1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শীর্ষ বৈঠকের পরই বাইডেন ও পুটিনের হুমকি

৯ ডিসেম্বর ২০২১

বাইডেন ও পুটিনের মধ্যে শীর্ষ বৈঠকের একদিন পরেই অ্যামেরিকা ও রাশিয়া একে অপরকে হুমকি দিলো। ফ্রান্স, জার্মানির চাপ রাশিয়াকে।

https://p.dw.com/p/441IR
পুটিন ও বাইডেনের মধ্যে ভার্চুয়াল শীর্ষ বৈঠকের ছবি। ছবি: Mikhail Metzel/dpa/picture alliance

শীর্ষ বৈঠকের পর একদিনও কাটলো না। আবার পরস্পরকে হুমকি অ্যামেরিকা ও রাশিয়ার। বাইডেন জানিয়ে দিলেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে হামলা করে, তাহলে কঠোরতম আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। আর পুটিনও জানিয়ে দিলেন, নিজের দেশকে রক্ষা করার অধিকার রাশিয়ার আছে। বুধবার ফ্রান্সও রাশিয়াকে সাবধান করে দিয়ে বলেছে, ইউক্রেন আক্রান্ত হলে তার পরিণাম ভালো হবে না। জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর শলৎস জানিয়েছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করলে তার প্রভাব সরাসরি নর্ড স্ট্রিম ২ পাইপলাইনের উপর পড়বে। সব মিলিয়ে চাপ-পাল্টা চাপ চলছে।

বাইডেনের হুমকি

মঙ্গলবার ক্রেমলিন থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছিল। তাতে দেখা গেছে, বাইডেন ও পুটিন একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে ভার্চুয়াল শীর্ষসম্মেলন হচ্ছে। কিন্তু বুধবারই হোয়াইট হাউসে মুখ খুললেন বাইডেন। তিনি বলেছেন, ''আমি খুব নম্রভাবে একটি বিষয় পরিস্কার করে দিয়েছি। যদি তিনি ইউক্রেনে হামলা করেন, তাহলে তার পরিণতি ভয়ংকর হবে।''

বাইডেন বলেছেন, ''তখন এমন আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে, যা এর আগে কেউ দেখেনি। আমি আত্মবিশ্বাসী যে, তিনি বার্তাটি বুঝতে পেরেছেন।''

পুটিন যা বলেছেন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিন বলেছেন, আলোচনা গঠনমূলক হয়েছে। দুই দেশই আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছে। কিন্তু তিনি এটাও জানিয়েছেন, রাশিয়া শান্তিপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে চলে। তবে নিজেকে রক্ষা করার অধিকারও রাশিয়ার আছে।

উত্তেজনার মধ্যেই রাশিয়ার সামরিক মহড়া শুরু

পুটিন জানিয়েছেন, ''প্রতিটি দেশেরই নিজের নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু এটা এমনভাবে করা দরকার, যাতে অন্য দেশের অধিকার লঙ্ঘিত না হয়।''

জার্মানি ও ফ্রান্সের বক্তব্য

নতুন জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস বুধবারই শপথ নিয়েছেন। তারপরই তিনি বলেছেন, ''রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করলে তার প্রভাব নর্ড স্ট্রিম ২ পাইপ লাইনে পড়তে বাধ্য।''

শলৎসের মতে, ''প্রতিটি দেশের সীমান্ত অলঙ্ঘনীয়। এটা সবাইকে বুঝতে হবে। কেউ যদি তা লঙ্ঘন করে, তাহলে তার প্রতিফল তাকে পেতে হবে।''

ফ্রান্সের  বক্তব্য, রাশিয়াকে যথেষ্ট কড়া বার্তা পাঠানো হয়েছে। তাদের বলে দেয়া হয়েছে, ইউক্রেনে হামলা করলে তার প্রতিক্রিয়া মারাত্মক হতে বাধ্য। ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, যুক্তরাজ্য এবং অ্যামেরিকা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও বলেছেন, বাইডেন যে শান্তি বজায় রাখার জন্য উদ্যোগী হয়েছেন, তাতে তিনি খুশি।

জিএইচ/এসজি (এপি, রয়টার্স, ডিপিএ)