বসু সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে ডয়েচে ভেলেকে বলেন, ‘‘এই আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে কিছু অসুবিধা রয়েছে৷ যেমন, স্কুলগুলিতে শিক্ষকের অভাব, পরিকাঠামোর অভাব, গরিব ঘরের সন্তানদের আহার জোটাতে শিশু শ্রমিক হয়ে যাওয়া ইত্যাদি যেসব সমস্যা আছে, সেই সব সমস্যার বিহিত করতে না পারলে শুধুমাত্র আইন করে প্রত্যাশিত ফল পাওয়া যাবেনা৷ এক্ষেত্রে সুশীল সমাজ ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির বড় ভূমিকা অবশ্যই আছে৷ যেমন মধ্যপ্রদেশে একলব্য নামে, রাজস্থানে লোকজুম্বিশ নামে যে এন জিও আছে তারা ভাল কাজ করছে৷ সর্ব স্তরে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালালে অনেক শিশু শ্রমিককে স্কুলমুখী করা সম্ভব হতে পারে৷''

প্রতিবেদকঃ অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনাঃ আব্দুল্লাহ আল-ফারূক