সংকটের মুখে ইথিওপিয়া
ভয়ংকর অবস্থা ইথিওপিয়ায়। বিদ্রোহী টিপিএলএফ যোদ্ধারা এবার রাজধানী আদ্দিস আবাবার দিকে এগোচ্ছে। সাবেক সেনা কর্মীদের হাতে অস্ত্র নিতে বলছে সরকার।
আদ্দিস আবাবার কাছে
রাজধানী থেকে সাড়ে তিনশ কিলোমিটার দূরের শহর দখল করে নিয়েছে টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফোর্স (টিপিএলএফ)। তারপর তারা রাজধানীর দিকে এগোচ্ছে। এর আগে তারা সেনাবাহিনীর কাছ থেকে টিগ্রের দখল নিয়েছিল। উপরের ছবিটি টিগ্রের রাজধানী দখলের পর টিপিএলএফের সদস্যদের।
সরকারের সমর্থনে
রাজধানী আদ্দিস আবাবায় সরকার ও সেনার সমর্থনে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। বিশাল জমায়েতে তারা সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা
পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা প্রবল হচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিদ্রোহী টিপিএলএফ-কে ঠেকাতে না পারলে তারা রাজধানীর দখল নিয়ে নেবে। তখন রক্তগঙ্গা বইতে পারে। গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনাও বাড়বে।
সরকারের আবেদন
সরকার ইতিমধ্যেই সাবেক সেনা অফিসার ও জওয়ানদের হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে বিদ্রোহীদের মোকাবিলা করার অনুরোধ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ, সাধারণ মানুষও যেন হাতে অস্ত্র তুলে নেয় এবং দেশরক্ষার জন্য এগিয়ে আসে। কার কাছে কী অস্ত্র আছে, তাও নথিভুক্ত করা হচ্ছে।
সাবেক সেনাকর্তা এগিয়ে এলেন
সাবেক সেনাকর্তা বর্তমান সেনার সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। তিনি ও বর্তমান সেনাপ্রধান সংঘর্ষে নিহত সেনার উদ্দেশ্যে শোকপ্রকাশ করছেন।
মোমবাতি মিছিল
টিপিএলএফের হাতে যেসব সেনার মৃত্যু হয়েছে, তাদের স্মরণে মোমবাতি মিছিল আদ্দিস আবাবায়। প্রচুর মানুষ এভাবে শোকপ্রকাশ করেছেন।
সামিল সেনারাও
বর্তমান ও সাবেক সেনারাও মৃত সৈনিকদের উদ্দেশ্যে শোকপ্রকাশ করেছেন।
বিদ্রোহীদের দখলে
আমহারা অঞ্চলে বিদ্রোহীরা একটি শহর দখল করে নিয়েছে। অক্টোবরে এই শহর সেনার হাতছাড়া হয়।
টিগ্রের রাজধানীতে
টিগ্রের রাজধানীতে এভাবেই উড়ছে টিপিএলএফের পতাকা। এই শহর পুরোপুরি টিপিএলএফের দখলে।
গভীর সংকট
যেভাবে এখন টিপিএলএফ এবং আমহারা ফোর্স সেনাকে পরাস্ত করে এগিয়ে আসছে, তাতে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। প্রশ্ন এখন রাজধানীর দখল কে নিজের কাছে রাখতে পারবে তা নিয়ে। ফলে গভীর সংকটের মুখে পড়েছে ইথিওপিয়া।