1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিশুদেরও দ্রুত করোনার টিকা দেবার পরিকল্পনা

৩০ এপ্রিল ২০২১

জার্মানিতে করোনা সংক্রমণের হার আবার কমতে থাকায় পরিস্থিতির উন্নতির আশা বাড়ছে৷ গ্রীষ্মের ছুটির আগেই শিশুদের করোনা টিকা দেবার আশা করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী৷ ইইউ স্তরে টিকা সার্টিফিকেট অনুমোদন পেয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3smcA
TABLEAU | Deutschland Berlin | Coronavirus dritte Welle | Grundschule
ছবি: Sean Gallup/Getty Images

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় কড়া পদক্ষেপে যে সত্যি কাজ হয়, জার্মানিতে তা আবার স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷ রাতে কারফিউসহ মানুষের মেলামেশা কমাতে একাধিক পদক্ষেপের ফলে দৈনিক সংক্রমণের হার ধীরে হলেও ধারাবাহিকভাবে কমে চলেছে৷ প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে সংক্রমণের গড় সাপ্তাহিক হার কমে দাঁড়িয়েছে ১৫৫, যা গত দুই সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে কম৷ তবে ‘তৃতীয় ঢেউ' এখনো পুরোপুরি ভাঙা যায় নি বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান৷ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সংক্রমণের হার আরও দ্রুত কমলে তবেই আশার আলো দেখা যাবে৷ সেইসঙ্গে হাসপাতালের আইসিইউ-র উপর চাপ কমাও জরুরি৷

এমন ইতিবাচক প্রবণতার জন্য টিকাদান কর্মসূচির দ্রুত গতিও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন৷ তবে এখনো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদের সিংহভাগ টিকা পান নি বলে সতর্কতা বজায় রাখার পক্ষে যুক্তি দেখাচ্ছেন তারা৷ কিছু বিশেষজ্ঞ অবশ্য হিসেব করে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সংক্রমণের হার নাটকীয় হারে কমে যাবে বলে পূর্বাভাষ দিয়েছেন৷

করোনা ভাইরাসের আরও ছোঁয়াচে সংস্করণ, বিশেষ করে ব্রিটেন থেকে আসা বিওয়ানওয়ানসেভেন শিশু ও কিশোরদের মধ্যে মারাত্মক হারে সংক্রমণ ঘটিয়ে চলেছে বলেও সরকারের উদ্বেগ কাটছে না৷ শিশু ও কিশোররা সব ক্ষেত্রে নিজেরা আক্রান্ত না হলেও তাদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা বাড়ছে৷ ইউরোপীয় কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র পেলে জার্মানিতে গ্রীষ্মকালীন ছুটির আগেই ১২ বছরের কম বয়সিদের করোনা টিকা দেবার আশা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্পান৷

চলতি বছর গ্রীষ্মে ইউরোপে জনজীবন অন্তত কিছুটা হলেও স্বাভাবিক করে তুলতে অভিন্ন টিকা সার্টিফিকেট চালু করার ক্ষেত্রে কিছু অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সেই প্রস্তাব অনুমোদন করেছে৷ বিশেষ করে ইউরোপের দক্ষিণের দেশগুলি পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে এমন ইইউ ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটের দাবি জানিয়ে আসছিল৷ তবে বিভিন্ন দেশে টিকা ও করোনা পরীক্ষার নিয়ম আলাদা হওয়ায় এমন অভিন্ন সার্টিফিকেটের কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় দেখা যাচ্ছে৷ তাছাড়া পিসিআর টেস্টের স্কীকৃতি, তথ্য সংরক্ষণ, বৈষম্য ইত্যাদি অনেক বিষয়েও ইইউ দেশগুলির মধ্যে সমন্বয় এখনো বেশ কঠিন হয়ে রয়েছে৷ কোনো কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারও তৈরি করা সম্ভব হয়নি৷

এমন অবস্থায় ইউরোপীয় পর্যায়ে করোনার টিকা সংক্রান্ত ডিজিটাল সার্টিফিকেট প্রস্তুত হলেও সেই সার্টিফিকেট দেখিয়ে সব দেশে একই সুযোগসুবিধা ভোগ করা সম্ভব হবে না৷ কোনো দেশে প্রবেশ করার আগে সেখানকার বিধিনিয়ম জেনে নিতে হবে৷ তাছাড়া ইইউ সার্টিফিকেটে শুধু অনুমোদিত টিকাগুলি নথিভুক্ত করা যাবে৷ যে সব দেশ বিচ্ছিন্নভাবে রুশ বা চীনা টিকা অনুমোদন করেছে, সে সব দেশকে এ বিষয়ে নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ এদিকে জার্মানিসহ একাধিক ইইউ দেশ নিজস্ব ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে৷ ফলে কার্যক্ষেত্রে স্বীকৃতি, বিধিনিয়ম ইত্যাদি নানা বিষয়ে বিভ্রান্তির আশঙ্কা রয়েছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)