1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সকলের জন্য শিক্ষার লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে পাকিস্তান

১৩ মে ২০১১

চলতি বছরকে ‘শিক্ষাবর্ষ’ হিসাবে ঘোষণা করেছে পাকিস্তান৷ তবে অনেকে মনে করছেন, শিক্ষার আলো পৌঁছে দেবার লক্ষ্য থেকে এখনো অনেক দূরে আছে সন্ত্রাস কবলিত দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি৷

https://p.dw.com/p/11FpD
চলতি বছরকে ‘শিক্ষাবর্ষ’ হিসাবে ঘোষণা করেছে পাকিস্তানছবি: DW

জাতিসংঘের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইউনেস্কো বলছে, গড়ে দুই বছরেরও কম সময়ের জন্য শিক্ষার সুযোগ জুটেছে পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার মধ্যে মাত্র ত্রিশভাগের কপালে৷ সহস্রাব্দের লক্ষ্যমাত্রায় ২০১৫ সালের মধ্যে সকলের জন্য শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করার যে পরিকল্পনা সেখানকার সরকারের রয়েছে, তা বাস্তবায়ন এখনো সুদূরপরাহত৷ কেউ কেউ মনে করছেন এই লক্ষ্য বাস্তবায়ন সম্ভব৷ কিন্তু বেশিরভাগই মনে করেন, বিষয়টি সহজ নয়৷ আর তাই সেখানকার হাজার হাজার মানুষ ইন্টানেটে একটি পিটিশনে সই করেছেন, যেখানে তারা সরকারকে এই কাজের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেবারই অনুরোধ জানিয়েছেন৷ বলেছেন শিক্ষার জন্য বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে৷

পাকিস্তানের আড়াই কোটি শিশু স্কুলে যেতে পারে না৷ ত্রিশ হাজার স্কুল প্রায় ভগ্ন অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে৷ এর মধ্যে অনেকগুলো আবার নির্মিত ব্রিটিশ শাসনামলে৷ সেখানে অন্তত ২০ হাজার স্কুলে কোন ঘর নেই, খোলা আকাশের নীচে পড়ালেখা করে শিশুরা৷

শিক্ষা খাতের এই অবস্থার উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন অর্থ৷ কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সেখানে এই খাতে বরাদ্দ অনেক কম৷ জিডিপির মাত্র ২ ভাগ ব্যয় হয় এতে৷ আর এ খাতে ভর্তুকির পরিমাণও একেবারে নগণ্য - এমন কী এই অঙ্ক পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা কিংবা সে দেশের ইলেক্টিক পাওয়ার কোম্পানিকে দেয়া ভর্তুকির চেয়েও অনেক কম৷ ‘তবে কেবল অর্থ বরাদ্দ নয়, প্রয়োজন মানসম্মত পাঠ্যবইয়ের নিশ্চিত সরবরাহ, ভালো শিক্ষক এবং সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ' - বলছেন পকিস্তানের শিক্ষা বিষয়ক কমিটির কো-চেয়ারম্যান শাহনাজ ওয়াজির আলি৷ তিনি বলেন, ‘বাজেট বরাদ্দকে সঠিকভাবে ব্যয় করলে অতিরিক্ত অর্থের খুব একটা প্রয়োজন হবে না৷'

সেখানে নারী শিক্ষার হার বাড়ানো যাচ্ছে না উগ্রপন্থি নানা সংগঠনের কারণে৷ এই সব সংগঠনের কর্মীদের সেই দেশে মেয়ে শিশুদের স্কুলে যেতে বাধা দেয়া বিষয়ে রয়েছে অনেক ঘটনা৷ সব মিলিয়ে পাকিস্তানের শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন শিক্ষার জন্য যে সুন্দর পরিবেশ আর অর্থ এবং প্রশিক্ষণের প্রয়োজন তা করা না গেলে অবস্থার পরিবর্তন হওয়া খুব একটা সহজ কাজ হবে না৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী