1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শূন্য থেকে যেভাবে দেশসেরা

৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

১৪ বছর আগে বলতে গেলে শূন্য হাতেই শুরু করেছিলেন ফারহানা এ রহমান৷ সেদিনের সেই অচেনা গৃহিণী এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সফল, জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃত তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা৷ এক সাক্ষাৎকারে সফল হওয়ার গল্প শুনিয়েছেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/2X6bt
Bangladesch Unternehmerin Farhana A Rahman
ছবি: UY Systems Limited

ইউওয়াই সিস্টেম্স লিমিটেড এর সিইও ফারহানা এ রহমান৷ বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তিতে সফল কয়েকটি নামের প্রথম দিকেই আসে তাঁর নাম৷ আইটি খাতে বিশেষ অবদানের জন্য দেশসেরা নারী উদ্যোক্তার পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি৷

তাঁর প্রতিষ্ঠান ইউওয়াই-এর কাজ মূলত আউটর্সোসিং, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এবং ওয়েবসাইট তৈরি করা৷ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছে ইউওয়াই-এর তৈরি করে দেয়া ই-কমার্স ওয়েবসাইট৷ ইউরোপের ৭ হাজারেরও বেশি ওয়েবসাইটকে রেসপন্সিভ করার কৃতিত্বও ইউওয়াই-এর৷ টেলিফোন সাক্ষাৎকারে তাঁর এসব অর্জনের চেয়ে অবশ্য অর্জনের পথ রচনার সময় এবং পথ অতিক্রমণের চড়াই-উৎরাইয়ের কথাই বেশি জানতে চাওয়া হয়েছে৷ শত ব্যস্ততার মাঝেও একটু সময় বের করে ডয়চে ভেলেকে সেসব কথা সাবলীলভাবেই বলেছেন ফারহানা এ রহমান৷

গল্পের শুরুটা আর দশটা সাধারণ মেয়ের মতোই৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে সেই একটা চাকরির পেছনে ছোটা এবং চাকরি জোটার পরই পরিবার এবং সমাজের চোখ রাঙানি সামলে এগিয়ে চলার চ্যালেঞ্জ৷ কিন্তু ফারহানার কাছে সেই চ্যালেঞ্জের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল সাফল্যের চূড়ায় ওঠার অভিলাষ৷

অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে যাত্রার জন্য দরকার ছিল যুৎসই সূচনা৷ ফারহানা বলছিলেন ১৪ বছর আগে দেশে তেমন কোনো অনুকরণীয় আইটি উদ্যোক্তা ছিল না বলে চ্যালেঞ্জটা অনেক বেশি কঠিন ছিল৷ কঠিন চ্যালেঞ্জটা জয় করলেন কীভাবে?

ফারহানা বললেন, ‘‘আমি যখন মাস্টার্স কমপ্লিট করি, সেই সময় দেশে আইটি উদ্যোক্তা ছিল একেবারে হাতে গোনা৷ তো তখন আমিও আর দশজনের মতো চাকরি করার কথা মাথায় রেখেই পথ চলতে শুরু করি৷ কিন্তু নয়টা-পাঁচটা চাকরি সেই সময়ও ডিসকারেজ করা হতো৷ মানে, এতটা সময় বাসার বাইরে থাকা, বিশেষ করে ছোট বাচ্চা থাকলে, খুবই কঠিন৷ আামার সেই সময় ছোট বাচ্চাও ছিল৷ বাচ্চার বয়স তখন দেড় বছর৷আমি সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে মাস্টার্স কমপ্লিট করেছিলাম৷ একটা প্রতিষ্ঠানে জয়েনও করেছিলাম৷''

কিন্তু বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর সাবেক সভাপতি জানালেন, ছোটবেলা থেকেই নিজে থেকে কিছু করার আগ্রহটা ছিল প্রবল, সৃষ্টিশীল কাজ খুব টানতো তাঁকে৷ তাই নয়টা-পাঁচটার চাকরিটা ঠিক উপভোগ করতে পারছিলেন না৷ থেকে থেকেই মন যেন বলছিল, ‘হেথা নয় , হেথা নয়, অন্য কোথা , অন্য কোনখানে'৷ অল্পদিনেই জানলেন সেই ‘অন্য কোথা' হতে পারে আউটসোর্সিং৷

‘‘ভারতে তখন খুবই আলোচিত বিষয় ছিল ‘আউটসোর্সিং' এবং ‘ডটকম বিজনেস'৷ কিন্তু বাংলাদেশে এরকম কিছুই সেই সময় ছিল না৷''

ফারহানা এ রহমান

তাই বলে তো বসে থাকলে হবে না৷ খুব ছোট পরিসরে হলেও নিজেই কিছু একটা করবেন ভেবে শুরু করলেন তার প্রস্তুতি৷ আইটি-তে প্রশিক্ষণ নিলেন৷ তারপর একদম সময় নষ্ট না করে ঘরে বসেই শুরু করলেন কাজ৷ সম্বল শুধু একটা কম্পিউটার, নিজের সদ্য লাভ করা জ্ঞান আর আশৈশব লালন করে আসা অসীম আগ্রহ৷ তা দিয়েই একপা-দু'পা' করে এগোতে এগোতে ফারহানা এ রহমান আজ বাংলাদেশের আইটি জগতের খুব চেনা-জানা নাম৷ কর্মসূত্রে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত এবং জাতীয়ভাবে পুরস্কৃত এক উদ্যোক্তা৷ অডিও সাক্ষাৎকারটি শুনে জেনে নিন তাঁর শূন্য থেকে দেশসেরা হওয়ার গল্প৷

সাক্ষাৎকার: আশীষ চক্রবর্ত্তী

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য