1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিশু-কিশোরদের ওজন বাড়ার আদ্যপান্ত

২৫ মে ২০১০

ইদানিং শিশু বা কিশোর-কিশোরীদের শরীরের ওজন বেড়ে যাচ্ছে – যা থেকে শরীরে বাসা বাঁধছে নানান অসুখ৷ সম্প্রতি এক হিসেবে দেখা গেছে যে, বিশ্বের প্রতি দশজন শিশু ও কিশোর-কিশোরীর মধ্যে একজনের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি৷

https://p.dw.com/p/NW42
ফাইল ফটোছবি: AP

তবে এই হারটা সবচেয়ে বেশি অ্যামেরিকায়৷ সেখানকার প্রতি তিনজনের একজনেরই ওজন অস্বাভাবিক৷ আর তাইতো ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা কিশোরদের ওজন বাড়া নিয়ে চিন্তিত৷

বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত ওজনের কারণে শরীরের প্রতিটা অঙ্গেই নানান ধরণের অসুখ বাসা বাধতে পারে৷ যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ক্যান্সার ইত্যাদি৷ এছাড়া ঘুম ও খাবারের সমস্যা, ত্বক ও লিভারের অসুখ, শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা – এগুলোতো রয়েছেই৷ তবে অন্য যে সমস্যা কিশোর-কিশোরীরা বেশি করে অনুভব করে সেটি হলো বন্ধুদের কাছ থেকে কটু কথা শোনা বা তাদের নিয়ে বন্ধুদের হাসাহাসি করা৷ এর ফলে বেশি ওজনের কিশোর-কিশোরীরা সামাজিকভাবে নিজেদের ছোট মনে করতে পারে৷

ওজন বাড়ার কারণ

বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল মান্নান বলেছেন, উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার যেমন ফাস্ট ফুড, স্ন্যাক্স, সফ্ট ড্রিংকস, ক্যান্ডি সহ চিনি ও তেলযুক্ত খাবার ওজন বাড়ার জন্য দায়ী৷ এছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম না করা, ঘন্টা পর ঘন্টা বসে টেলিভিশন দেখাও ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ৷

সম্প্রতি মিশেল ওবামার আহ্বানে সাড়া দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ১৬টি কোম্পানি খাবারে ক্যালরির পরিমাণ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে৷ এখন থেকে খাবার তৈরিতে চিনি ও ওজন বাড়ায় এমন উপাদান কম দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন তাঁরা৷ এর পরিবর্তে ওজন কমায় – এমন কিছু দিয়ে তাঁরা খাবার তৈরি করবেন বলে জানিয়েছেন৷ ঐ ১৬টি কোম্পানির একটি কেলগ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেভিড ম্যাকে বলছেন, মিশেল ওবামার এই সচেতনতা অভিযানের প্রতি সম্মান দেখাতেই তাঁরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷

ওজন বাড়া প্রতিরোধে করণীয়

এদিকে ওজন যেন না বাড়ে সেজন্য বেশি করে শাক সবজি, ফলমূল ও মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ডাঃ মান্নান৷ এছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম করারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি৷ এদিকে নবজাতক শিশুদের যদি শুধু বুকের দুধ খাওয়ানো যায় তাহলে সেটা পরবর্তী জীবনে বাচ্চাদের ওজন ঠিক রাখতে বেশ কাজ করে বলে মার্কিন সরকারের বিশেষজ্ঞরা সম্প্রতি পরীক্ষা করে জানতে পেরেছেন৷

বাড়া ওজন কমাতে করণীয়

তবে যাদের ওজন ইতিমধ্যে বেড়ে গেছে তাঁদের জন্য বাজারে কিছু ওষুধ পাওয়া যায়৷ কিন্তু এগুলোর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া অনেক৷ ডাঃ মান্নান বলছেন, ওজন বাড়ার কারণ বের করতে পারলে চিকিৎসা অনেক সহজ হয়ে যায়৷ তবে জিনগত কারণে ওজন বাড়ার তেমন কোনো চিকিৎসা নেই বলে জানান তিনি৷ এছাড়া অনেকে অপারেশন করে বাড়তি ওজন ছেঁটে ফেলার কথা বলেন৷ কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এর বিপক্ষে৷ তাঁরা বলছেন, শুধু সর্বোচ্চ ক্ষেত্রেই অপারেশনের সাহায্য নেয়া উচিত৷ কারণ প্রক্রিয়াটা নাকি এখনো সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত নয়৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন