সগর্বে নাতির বয়সিদের সঙ্গে স্কুলে লেখাপড়া
ছোটবেলায় দোকানে কাজ করতে হয়েছে, নিজে পড়তে পারেননি৷ তাই বলে শাদে আজাই-এর পড়ালেখার ইচ্ছেটা মরেনি৷ ৫০ পেরিয়ে তাই কচিকাঁচাদের স্কুলে ছোট শিশুর পোশাক পরেই শুরু করেছেন লেখাপড়া৷ দেখুন ছবিঘরে...
দারিদ্র্যেও স্বপ্ন নিয়ে বাঁচা
গরিব ঘরের মেয়ে শাদে আজাই৷ ছোটবেলায় সংসার চালাতে কাজ করতে হয়েছে চাচির দোকানে৷ তাই লেখাপড়া হয়নি৷তবে লেখাপড়ার ইচ্ছেটাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন৷
টাকা হলেও স্বনির্ভর হওয়া যায় না
এখন আর অন্যের দোকানে কাজ করতে হয় না৷ শাদে আজাই নিজেই এখন দোকানের মালিক৷ কিন্তু আজাই জানেন, স্বচ্ছলতা থাকলেও পুরোপুরি স্বনির্ভর হওয়া যায় না৷ তাই ৫০ বছর বয়সে ভর্তি হয়েছেন স্কুলে৷
৫০ বছরের খুকি
নাইজেরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে কোয়ারা রাজ্যের ইলোরিন শহরের স্কুলের নিয়মিত ছাত্রী আজাই৷ প্রতিদিন স্কুলের গোলাপি ইউনিফর্ম পরে প্রায় ৪০ বছরের ছোট মেয়েদের সঙ্গে ক্লাস করেন৷ ইউনিফর্ম পরে স্কুলে যেতে ভালোই লাগে তার, বললেন, ‘‘স্কুলের পোশাক পরতে আমার মোটেই লজ্জা লাগে না৷’’
করোনার বাধা
আজাই অন্য ছাত্রীদের সঙ্গে নিজের বয়সের পার্থক্যকে গুরুত্ব না দিয়ে স্কুলে ভর্তি হন গত বছর৷ কিন্তু দুর্ভাগ্য এমন যে, তখনই শুরু হয় করোনার প্রাদূর্ভাব৷ বন্ধ হয়ে যায় স্কুল, বন্ধ হয়ে যায় লেখাপড়া৷ প্রায় এক বছর পর জানুয়ারি মাসে আবার খুলেছে স্কুল৷ আজাই আবার পেয়েছেন স্কুলের পোশাক পরে পরে ক্লাস করার সুযোগ৷
উৎসাহী ছাত্রী
কাঠের বেঞ্চে বয়সে প্রায় ৪০ বছরের ছোট মেয়েদের সঙ্গে বসে খুব মন দিয়ে ক্লাস করছেন আজাই৷ তার শিক্ষিকা নাসরাত বুসারি বলেন, ‘‘তিনি সবার সঙ্গে খুব ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছেন৷ অন্যদের সঙ্গে খেলেন, নানা বিষয়ে একসঙ্গে আলোচনা করেন৷’’
সন্তানের স্বীকারোক্তি
আজাই-এর ৫০ বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি হওয়ার বিষয়টি স্থানীয়রা শুরুতে মানতে পারেনি৷তার মেয়ে শোলা আদেবোয়ে জানালেন, এলাকাবাসীর মতো নিজের মায়ের এই বয়সে স্কুলে যাওয়া তারও প্রথমে ভালো লাগেনি, তবে মায়ের জন্য এখন গর্ব হয় তার্৷