1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিথিল বিধিনিষেধে করোনা রোখার চেষ্টা

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
২৩ মে ২০২১

কিছু শর্ত শিথিল করে বাংলাদেশে বাড়ানো হয়েছে করোনা ‘বিধিনিষেধ’ এর মেয়াদ৷ এবার চলবে দূরপাল্লার গণপরিবহন, উন্মুক্ত থাকবে হোটেল রেস্তোরাঁও৷ তবে একে বিধিনিষেধ বলতে নারাজ বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ৷

https://p.dw.com/p/3tpkf
কিছু শর্ত শিথিল করে বাংলাদেশে বাড়ানো হয়েছে করোনা ‘বিধিনিষেধ’ এর মেয়াদ৷ এবার চলবে দূরপাল্লার গণপরিবহন, উন্মুক্ত থাকবে হোটেল রেস্তোরাঁও৷ তবে একে বিধিনিষেধ বলতে নারাজ বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ৷
ছবি: Mortuza Rashed/DW

এবার লকডাউন বাড়ানোর সাথে আরো কয়েকটি ঘোষণা এসেছে৷ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন, দূরপাল্লার বাস ও লঞ্চ চলবে৷ হোটেল, রোস্তারাঁ, খাবারের দোকানে বসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাওয়া যাবে৷ যানবাহনে অর্ধেক আসন খালি থাকবে৷ ভাড়া দিতে হবে শতকরা ৬০ ভাগ বেশি৷ সোমবার থেকে এসব নিয়ম কার্যকর হচ্ছে৷

এর আগে লকডাউনে গণপরিবহন আর ট্রেন ছাড়া সবকিছু খোলা ছিলো৷ স্বাস্থ্যবিধি আর মাস্ক পরার জন্য বলা হলেও তা তেমন কার্যকর হয়নি৷ সরকার মাস্ক পরাতে আইন প্রয়োগের কথাও চিন্তা করছে৷ বন্ধ থাকছে শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷

বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর গত ৫ এপ্রিল থেকে ‘কঠার লকডাউন’ শুরু হয়৷ কিন্তু তিনদিনের মাথায় তা ঢিলেঢালা হয়ে যায়৷ পুলিশের ‘মুভমেন্ট পাস’ নিয়েও চলাচলের কথা বলে হলেও পরের দিকেও তাও শিথিল হয়ে পড়ে৷ এরপর ধারাবাহিকভাবে বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়ে সঙ্গে একে একে সব খুলেও দেয়া হয়৷ ঈদের সময় ফেরিঘাটে বিজিবি মোতায়েন করেও বাড়িমুখো মানুষের ঢল থামানো যায়নি৷ ঈদের পরও তারা এসেছেন একইভাবে৷

ডা. নজরুল ইসলাম

এর আগে গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হলে ২৬ মার্চ থেকে টানা ৬৬ দিন সব কিছু বন্ধ ছিলো৷ আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয় ১৮ মার্চ থেকে৷

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ১২ হাজার ৩৭৬  জন৷ আর করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন সাত লাখ ৮৯ হাজার ৮০  জন৷ রবিবার ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২৮ জন৷ করোনা শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৩৫৪ জনের৷

ভাইরোলজিস্ট ও করোনা সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য এবং বিএসএমইউ'র সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম মনে করেন, ‘‘দূরপাল্লার বাস এবং ট্রেন চলাচল শুরুর চাপ ছিলো৷ তাই সরকার কৌশলে বিষয়টি সহজ করে দিয়েছে৷ বিধিনিষেধের সময়ও বাড়িয়েছে আবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কিছু খোলারও অনুমতি দিয়েছে৷ সরকার একটা কৌশল অবলম্বন করেছে৷ আসলে তো সব কিছু তো খুলেই গেছে৷''

তিনি বলেন, ‘‘ঈদের সময় স্বাস্থ্যবিধি না মানার যে ব্যাপক প্রবণতা দেখা গেছে তার প্রভাব দেখতে আমাদের আরো কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে৷ কারণ কেউ সংক্রমিত হলে তা প্রকাশ পেতে কমপক্ষে ১৪ দিন সময় লাগে৷ তাই আগামী ২৬-২৭ তারিখে তা বোঝা যাবে৷’’

ডা. জাহিদুর রহমান

তার মতে, ‘‘বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোপুরি লকডাউন সম্ভব নয়৷ তাই আমরা সরকারকে শুরু থেকে স্বাস্থ্যবিধির ওপর জোর দিতে বলেছিলাম৷ বিশেষ করে মাস্ক পড়ার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে বলেছি৷ কিন্তু সেটা হয়নি৷ এখনো বলছি সবাইকে মাস্ক পরাতে হবে৷ স্বাস্থ্যবিধি মানাতে হবে৷ এর কোনো বিকল্প নাই৷’’

সোহারাওয়ার্দী হাসপাতালের  ভাইরোলজিস্ট ডা. জাহিদুর রহমান  বলেন, ‘‘এখন যা হচ্ছে তা বোঝা কঠিন৷ সবকিছুই তো খুলে দেয়া হচ্ছে৷ তাহলে বিধিনিষেধ কোথায়? আমরা শুরু থেকেই এই অব্যস্থাপনা দেখে আসছি৷ সেটা নিয়ে এখন বলতে বলতে ক্লান্ত৷ আর বলতে ইচ্ছা করে না৷’’

তার মতে, ‘‘যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমেছে৷ এখন খুলে দেয়া হয়েছে৷ কিছু দিন পর এর ফলাফল বোঝা যাবে৷’’

এদিকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেই আমরা নতুন নির্দেশনা দিয়েছি৷ সংক্রমণ বাড়লে আমাদের সিদ্ধান্তও পরিবর্তন হবে৷’’এদিকে ভারতে শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন ধরনে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে নয়জন শনাক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর৷ সন্দেহভাজন আরও কয়েকজনের নমুনা জিনগত পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান