সঠিক উত্তর: জার্মানির‘হাইডেলবার্গের ইউনিভার্সিটি ক্লিনিকে'টিউমারের ডিএনএ বিশ্লেষণ করে চিকিৎসা হচ্ছে৷ সঠিক উত্তরদাতাদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়েছে৷ এবারের বিজয়ী হয়েছেন ডয়চে ভেলের বহু পুরনো বন্ধু অজয় কুমার সরকার৷ তাঁর পুরো ঠিকানা হটুদেওয়ান নাগেরপাড়া, বর্দ্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত৷ প্রিয় অজয় কুমার, আপনাকে অভিনন্দন! আর হ্যাঁ, আপনার ঠিকানা তো আমাদের কাছে আছেই, কাজেই আর পাঠানোর প্রয়োজন নেই৷ আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আপনার পুরস্কারটি পাঠিয়ে দেওয়া হবে৷ প্রাপ্তিসংবাদ জানালে ভালো লাগবে৷
-
ডিএনএ-র যত ব্যবহার
ডিএনএ কী?
পৃথিবীর সবচেয়ে পরিচিত অণু ডিএনএ যাকে বংশগতির বাহক বলা হয়৷ অর্থাৎ জীবদেহের গঠন ও ক্রিয়াকলাপ কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে তা এই ডিএনএ-র জিন বিন্যাসের ওপর নির্ভর করে৷
-
ডিএনএ-র যত ব্যবহার
কৃষি
ডিএনএ ও জিন নিয়ে গবেষণা করে নতুন প্রজাতির উন্নত উদ্ভিদ বা ফসল উদ্ভাবন করা সম্ভব৷ বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা যেমন পাটের জীবনরহস্য উন্মোচন করেছেন৷ এর ফলে পাটের নতুন ও উন্নত জাত আবিষ্কার সম্ভব হবে৷ এছাড়া প্রায় পাঁচ শতাধিক উদ্ভিদের বিধ্বংসী রোগ সৃষ্টিকারী ছত্রাকের জীবনরহস্যও আবিষ্কার করেছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা৷
-
ডিএনএ-র যত ব্যবহার
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা
জিন প্রকৌশল এর মাধ্যমে বন্যা, খরা ও লবণ সহনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন করা যায়৷ বাংলাদেশে ইতিমধ্যে ধানের এ ধরনের কিছু জাত উদ্ভাবিত হয়েছে৷
-
ডিএনএ-র যত ব্যবহার
বাণিজ্য বাড়াতে
বাংলাদেশ প্রতি বছর চিংড়ি রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে৷ তবে মাঝেমধ্যে রপ্তানি করা চিংড়ি বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়৷ কারণ মাছে ক্ষতিকর ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি৷ এ ক্ষেত্রে একটি ডিএনএ ল্যাবরেটরি স্থাপন করে রপ্তানির আগেই চিংড়ির মান পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে৷
-
ডিএনএ-র যত ব্যবহার
খাবার
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর আরেক উদ্ভাবন জিএম খাবার৷ যদিও এর পক্ষ, বিপক্ষ নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে৷
-
ডিএনএ-র যত ব্যবহার
রোগ নির্ণয়
ডিএনএ-র বিশেষ পরিবর্তন চিহ্নিত করে বিভিন্ন ধরনের রোগ নির্ণয় করা যায়৷
-
ডিএনএ-র যত ব্যবহার
পরিচয় শনাক্ত
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে রানা প্লাজা ধসে নিহত অনেকের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে৷ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ‘ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরি-তে এই পরীক্ষা হয়৷ আগুনে নিহত কয়েকজনের পরিচয়ও এভাবে শনাক্ত করা হয়েছে৷
-
ডিএনএ-র যত ব্যবহার
অপরাধী চিহ্নিত
উন্নত বিশ্বে অপরাধী চিহ্নিত করতে ডিএনএ বিশ্লেষণ এখন প্রায় নিয়মিত এক ঘটনা৷
-
ডিএনএ-র যত ব্যবহার
পিতৃত্ব-মাতৃত্ব নিরূপণ
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরিতে পিতৃত্ব-মাতৃত্ব নিরূপণে এখন পর্যন্ত ৯০৬টি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে সরকারি হিসেবে জানা গেছে৷
-
ডিএনএ-র যত ব্যবহার
ওষুধ শিল্প
ফোর্বস ম্যাগাজিনের জরিপে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে জীবপ্রযুক্তি বিষয়ক চাকরিই সবচেয়ে আকর্ষণীয়৷ বিশেষ করে ওষুধ কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসা বাড়াতে জীবপ্রযুক্তিকে অন্যতম প্রধান অবলম্বন হিসেবে বেছে নিয়েছে৷
লেখক: জাহিদুল হক
কুইজ প্রতিযোগিতায় যাঁরা অংশ নিয়েছেন তাঁদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ৷ আর বন্ধুদের সবার কাছে আমাদের অনুরোধ, আপনাদের বন্ধুদেরও এই প্রতিযোগিতার কথা জানাবেন৷ জানাবেন ডয়চে ভেলের টেলিভিশন অনুষ্ঠান অন্বেষণ এবং ওয়েবসাইটের কথা৷ অন্বেষণ অনুষ্ঠানের হ্যাশট্যাগও রয়েছে৷ বাংলায় #অন্বেষণ আর ইংরেজিতে #onneshon লিখে ফেসবুক, টুইটারে মন্তব্য করা যাবে৷
ডয়চে ভেলের সকল বন্ধুদের জন্য রইলো শুভেচ্ছা৷
ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগ
-
শিশুরোগের লক্ষণ চিনুন, মারাত্মক ক্ষতি থেকে দূরে থাকুন
শিশুর টিকা
শিশুর জন্মের এক বছরের মধ্যে হুপিং কাশি, দিপথেরিয়া, টিটেনাস, পোলিও, হাম, মাম্স এবং জলবসন্তের টিকা ইত্যাদি অবশ্যই দিতে হবে৷ তাছাড়া আরো কিছু টিকা রয়েছে যেগুলো পরে কিশোর বয়সে আবারও নতুন করে দিতে হয়৷ শিশুর স্বাস্থ্যের নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি টিকাই নির্দিষ্ট সময়ে দেয়া প্রয়োজন৷ তবে এ বিষয়ে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন৷
-
শিশুরোগের লক্ষণ চিনুন, মারাত্মক ক্ষতি থেকে দূরে থাকুন
রোগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
কিছু শিশুরোগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে মারাত্মক৷ যেমন হাম৷ জার্মানির শিশু-কিশোর অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ডা. এসারের ভাষায়, ‘‘অনেকের ধারণা হাম ক্ষতি করে না৷ অথচ এটি একটি সংক্রমণ রোগ, যা নার্ভ বা স্নায়ু সিস্টেমকে আক্রমণ করতে পারে৷ হামের পর শতকরা ১০ জন শিশুর মস্তিষ্কের তরঙ্গে পরিবর্তন হয় আর অন্তত একজনের মাথায় থেকে যায় মানসিক ব্যাধির লক্ষণ৷
-
শিশুরোগের লক্ষণ চিনুন, মারাত্মক ক্ষতি থেকে দূরে থাকুন
শিশুর জ্বর
প্রায়ই দেখা যায় কোনো অসুখ হওয়ার আগে শিশুদের জ্বর হয়৷ তাই জ্বরকে মোটেও হালকাভাবে নেয়া বা নিজে থেকে জ্বরের ওষুধ দেয়া কখনোই উচিত নয়৷ তবে এক শিশুর জ্বর হওয়ার আগে যদি তার বড় বা ছোট ভাই-বোনের ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণ হয়ে থাকে, তাহলে দু-একদিন অপেক্ষা করা যেতে পারে৷
-
শিশুরোগের লক্ষণ চিনুন, মারাত্মক ক্ষতি থেকে দূরে থাকুন
পান করতে না চাইলে
শিশুদের শরীরে তরল মজুদ রাখার সীমাবদ্ধতা রয়েছে৷ তাই শিশু জল বা অন্য কোনো পানীয় পান করতে না চাইলে, খুব তাড়াতাড়ি শিশুদের শরীরের ভেতরটা শুকিয়ে গিয়ে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে৷ তাই শিশু পান করতে না চাইলে বা অনেকটা সময় কোনো তরল পদার্থ পান না করে থাকলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত৷
-
শিশুরোগের লক্ষণ চিনুন, মারাত্মক ক্ষতি থেকে দূরে থাকুন
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন?
কথা না বলা, না হাঁটা, খেলা না করা বা কানে কম শুনছে মনে হলে খুব বেশি চিন্তা না করে ডাক্তারের কাছে যাওয়াই স্রেয়৷ কারণ সব শিশু একই বয়সে একই কাজ করে না৷ কেউ হয়ত ১০ মাস বয়সেই হাঁটতে শুরু করে আবার কেউ ১৪ মাসেও হাঁটে না৷ তাছাড়া অনেক শিশু হামগুড়ি না দিয়েই হাঁটতে শুরু করে৷ এ বিষয়গুলো অনেক সময় বংশগত কারণেও হয়ে থাকে৷
-
শিশুরোগের লক্ষণ চিনুন, মারাত্মক ক্ষতি থেকে দূরে থাকুন
অযথা অসুখ খুঁজবেন না!
‘‘অকারণে শিশুকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন না৷ তবে কোনো কিছু অন্যরকম মনে হলে বা কোনো দ্বিধা থাকলে প্রয়োজনে নিজের মা বা মুরুব্বিদের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন৷ সারাক্ষণ শিশুকে অসুস্থ মনে করলে বা সে কথা তাকে বললে, তা শিশুমনে প্রভাব ফেলে৷ এবং পরবর্তীতে শিশুকে তা সত্যিই মানসিকভাবে অসুস্থ করে তুলতে পারে৷’’ বলেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. এসার৷
-
শিশুরোগের লক্ষণ চিনুন, মারাত্মক ক্ষতি থেকে দূরে থাকুন
নিজের মতো চলতে দিন
নিজের ৩১ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে ডা. এসার বলেন, ‘‘ছোটখাটো ব্যাপারে শিশুকে বিরক্ত না করে, তাকে তার মতো চলতে এবং অন্য শিশুদের সাথে খেলতে দিন৷ খেলার মধ্য দিয়ে শিশুদের ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠে, ওরা হয় ওঠে আত্মবিশ্বাসী৷ লক্ষ্য রাখুন শিশুর আগ্রহ কোন দিকে৷ কারণ বেশি জোড় করলে শিশু মনে তার প্রভাব পড়ে এবং মনোজগতে ক্ষতচিহ্ন থেকে যায়৷’’
-
শিশুরোগের লক্ষণ চিনুন, মারাত্মক ক্ষতি থেকে দূরে থাকুন
মানসিক দ্বন্দ্ব থেকে দূরে রাখুন
একটা শিশু কিন্তু বুঝতে পারে না, কী কারণে তার মা অন্যের সাথে টেলিফোনে বা সরাসরি বাবার বদনাম বা সমালোচনা করছেন৷ শিশুরা এ সব নিয়ে কোনো প্রতিবাদ বা আলোচনা করতে পারে না ঠিকই, তবে শিশুমনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এবং এর ফলে সৃষ্টি হয় মানসিক দ্বন্দ্ব৷ তাই দাম্পত্য কলহ কখনই শিশুদের সামনে নয়! মা-বাবার ঝগড়া সন্তানের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে৷
লেখক: নুরুননাহার সাত্তার