1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংসদে অন্তবর্তী বাজেট পেশ

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

সোমবার মনমোহন সিং সরকারের প্রাক-নির্বাচনি বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম৷ বড় কোনো পরিবর্তন হয়নি কর ব্যবস্থায়৷ রাজকোষ ঘাটতি বিপদ চিহ্নের নীচে৷ শিল্প ও বাণিজ্য মহলে প্রতিক্রিয়া মিশ্র৷

https://p.dw.com/p/1BAXC
Indien Haushalt Minister Chidambaram
ছবি: Prakash Singh/AFP/Getty Images

নির্বাচনের আগে মাত্র তিন মাসের জন্য অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম৷ এটাকে বলা যায় সরকারের ব্যয়ানুমোদন৷ পূর্ণ বাজেট পেশ করবে নির্বাচনে যে-দল ক্ষমতায় আসবে সেই দলের সরকার৷ অর্থনীতিবিদদের মতে, এটা নেহাতই সাদামাটা বাজেট৷ এমনটাই হবার কথা৷ শুল্ক ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো পরিবর্তন করা হয়নি৷ ম্যানুফ্যাকচারিং এবং প্রবৃদ্ধির হার বাড়াতে অন্তঃশুল্কের হার হ্রাস করা হয়েছে৷ মোটর গাড়ি বাণিজ্যিক বাহন, স্কুটার, মোবাইল হ্যান্ডসেট ও অন্যান্য ভোগ্য পণ্যের ক্ষেত্রে অন্তঃশুল্ক ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ৮ শতাংশ৷ স্পোর্টস ইউটিলিটি বাহনের ক্ষেত্রে সেটা হবে ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৪ শতাংশ৷ ফলে এইসব পণ্যের দাম সামান্য হলেও কমবে৷ গাড়ি শিল্প এতে উল্লসিত, খুশি মধ্যবিত্তরা৷ বহুদিন ধরেই এটা তাঁদের দাবি ছিল৷ প্রত্যক্ষ করে হাত দেয়া হয়নি৷ আয়কর রাখা হয়েছে অপরিবর্তিত৷ তবে ‘অতি-বিত্তশালী', অর্থাৎ যাঁদের বার্ষিক আয় এক কোটি বা তার বেশি তাঁদের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ সারচার্জ বসানো হবে৷

Das indische PArlament in Neu Dheli
বাজেটে আয়কর রাখা হয়েছে অপরিবর্তিত৷ছবি: DW/A. Chatterjee

প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়বরাদ্দ ১০ শতাংশ বাড়িয়ে করা হয়েছে ২ লাখ ২৮ হাজার কোটি টাকা৷ পড়ুয়াদের জন্য শিক্ষাঋণে সুদ স্থগিত রাখার সংস্থান রাখা হয়েছে বাজেটে৷ বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কিছু কিছু জরুরি ব্যবস্থা না নিলেই নয়, যেমন ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্র, যার জন্য পূর্ণ বাজেট পর্যন্ত জন্য অপেক্ষা করা যায়না৷ সরকারের আশা, এর ফলে ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রে লগ্নি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থানের পরিসর বাড়বে, যদিও এতে দ্বিমত আছে৷

এই অন্তবর্তী বাজেটের উল্লেখযোগ্য দিক হলো, রাজকোষ ঘাটতির পরিমাণ বিপদ চিহ্নের নীচে৷ ৪.৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনা হয়েছে ৪.৬ শতাংশে৷ তবে এটা ধরে রাখা যাবে কিনা সেবিষয়ে অর্থনীতিবিদদের মনে সংশয় আছে৷ জ্বালানি ভরতুকি হিসেবে দেয়া ৩৫ হাজার কোটি টাকার চাপ পড়বে পরের বছরে৷ মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ইতিবাচক৷ ৪.৯ শতাংশ বলে বাজেট ভাষণে উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী চিদাম্বরম৷ ভারতের আর্থিক স্থিতিশীলতা দু'বছর আগের তুলনায় আনেক ভালো৷ বিশ্বের একাদশ বৃহত্তম অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির হার বছরের প্রথমার্ধের ৪.৬ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫.২ শতাংশ বলেন তিনি৷ তবে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে, বিশেষ করে খাদ্যপণ্যে সরকারের ব্যর্থতা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী৷ তবে সরকারে নীতি পঙ্গুত্বের অভিযোগ জোর গলায় খণ্ডন করেন তিনি৷

প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি রাজনাথ সিং মনে করেন, অর্থমন্ত্রীর হিসাব নিকাশের খতিয়ান বিশ্বাসযোগ্য নয়৷ পরবর্তী সরকারের কাঁধে ভরতুকির বিরাট বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে৷ মনমোহন সিং সরকারের ১০ বছরের ভাবমূর্তি তুলে ধরার প্রাণান্তকর প্রয়াস ছাড়া আর কিছু নয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য