1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর আত্মহত্যা

৮ অক্টোবর ২০২০

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের দুই মাস পরেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় তাঁর বাবা আত্মহত্যা করতে গেছিলেন। তারপর পুলিশ ব্যবস্থা নিল। কংগ্রেস শাসিত ছত্তিশগড়ে।

https://p.dw.com/p/3jc73
ছবি: Reuters/A. Fadnavis

বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশের পর এ বার কংগ্রেস শাসিত ছত্তিশগড়। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর পুলিশ ব্যবস্থা তো নেয়ইনি, বরং তা ধামাচাপা দিতেই ব্যস্ত ছিল। এফআইআর পর্যন্ত করছিল না। ধর্ষণের পরের দিনই মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় মেয়েটির বাবা গত মঙ্গলবার বিকেলে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করতে গেছিলেন। এ নিয়ে প্রবল আলোড়ন দেখা দেয়ায় পুলিশ ঘটনার দুই মাসেরও বেশি সময় পর পাঁচজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। দুই জন পলাতক।

মেয়েটির দেহ না পুড়িয়ে সমাহিত করে রেখেছিল পরিবার। তাঁর দেহ বের করে ময়নাতদন্ত করতে দিয়েছে পুলিশ। বস্তারের আইজি সুন্দররাজ জানিয়েছেন, এসপি-র নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে।

স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, ঘটনার পরই ধর্ষিতার বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছিল যে, অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু কিছুই করেনি। অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরি করেছে। একজন সাক্ষীকে সমানে ভয় দেখিয়ে গেছে। বাবা বীতশ্রদ্ধ হয়ে গলায় দড়ি দিতে গেছিলেন। তা নিয়ে হইচই হওয়াতে তখন পুলিশ নড়চড়ে বসে। পুলিশ অবশ্য দাবি করছে, পরিবারের তরফ থেকে তাঁদের কাছে কিছুই জানানো হয়নি।

সুন্দররাজ বলেছেন, একটি বিয়েবাড়ি থেকে মেয়েটিকে দুই জন ধরে জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে আরও পাঁচজন ছিল। তারা মেয়েটিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।

মেয়েটির কাকা জানিয়েছেন, ধর্ষণের পরের দিন মেয়েটি বাড়িতে ভাইবোনদের সঙ্গে ছিল। তখন সে গলায় দড়ি দেয়। তাঁর বাবা-মা যেহেতু সে সময় গ্রামে ছিলেন না, তাই গ্রামের লোকেদের উপস্থিতিতে তাঁর দেহ না পুড়িয়ে সমাহিত করা হয়। এতদিন পর পুলিশ সেই দেহ তুলে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

মেয়েটির বাবা যে গলায় দড়ি দিতে গেছিলেন তা সুন্দররাজ স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে কেন তিনি আত্মহত্যা করতে গেছিলেন তা তিনি জানেন না।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই)